হারিয়ে যাওয়া কালি কলম প্রশ্ন উত্তর Teacj Sanjib
হারিয়ে যাওয়া কালি কলম প্রশ্ন উত্তর Teacj Sanjib
হারিয়ে যাওয়া কালিকলম
শ্রীপান্থ
হারিয়ে যাওয়া কালি কলম প্রবন্ধের বিষয়বস্তু এবং গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নোত্তর আলোচনা করা হয়েছে।
হারিয়ে যাওয়া কালি কলম প্রবন্ধের উৎস
শ্রীপান্থ ছদ্মনামের লেখক প্রাবন্ধিক নিখিল সরকার রচিত হারিয়ে যাওয়া কালি কলম’ প্রবন্ধটি তার হারিয়ে যাওয়া কালি কলম মন গ্রন্থ থেকে গৃহীত হয়েছে।
হারিয়ে যাওয়া কালি কলম প্রবন্ধের বিষয়বস্তু
‘শ্রীপান্থ’ ছদ্মনামের আড়ালে প্রখ্যাত লেখক মানুষটি হলেন নিখিল সরকার। তিনি সারাজীবন কালি-কলমেই লিখে গেছেন। সাংবাদিক কর্মজীবনের শেষদিকে সকলে যখন কলমকালি ছেড়ে কম্পিউটার নামীয় আধুনিক প্রযুক্তিনির্ভর, তখনও তিনি আবাল্য কলম- -কালিতে অভ্যস্ত জীবনেই থেকেছেন। কোনােদিন অফিসে কলম আনতে ভুল করলে সেদিন তার বিড়ম্বনার শেষ থাকত না। অথচ অফিসটা ছিল লেখালেখির অফিস।
লেখক গ্রামের ছেলে বলে তখনকার রীতি অনুযায়ী বাঁশের করি কলমে লিখতেন। করি ডগাটি কলমের উপযােগী সরু করে মুখটি চিরে ফেলা হতাে। তাতে কালি আস্তে আস্তে চুইয়ে পড়ত। কাগজ হিসেবে ব্যবহার হতাে কাগজের মতাে সাইজ করে কাটা কলাপাতা। তাতে পাঠশালার জন্য হােমটাস্ক লেখা হতাে। মাস্টারমশাইকে হােমটাস্ক দেখানাের পর বাড়ি ফেরার পাথে কোনাে পুকুর-ডােবায় ফেলে দেওয়া হতাে। গােরু খেলে পাপ হবে, তাই পুকুর ডােবায় ফেলা হতাে। কালি তৈরি করা হতাে বাড়িতে। কাঠের জ্বালানিতে কড়ার তলায় জমা হওয়া কালি কিংবা আতপ চাল পুড়িয়ে তা থেকে কালি বানানাে হতাে। সেই কালি মাটির দেয়াতে রেখে কঞ্চির কলমে লেখালেখি হতাে। .
এই প্রসঙ্গে রােমান্টিক কল্পনায় লেখক তাতীতচারী হয়েছেন। লেখক বাঙালি হয়ে না জন্মে যদি প্রাচীন মিশরে জন্মাতেন, তাহলে নীলনদের তীরে জন্মানো নলখাগড়ার তুলি বানিয়ে, কিংবা কলম তৈরি করে লিখতেন। কিংবা রােম সম্রাট জুলিয়াস সিজার হলে ব্রোঞ্জের ধারালো শলাকাকে কলম হিসেবে ব্যবহার করতেন।
বাঁশের কঞ্চির কলম,খাগের কলম, ফাউন্টেন পেন বা ঝরনা কলমের দিন এখন অতীত। উইলিয়াম জোন্স কিংবা কেরির আমলে পালকের কলমের চল ছিল। পালক কেটে কলম তৈরির ছােটো যন্ত্র তৈরি করেছিল সাহেবরা। দোয়াত-কলমের যুগ চলে গেছে। ডট-পেনের আকছার ব্যবহার চলছে। ফেরিওয়ালাদের হাতে হাতে ঘুরছে শহর-বাজারে, যানবাহনে। একসময় দারােগার পায়ের মােজায়, ছেলের বুকপকেটে, কঁাধের ব্যাগে, এমনকি মেয়েদের চুলের খোঁপায় কলম গোঁজা থাকতে দেখা গেছে।
হারিয়ে যাওয়া কালি কলম সারাংশ
কলমের দুনিয়ায় সত্যিকার বিপ্লব ঘটায় ফাউন্টেন পেন। ফাউন্টেন পেনের যুগস্রষ্টা হলেন লুইস অ্যাডসন ওয়াটারম্যান। চুক্তিপত্র সই করতে গিয়ে দোয়াতের কালি পড়ে চুক্তিপত্র নষ্ট হওয়ায়, তার বিহিত করার উদ্দেশ্যে ওয়াটারম্যানের চেষ্টায় ফাউন্টেন পেনের জন্ম। লেখক ফাউন্টেন কিনতে গিয়ে জাপানি পাইলট পেন কেনেন। সেই থেকে ফাউন্টেন পেন লেখককে নেশাগ্রস্ত করে। শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়েরও ফাউন্টেন পেনের নেশা ছিল। পরে পরে ফাউন্টেন পেনকে প্লাটিনাম বা সােনায় মুড়ে মূল্যবান করা হয়। দোয়াত-কলমের যুগে কালি শুকনাে করার জন্য বালি কিংবা ব্লটিং পেপারের ব্যবহার ছিল। দোয়াত অনেক রকমের হতাে। দোয়াত তৈরির উপকরণ হিসেবে মাটি, কাচ, শ্বেতপাথর, পিতল, ব্রোঞ্জ, ভেড়ার শিং প্রভৃতি ব্যবহার করা হতাে। শেষপর্যন্ত নিজের মান-মর্যাদা বাঁচিয়ে রেখেছিলেন সত্যজিৎ রায়। নিবের আঘাতে স্বনামধন্য লেখক ত্রৈলােক্যনাথ মুখােপাধ্যায় মারা যান।
হারিয়ে যাওয়া কালি কলম বড় প্রশ্ন উত্তর
প্রশ্নঃ প্রবন্ধ কাকে বলে? প্রবন্ধ হিসেবে হারিয়ে যাওয়া কালি কলম’ রচনার সার্থকতা বিচার করাে। অথবা, ‘হারিয়ে যাওয়া কালি কলম’ কী জাতীয় বা কোন্ শ্রেণির রচনা তা আলােচনা করে দেখাও।
উত্তর : প্রবন্ধ কথাটির আক্ষরিক মানে প্রকৃষ্ট রুপে বন্ধন অর্থাৎ, বক্তব্যের সুদৃঢ় বাঁধন। বক্তব্যের ভাব ও ভাষার বন্ধনই প্রবন্ধ। প্রবন্ধনিবন্ধ নামেও উল্লেখ করা হয়ে থাকে। এক্ষেত্রে নিবিড় বন্ধনযুক্ত গদ্যকেই নিবন্ধ বলা যায়। আলােচ্য রচনাটি প্রবন্ধ বা নিবন্ধ জাতীয়
। ‘হারিয়ে যাওয়া কালি কলম’রচনাটিতে নির্দিষ্ট একটি বিষয় খুব সুন্দর ও দৃঢ় বাঁধনে প্রকাশ করা হয়েছে। মানবসভ্যতার অগ্রগতিতে ভাব প্রকাশের ক্ষেত্রে ইঙ্গিত ও আকারের যুগের অবসান হওয়ার পরই যুগের অনিবার্য প্রয়ােজনে এসেছে কলম ও কালি। মানুষের সঙ্গে সেই কলম-কালির নিবিড় সম্পর্ক গড়ে উঠেছে। আবার ব্র পৃথিবীর চলমানতায় পরিবর্তনশীলতার পথ ধরে সেই কলম-কালির ক্ষেত্রে এসেছে বৈচিত্র্য। গবেষক ও প্রাবন্ধিক তার সুনিপুণ লেখনীর মাধ্যমে ফুটিয়ে তুলেছেন কলম ও কালির আদি ইতিহাস এবং বর্তমান আধুনিক যুগে তার অনিবার্য ফলশ্রুতিকে। কম্পিউটার বা পরিগণক কলমের বিকল্প হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছে। তাই সমগ্র রচনার বিষয়ের সঙ্গে ভাবের সুদৃঢ় বন্ধনের দিকটি উদ্ভাসিত হয়ে উঠেছে বলেই উক্ত রচনাটি একটি সার্থক প্রবন্ধ বা নিবন্ধ।
প্রশ্ন ) ‘আশ্চর্য, সবই আজ অবলুপ্তির পথে। কোন্ জিনিস আজ অবলুপ্তির পথে? এই অবলুপ্তির কারণ কী? এ বিষয়ে লেখকের মতামত কী?
উত্তর: প্রাবন্ধিক শ্রীপান্থ ‘হারিয়ে যাওয়া কালি কলম’ প্রবন্ধে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে লিখনশৈলীর সঙ্গে যুক্ত দ্রব্যের পরিবর্তনের কথা প্রসঙ্গে কলম ও কালির অবলুপ্তির কথা বলেছেন।
আধুনিক উন্নত প্রযুক্তিবিদ্যার প্রসারের কারণে দোয়াত, কালি এবং নিবযুক্ত পেন, বলপেন প্রভৃতি ক্রমে অবলুপ্তির পথে চলে গেছে। তার স্থান দখল করেছে কমপিউটার। এতে লেখার সুবিধা অনেক। তাই দোয়াত-কালি ও কলমের অন্তর্জলি যাত্রার পথ সুগম করেছে কমপিউটার এ কথা বলা যায়।
প্রাবন্ধিকেরমতে,কলমছাড়া লেখালেখিরকথাকিছুকাল আগেও মানুষ ভাবতে পারতনা।কলমবিহীন লেখার অস্তিত্ব কল্পনারও বাইরে ছিল। এক সময় ছিল কঞ্চি, খাগের পালকের কলম। তারপর এল ফাউন্টেন পেন, বলপেন। দোয়াত-কালির প্রয়ােজনও ধীরে ধীরে কমে আসে। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির নতুন উদ্ভাবনী শক্তির বিস্ময়কর সৃষ্টি কম্পিউটারের কী-বাের্ডে হাত ছুঁইয়েনবীন প্রজন্ম স্ক্রিনে লেখা ফুটিয়ে তুলছে-প্রাবন্ধিকতার নিজের দপ্তরে চাক্ষুষ পেয়েছেন। কলম তাদের কাছে অপরিহার্য নয় এখন। লেখক এভাবেই কলমের অবলুপ্তির বিষয়ে মতামত প্রকাশ করেছেন।
প্রশ্ন ) “সেই আঘাতেরই পরিণতিনাকিতার মৃত্যু”—কে, কোন্ প্রসঙ্গে এই উক্তি করেছেন? কার কীভাবে মৃত্যু হয়েছেবলে লেখক সংশয় প্রকাশ করেছেন?
উওর :
নিখিল সরকার ওরফে শ্রীপান্থতার হারিয়ে যাওয়া কালি কলম’ প্রবন্ধে এই কথাগুলি বলেছেন। শানিত তলােয়ারের চেয়ে ক্ষুরধার লেখনী যে অনেক শক্তিশালী সেই সত্যের কথা বলেছেন তিনি। প্রবাদবাক্যেই বলা হয়েছে ‘অসির চেয়ে মসী বড়াে’। লেখনী যখন যুক্তি বুদ্ধির সাহায্যে ক্ষুরধার লেখা তৈরি করে তখন তা অজস্র মানুষের কাছে মুহূর্তে পৌছে যায় এবং মানুষের চিন্তার জগৎকে প্রভাবিত করে। তরবারির মতাে ভীতিকর আবহ তৈরি না করে কলম যুক্তির হাত ধরেমানুষের চিন্তার জগতেবিপুলআলােড়ন তােলে। তবে কলম যে আক্ষরিক অর্থেই কোনাে মানুষকে খুন করতে পারে একবার অন্তত সে প্রমাণ আছে। প্রাবন্ধিক সেই প্রসঙ্গেই উক্তিটি করেছেন।
এখানে নিবের কলমের আঘাতে মৃত্যুর কথা বলা হয়েছে, ‘ডমরুধর’, ‘কঙ্কাবতী’ প্রভৃতি ব্যতিক্রমী সাহিত্যগ্রন্থের লেখক ত্রৈলােক্যনাথ মুখােপাধ্যায়ের মৃত্যুর পিছনে নাকি ছিল নিবের কলম। জনশ্রুতি আছে যে, তাঁর নিজের হাতে থাকা কলমের নিব হঠাৎ করে বুকে বিঁধে যাওয়ার ফলে তার নাকি মৃত্যু হয়েছে।
হারিয়ে যাওয়া কালি কলম প্রবন্ধের প্রশ্ন উত্তর
প্রশ্ন ) কালি কলমের প্রতি প্রবন্ধকারের ভালােবাসা হারিয়ে যাওয়া কালি কলম’ প্রবন্ধে কীভাবে ফুটে উঠেছে তা আলােচনা করাে।
: উত্তর : প্রাবন্ধিক শ্রীপান্থ অর্থাৎ, নিখিল সরকার ‘কালি কলম মন’গ্রন্থের অন্তর্গত হারিয়ে যাওয়া কালি কলম’প্রবন্ধে কালি ও কলমের প্রতি তার গভীর আকুতির কথা জানিয়েছেন।
লেখক শৈশবে বাড়ির অন্যদের সাহায্যে কালি বানাতেন। কালি তৈরি সম্পর্কে তখন একটি ছড়া প্রচলিত ছিল—
“তিল ত্রিফলা শিমুল ছালা/ছাগ দুগ্ধে করি মেলা/
লৌহপাত্রে লােহায় ঘাসি/ছিড়ে পত্র না ছাড়ে মসি।” অর্থাৎ তিল, ত্রিফলা, শিমুল গাছের ছালকে ছাগীর দুধের মধ্যে মিশ্রিত করে লােহার পাত্রে ঘসে টেকসই কালি বানানাে যায়। অনেক সময় কাঠের উনুনে রান্নার ফলে কড়াইয়ের তলায় যে কালি জমত তাকে লাউপাতার সাহায্যে তুলে পাথরের বাটিতে গুলিয়ে ভালাে কালি তৈরি করা যেত। অনেকে সেই কালিতে হরিতকী ঘষত, কখনও ভাজাপােড়া বাটা আতপ চাল মিশিয়ে উনুনে তা ফোটানাে হতাে ও পরে ন্যাকড়া ছেকে দোয়াতে রাখা হতাে। কলমের প্রতি আবাল্য অনুরাগ লেখকের। গ্রামে বাল্যকালে থাকার সময় বাঁশের কঞি কেটে কলমবানাতেন। গভীর আবেগের জন্য তারমনেহয়তিনিযদি প্রাচীন মিশরে জন্মাতেন তবে নীলনদের তীরে থাকা নলখাগড়া দিয়ে কলম বানাতেন বাবনপ্রান্তে কুড়িয়ে পাওয়া হাড়হতােকলম। পরবর্তীকালে প্রথম ফাউন্টেন পেন কেনার স্মৃতি এখনও জাগরুক। আবার বলপেনের কাছে তাঁর আত্মসমর্পণের কথাও অকপটে ব্যক্ত করেন।
লেখক তাই বলেন, “আমি ছিলাম কালি কলমের ভক্ত।”
প্ৰশ্ন) “আমরা কালিও তৈরি করতাম নিজেরাই।” কারা কালি তৈরি করতেন? তারা কীভাবে কালি তৈরি করতেন?
উত্তর: প্রাবন্ধিক শ্রীপান্থ ‘হারিয়ে যাওয়া কালি কলম’ প্রবন্ধে কালি-কলমের প্রসঙ্গ বলতে গিয়ে স্কুলজীবনে কীভাবে কালি তৈরি করতেন তার কথাও ব্যক্ত করতেন। প্রাবন্ধিক ও তার সমবয়সিরা কালি তৈরি করতেন।
বাংলার প্রত্যন্ত গ্রামে জন্ম নেওয়া লেখক শৈশবে লেখার কালি বাড়িতেই তৈরি করতেন দিদিদের সহযােগিতায়। গ্রামের প্রাচীনেরা কালি তৈরির কৃৎকৌশল সম্পর্কে তাদের অভিজ্ঞতাকে ছড়ায় ব্যক্ত করতেন এভাবে—“তিন ত্রিফলা সিমুল ছালা/ ছাগ ………।”
কিন্তু গ্রামীণ বাল্যজীবনে কালি তৈরির এত উপকরণ সংগ্রহ করা কঠিন ছিল। গ্রামের ছােটো ছেলেরা কালি তৈরির সহজ এক পদ্ধতি আবিষ্কার করেছিল। কাঠের উনুনে রান্নার ফলে কড়াইয়ের তলায় যে কালি জমত তা লাউপাতা দিয়ে ঘষে পাথরের বাটিতে রাখা জলে গুলে দেওয়া হতাে। ওস্তাদ ছেলেরা ওই কালাে জলে হরিতকী ঘষত। মাতৃস্থানীয়া মহিলারা আতপ চাল ভেজে পুড়িয়ে তা বেটে সেই কালাে জলে মেশাতেন। এরপর খুন্তির গােড়ার দিক পুড়িয়ে লাল করে সেই আতপ চালের বাটা মেশানাে কালাে জলে ছ্যাকা দেওয়া হতাে। জল অল্প হওয়ায় টকটকে লাল খুন্তির তাপে তা টগবগ করে ফুটত।তারপরন্যাকড়ায় হেঁকেমাটির দোয়াতে তাঢালাহতাে।গ্রামীণ জীবনে শৈশবেকালি তৈরির এমন পদ্ধতির কথাই লেখক বলেছেন।
প্রশ্ন ) ‘মুঘল দরবারে একদিন তাদের কত না খাতির কত না সম্মান?’—এখানে কাদের কথা বলা হয়েছে? তাদের কী ধরনের খাতির হতাে? এই খাতিরের কারণ কী ছিল?
উত্তর : শ্রীপান্থ রচিত ‘হারিয়ে যাওয়া কালি কলম’ প্রবন্ধ থেকে উদ্ধৃতাংশটি উৎকলিত হয়েছে। এই অংশে ক্যালিগ্রাফিস্ট বা লিপি-কুশলী অর্থাৎ, ওস্তাদ কলমবাজদের কথা বলা হয়েছে।
ক্যালিগ্রাফিস্ট অর্থাৎ, লিপি-কুশলীদের মুঘল দরবারে অত্যন্ত খাতির এবং সম্মান ছিল একসময়। শুধু মুঘল দরবারেই নয় বিশ্বের সব দরবারে বড়াে সম্মানিত ছিলেন তারা। আমাদের বাংলামুলুকেও রাজা-জমিদাররা লিপি-কুশলীদের বিশেষ গুণীব্যক্তিবলে গণ্যকরতেন।তাঁদেরসম্মানকরতেন।ভরণপােষণের ব্যবস্থা করতেন। সাধারণ গৃহস্যগণও লিপি-কুশলীদের ডেকে পুঁথি নকল করাতেন। তাঁদের কাছেও বেশ মর্যাদাসম্পন্ন ছিলেন তারা।
লিপি-কুশলীদের এত খাতিরের মূলে ছিল তাঁদের বিস্ময়কর প্রতিভা। এত সুন্দর অক্ষরে তাঁরা লিখতেন যে, এখনও সেসব দেখলে চোখ জুড়িয়ে যায়। সুন্দর হস্তাক্ষর সম্পর্কে সংস্কৃতে বলা হয়েছে- ‘সমানি সম শীষাণি ঘনানি বিরলানি চা’অর্থাৎ, সব অক্ষর সমান, প্রতিটি ছত্র সুশৃঙ্খল পরিচ্ছন্ন। যাকে এক-একজন বলে থাকেন, মুক্তোর মতাে হস্তাক্ষর। সম্রাট, বাদশা, রাজা, জমিদাররা তাঁদের কীর্তিকে,সভ্যতা-সংস্কৃতিকে রক্ষা এবং প্রচারের জন্য সুস্পষ্ট লিপি, প্রতিলিপির আশ্রয় নিতে বাধ্য ছিলেন। তাই লিপিকরদের তাঁরা এত খাতির করতেন।
হারিয়ে যাওয়া কালি কলম থেকে প্রশ্ন উত্তর
প্রশ্ন ) “তুমি সবল, আমি দুর্বল। তুমি সাহসী, আমি ভীরু। তবু যদি আমাকে হত্যা করতে চাও, আচ্ছা, তবে তাই হােক। ধরে নাও আমি মৃত।’—কোন্ প্রসঙ্গে এই উক্তি? এই উক্তির তাৎপর্য বিশ্লেষণ করাে।
উত্তর : শ্ৰীপাথের ‘হারিয়ে যাওয়া কালি কলম’ প্রবন্ধ থেকে উদ্ধৃতাংশটি নেওয়া হয়েছে। প্রবন্ধকার ছেলেবেলায় বাঁশের কঞি কেটে কলম তৈরি করতেন। ফাউন্টেন পেন বাজারে এলে তিনি ওসব ছেড়ে এই কলমেই লিখতে শুরু করেন। তিনি স্বয়ং নিজেকে কালিখেকো কলমের ভক্ত বলে উল্লেখ করেছেন। ফাউন্টেন পেন যশস্বী লেখকদেরও সখ-সৌখিনতার সামগ্রী হয়ে উঠেছিল। কিন্তু যুগের দাবি মেনে ফাউন্টেন পেনের ভক্ত হয়েও তিনি বলপেনের কাছে আত্মসমর্পণ করেন। এই আত্মসমর্পণের বেদনা প্রকাশ করতে গিয়েই ফরাসি কবির অনুকরণে তাঁর এই মন্তব্য।
সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বদলে যায় সব। এই বদলের ধারাকে প্রতিরোধ করা সম্ভব নয়। পুরােনাের আসর ভেঙে গিয়ে নতুন আসর সাজিয়ে বসে চিরকাল। এই ধারাতে ভেসে যায় লেখালেখি র উপকরণগুলি। কলম হিসেবে বাঁশের কঞি
ব্যবহারের কথা মানুষভুলে গেছে। নল-খাগড়া, পাখির পালক এখন আর
লেখার উপকরণ নয়। যে ফাউন্টেন পেন লেখালেখির জগতে বিপ্লব ঘটিয়ে বাজার দখল করেছিল তারও দিন ফুরিয়ে আসে। প্রবন্ধকার ফাউন্টেন পেনের বিশেষ ভক্ত ছিলেন। কলম-বিস্ফোরণ ঘটিয়ে যে বলপেনের আত্মপ্রকাশ, সেই বলপেনকে তিনি মনেপ্রাণে স্বাগত জানাতে পারেননি। কিন্তু শেষপর্যন্ত তাঁকেও বলপেনের কাছে আত্মসমর্পণ করতে হয়। বলশালীর কাছে দুর্বলের পরাভব মেনে না নিয়ে উপায় নেই। বেদনাবহ এই অসহায় আত্মসমর্পণের কষ্টে ফরাসি কবির মতাে প্রবন্ধকারও নিজের অসহায়তাকে এই ভাষায় ব্যক্ত করেছেন।
প্রশ্ন ) “পণ্ডিতরা বলেন কলমের দুনিয়ায় যা সত্যিকারের বিপ্লব ঘটায় তা ফাউন্টেন পেন।”—এই বিপ্লব সম্পর্কে যা জানাে লেখাে।
উত্তর : প্রাবন্ধিক শ্রীপান্থ ‘হারিয়ে যাওয়া কালি কলম’ প্রবন্ধে কলমের বিবর্তনের ইতিহাসকে তুলে ধরেছেন। মূল্যবান ফাউন্টেন পেনের আবিষ্কারের আগে মানুষ লেখার প্রয়ােজনে নানা রকমের কলম তৈরি করেছেন। বাঁশের কঞ্চি দিয়ে তৈরি কলম, খাগের কলম, পশুর হাড়ের কলম, পাখির পালক দিয়ে তৈরি কলম বা ব্রোঞ্জ নির্মিত কলম স্টাইলাস ইত্যাদির সাহায্যে মানুষ লিখত। কালিতেনিব ডুবিয়ে তখন লিখতে হতাে। একসময় ফাউন্টেন পেনকে বলা হতােরিজার্ভার পেন। ওয়াটারম্যান সেই পেনকে উন্নত প্রযুক্তি দিয়ে আধুনিক রূপে তৈরি করলে একে বলা হলাে ফাউন্টেন পেন, বাংলায় যাকে বলে ঝরনা কলম।
প্রযুক্তির হাত ধরে কলমের দুনিয়াতে আক্ষরিক অর্থেই বিপ্লব ঘটে। বিভিন্ন রূপের, বিভিন্ন দামের ফাউন্টেন পেনে বাজার ভরতি হতে থাকে। আগের মতাে আর দোয়াতের কালিতে কলম ডুবিয়ে লেখা হয় না বরং একবার কালি ভরতি করলে ফাউন্টেন পেনে অনেকক্ষণ লেখা হতে থাকে। পার্কার, শেফার্ড, পাইলট, সােয়ান, ওয়াটারম্যান ইত্যাদি নামের ফাউন্টেন পেনগুলি ছিল নানা ধরনের। সৌখিন ও ধনী ব্যক্তিদের পেনের শিষে হিরে বসানাে হতাে। প্ল্যাটিনাম, সােনা ইত্যাদির সাহায্যে ফাউন্টেন পেনগুলিকে দামি ও আকর্ষণীয় করা হতাে। নানা দামের ফাউন্টেন পেন বাজারে ছেয়ে যেতে থাকে এবং তা সমস্ত শ্রেণির মানুষের কাছে পৌছেও যায়। এভাবেই কলমের দুনিয়ায় আক্ষরিক অর্থে বিপ্লব ঘটে।
হারিয়ে যাওয়া কালি কলম ছোট প্ৰশ্ন উত্তর
প্রশ্ন ) ‘হারিয়ে যাওয়া কালি কলম’-এ বর্ণিত সবচেয়ে দামি কলমটির কত দাম?
উত্তর : ‘হারিয়ে যাওয়া কালি কলম’ প্রবন্ধে শ্রীপান্থ সবচেয়ে দামি যে কলমটির কথা বলেছেন তার দাম ছিল আড়াই হাজার পাউন্ড অর্থাৎ (২৫০০x৭৫) = ১৮২৫০০ টাকা।
প্রশ্ন ) কেরি সাহেব কে ছিলেন?
উত্তর : খ্রিস্টান মিশনারি কেরি সাহেবের প্রকৃত নাম উইলিয়াম কেরি। ফোর্ট উইলিয়ামকলেজেরবাংলাবিভাগেরঅধ্যক্ষ কেরিসাহেব বাংলা গদ্য-সাহিত্যের বিকাশে বিশেষ অবদান রেখেছেন।
প্রশ্ন ।। ‘কিছুদিন আগে এক বিদেশি সাংবাদিক লিখে ছিলেন’-বিদেশি সাংবাদিক কী লিখেছিলেন?
উওর: ‘হারিয়ে যাওয়া কালি কলম’ প্রবন্ধে শ্রী পাথ জানিয়েছেন যে, কিছুকাল আগে একজন বিদেশি সাংবাদিক লিখে ছিলেন, কলকাতার চৌরঙ্গির পথে ভিড় করা ফেরিওয়ালাদের প্রতি তিনজনের মধ্যে একজনের পেশা ছিল কলম বিক্রি করা।
প্রশ্ন) ‘কে না জানেন,-কী জানার কথা বলা হয়েছে?
উত্তর : হাতে লেখা পাণ্ডুলিপির পাতায় অক্ষর কাটাকুটি করতে গিয়ে রচিত হয়ে যাওয়া ছন্দোবদ্ধ সাদা-কালাে ছবিগুলির জন্য রবীন্দ্রনাথ চিত্রশিল্পী হিসেবে খ্যাতি লাভ করেছিলেন এ কথা সবাই জানে। এই জানার কথা এখানে বলা হয়েছে।
প্রশ্ন) ‘মুঘল দরবারে একদিন তাদের কত না খাতির, কত না সম্মান’-কাদের কথা বলা হয়েছে?
উত্তর: যাঁরা ওস্তাদ কলমবাজ তাঁদের বলা হতাে ক্যালিগ্রাফিস্ট ২ বা লিপি-কুশলী। এই লিপি-কুশলীদের মােঘল দরবারে একসময় খুব খাতির ও সম্মান ছিল।
প্রশ্ন) ‘মনে মনে আমি সেই ফরাসি কবির মতাে বলেছি -প্রাবন্ধিক কী বলেছেন?
উত্তর : লেখক শ্রীপান্থ মনে মনে ফরাসি কবির মতাে বলেছেন-‘তুমি সবল, আমি দুর্বল। তুমি সাহসি, আমি ভীরু। তবু যদি আমাকে হত্যা করতে চাও। আচ্ছা, তবে তাই হােক।
প্রশ্নঃ।। শেষপর্যন্ত নিবের কলমের মানমর্যাদা কেবাঁচিয়ে রেখেছিলেন?
উত্তর : প্রবন্ধকার শ্রীপান্থ ‘হারিয়ে যাওয়া কালি কলম’ প্রবন্ধে লিখেছেন যে, শেষপর্যন্ত নিবের কলমের মানমর্যাদা বাঁচিয়ে রেখে ছিলেন একমাত্র সত্যজিৎ রায়।
হারিয়ে যাওয়া কালি কলম প্রশ্ন উত্তর 2023
প্রশ্ন ।। ‘আমরা ফেরার পথে কোনাে পুকুরে তা ফেলে দিয়ে আসতাম’-বক্তা কেন তা পুকুরে ফেলেদিতেন?
উত্তর : লেখক শ্রীপান্থদের শৈশবে কলাপাতায় হােম-টাক্স করতে হতাে। সেগুলি মাস্টারমশাইদের দেখিয়ে ফেরার পথে তারা পুকুরে ফেলে দিতেন। কারণ সেগুলি গােরু খেয়ে ফেললে। অমঙাল হতাে।
প্রশ্ন ) দু-জন সাহিত্যিকের নাম করাে যাদের নেশা ছিল ফাউন্টেন পেন সংগ্রহ করা।
উত্তর : শ্রীপান্থ অর্থাৎ, নিখিল সরকারের লেখা ‘হারিয়ে যাওয়া কালিকলম’ প্রবন্ধে বিখ্যাত লেখক শৈলজানন্দ মুখােপাধ্যায় এবং কথাসাহিত্যিক শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের ফাউন্টেন পেন সংগ্রহ করার নেশার কথা বলা হয়েছে।
প্রশ্ন ।। লেখকশ্রীপান্থ ছােটোবেলায় কীসে ‘হােম-টাস্ক’ করতেন?
উত্তর : শ্রীপান্থ অর্থাৎ, নিখিল সরকারের ‘হারিয়ে যাওয়া কালিকলম’প্রবন্ধে লেখক ছােটোবেলায় কাগজের সাইজে কলাপাতা কেটে তার ওপরে হােম-টাস্ক করতেন।
প্রশ্ন ।। সোনার দোয়াত কলম সম্পর্কে লেখকের কিভাবে জেনেছিলেন?
উত্তর : সােনার দোয়াত কলম যে সত্যই হতাে তা লেখক জেনেছিলেন সুভাে ঠাকুরের দোয়াতের সংগ্রহ দেখে।
প্রশ্ন ) দোকানদার লেখককেকলম বিক্রি করার আগে কী জাদু দেখিয়েছিলেন?
উত্তর : দোকানদার লেখককে কলম বিক্রি করার আগে তিনি একটি জাপানি কলম দেখিয়ে আচমকা খাপ সরিয়ে সেটি ছুড়ে দিয়েছিলেন টেবিলের একপাশে দাঁড় করানাে একটি বাের্ডের ওপর। অক্ষত কলমটি বাের্ড থেকে খুলে নেওয়ার জাদু দেখিয়েছিলেন।
প্রশ্ন ।। ‘হােম-টঙ্ক’ মাস্টারমশাইকে দেখানাের পরে কেন পুকুরে তা ফেলা হতাে?
উত্তর : কলাপাতার ওপর লেখা ‘হােম-টাস্ক’ গােরু খেলে পাপ হবে ভেবে লেখকরা শৈশবে তা পুকুরে ফেলে দিতেন।
প্রশ্ন ।। শৈশবে লেখক শ্রীপান্থ কালি তৈরি করতেন কাদের সাহায্যে?
উত্তর : লেখক নিখিল সরকার ওরফে শ্রীপান্থ শৈশবে মা, পিসি ও দিদিদের সাহায্যে কালি তৈরি করতেন।
প্রশ্ন ।। “প্রাচীনেরা বলতেন—কী বলতেন?
উত্তর : প্রাচীনেরা বলতেন, “তিন ত্রিফলা সিমুল ছালা/ ছাগ দুগ্ধে করি মেলা/লৌহপাত্রে লােহায় ঘসি/ছিড়ে পত্র না ছাড়ে মসি।”
প্রশ্ন ।। লেখক শ্রীপান্থ প্রাচীন মিশরে জন্মালে কী করবেন ভেবেছিলেন?
উত্তর : লেখক প্রাচীন মিশরে জন্মালে নীলনদের তীর থেকে নল-খাগড়া ভেঙে তাকে ভোতা করে কলম বানিয়ে লিখতেন।
প্রশ্ন ।। প্রাচীন ফিনিসীয় সভ্যতায় বাস করলে কী করতেন লেখক শ্রীপান্থ?
উত্তর : ফিনিসীয় সভ্যতার অধিবাসী হলে লেখক বনপ্রান্ত থেকে হাড় কুড়িয়ে নিয়ে তাকে কলম বানিয়ে লিখতেন।
প্রশ্নঃ ‘অবাক হয়ে সেদিন মনে মনে ভাবছিলাম’- বক্তা কী ভেবেছিলেন?
উত্তর : বা শ্রীপান্থ দোয়াত কালির অস্তিত্ব-সংকট দেখে ভেবেছেন, এইসব দোয়াত কালি দিয়েই শেকসপিয়র, মিলটন, কালিদাস, ভবভূতি, কাশীরাম দাস, কৃত্তিবাস থেকে রবীন্দ্রনাথ, বঙ্কিমচন্দ্র, শরৎচন্দ্র তাঁদের সমস্ত অমর রচনা লিখে গেছেন।
প্রশ্ন ।। কেরি সাহেব কে ছিলেন?
উত্তর : খ্রিস্টান মিশনারি কেরি সাহেবের প্রকৃত নাম উইলিয়াম কেরি। ফোর্টউইলিয়ামকলেজেরবাংলাবিভাগেরঅধ্যক্ষ কেরিসাহেব বাংলা গদ্য-সাহিত্যের বিকাশে বিশেষ অবদান রেখেছেন।
প্রশ্ন ।। ‘কিছুদিন আগে এক বিদেশি সাংবাদিক লিখে ছিলেন’-বিদেশি সাংবাদিক কী লিখেছিলেন? –
উত্তর: ‘হারিয়ে যাওয়া কালি কলম’ প্রবন্ধে শ্ৰী পাৰ্থ জানিয়েছেন যে, কিছুকাল আগে একজন বিদেশি সাংবাদিক লিখে ছিলেন, কলকাতার চৌরঙ্গির পথে ভিড় করা ফেরিওয়ালাদের প্রতি তিন জনের মধ্যে একজনের পেশা ছিল কলম বিক্রি করা।
প্রশ্ন ) ‘কে না জানেন,-কী জানার কথা বলা হয়েছে?
উত্তর : হাতে লেখা পাণ্ডুলিপির পাতায় অক্ষর কাটাকুটি করতে গিয়ে রচিত হয়ে যাওয়া ছন্দোবদ্ধ সাদা-কালাে ছবিগুলির জন্য রবীন্দ্রনাথ চিত্রশিল্পী হিসেবে খ্যাতি লাভ করেছিলেন এ কথা সবাই জানে। এই জানার কথা এখানে বলা হয়েছে।
হারিয়ে যাওয়া কালি কলম
প্রশ্ন ।। ‘মুঘল দরবারে একদিন তাদের কত না খাতির, কত না সম্মান’-কাদের কথা বলা হয়েছে?
উত্তর : যাঁরা ওস্তাদ কলমবাজ তাঁদের বলা হতাে ক্যালিগ্রাফিস্ট বা লিপি-কুশলী। এই লিপি-কুশলীদের মােঘল দরবারে একসময় খুব খাতির ও সম্মান ছিল।
প্রশ্ন ।। মনে মনে আমি সেই ফরাসি কবির মতাে বলেছি -প্রাবন্ধিক কী বলেছেন?
উত্তর : লেখক শ্রীপান্থ মনে মনে ফরাসি কবির মতাে বলেছেন-“তুমি সবল, আমি দুর্বল। তুমি সাহসি, আমি ভীরু। তবু যদি আমাকে হত্যা করতে চাও। আচ্ছা, তবে তাই হােক।
প্রশ্ন) ।। ‘জন্ম নিল ফাউন্টেন পেন।’—ফাউন্টেন পেনের জন্মবৃত্তান্তটি উল্লেখ করাে।
উওর : লুইস অ্যান্ডারসন ওয়াটারম্যান দোয়াতের কালি বিভ্রাটের জন্য বাণিজ্যিক চুক্তি করতে ব্যর্থ হয়ে আধুনিক কলম সৃষ্টি করতে চেয়ে ফাউন্টেন পেন আবিষ্কার করেন।
প্রশ্ন ।। ‘সেই আঘাতেরই পরিণতি নাকি তার মৃত্যু। -কোন্ আঘাতের পরিণতিতে মৃত্যুর কথা বলা হয়েছে?
উত্তর : সাহিত্যিক ত্রৈলােক্যনাথ মুখােপাধ্যায়ের বুকে নাকি তাঁরই কলমের নিব অসাবধানে বিঁধে গিয়ে তার মৃত্যুর কারণ হয়।