বনভোজন কবিতার প্রশ্ন উত্তর class 4 Teacj Sanjib

বনভোজন কবিতার প্রশ্ন উত্তর class 4 Teacj Sanjib

কবিতা : বনভোজন

কবি : গোলাম মোস্তাফা

বনভোজন কবিতা

এই আর্টিকেলটিতে বনভোজন কবিতার সারমর্ম এবং অনুশীলনী প্রশ্ন-উত্তর এছাড়া কিছু এক্সট্রা প্রশ্ন-উত্তর আলোচনা করা হয়েছে।

বনভোজন কবিতার সারমর্ম :

কবিতাটিতে কবি এক গ্রীষ্মের দুপুরে কয়েকটি চঞলা বালিকার মিছিমিছি বা খেলার ছলে বনভোজনের এক মধুর চিত্র তুলে ধরেছেন। বৈশাখ মাসে এক দুপুরে না ঘুমিয়ে নুরু, পুষি, আয়ষা, শফি এই চারটি বালিকা সখের রাঁধুনি হয়ে বনভোজন করতে জড়ো হয়েছে আমবাগিচার তলায়। তারা সবাই আজ ভোজের নিমন্ত্রণে ব্যস্ত। তারই এক বিপুল আয়োজনে তারা বসে গেছে। তাদের মধ্যে কেউ এনেছে আঁচল ভরে আমের গুটি, কেউ এনেছে দুটি নারকেলের মালা, কেউ বা এনেছে ছোটো বঁটি বা ছুরি আবার কেউ বা এনেছে কেনা রঙিন খুরি। এতেই তারা যেন হাত পুড়িয়ে ফেলছে আবার দুচোখে ধোঁয়া লেগে তাদের কান্না পেয়ে যাচ্ছে। তাদের মধ্যে কেউবা কোর্মা-পোলাও রাঁধছে, কেউবা নুন চেখে দেখছে। কারণে অকারণে তারা হেসে গড়িয়ে । একসময় তাদের রান্না শেষ হলে নুরু গিন্নি হল এবং সবাই এক সারিতে বসে খাওয়া শুরু করল। বেশ তৃপ্তি করে সেই ধুলো বালির কোর্মা-পোলাও এবং কাদার পিঠে তারা খেল এবং বেজায় মিঠে বলে নিজেরাই তারিফ করল। এমন সময় সেখানে কবি এসে পড়লেন এবং দুষ্টু মেয়ে কটি খিলখিলিয়ে হেসে উঠে পালিয়ে গেল। শৈশবের ফেলে আসা দিনগুলোর একটি টুকরো ছবি কবি এই কবিতায় ফুটিয়ে তুলেছেন।

বনভোজন কবিতার পাঠ্যাংশের ব্যাকরণ ও নির্মিতি বিষয়ক প্রশ্নোত্তর

শব্দার্থ : বাগিচা—ছোটো বাগান। ধুম— উৎসব। বোশেখ – বাংলা বৈশাখ মাস। সুবিধা— সুযোগ। আমের গুটি—আমের মুকুল। চৈত—চৈত্র, বাংলা বছরের শেষ মাস চৈত্র শব্দের পদ্যরূপ। খুরি—মাটির পাত্র। বিপুল—বিশাল, বিরাট। বনভোজন— দল বেঁধে বাড়ির বাইরে গিয়ে রান্না করে খাওয়া। হলদি-হলুদ। বাটে—পেষাই করে। বিনা আগুন—আগুন ছাড়া। সখ—ইচ্ছা, সাধ। অকারণে— কারণ ছাড়াই। আয়োজন—উদ্যোগ, সংগ্রহ। ভোজ— নানান রকম ভালো খাবারের আয়োজন। ব্যস্ত—ব্যাকুল। চাখে—স্বাদগ্রহণ করে। বেজায়—খুব। মিঠে—মিষ্টি। গিন্নি—গৃহিণী। বিপরীত শব্দ ঃ সুবিধা—অসুবিধা। দুষ্টু—শান্ত। ঘুমিয়ে—জেগে। ছোট্ট—বড়ো। কাঁদা—হাসা। শেষ — শুরু।

মিছিমিছি—সত্যিসত্যি। আজকে—কালকে। কেনা-বেচা। তলায়—উপরে।

বাক্য ঘুম — তীব্র গরমের জন্য রাতে চোখে ঘুম আসছে না। দুষ্টু–কয়েকটি দুষ্টু মেয়ে বাগানে হইচই করে বেড়াচ্ছে। আঁচল—আঁচল ভরে শিউলি ফুল কুড়িয়ে নিয়ে মেয়েটি চলেছে। রঙিন— উৎসবের দিনে পথঘাট রঙিন আলোকমালায় সেজে উঠেছে। ব্যস্ত – আজ পূজার দিনে সবাই আয়োজনে ব্যস্ত। ধোঁয়া— উনুনের ধোঁয়া লেগে চোখে জল এসে পড়ছে। রান্না – ভোজবাড়িতে নানান রকম রান্না হয়েছে। কোর্মা-পোলাও—কোর্মা-পোলাও খুবই মশলাদার রান্নার পদ। পিঠে—পৌষ পার্বণে ঘরে ঘরে পিঠে তৈরি হয়। মিঠে- কাঁচা মিঠে আম দেখলে জিভে জল আসে।

বনভোজন-কবিতার-প্রশ্ন-উত্তর-class-4-Teacj-Sanjib

বনভোজন কবিতার হাতে কলমে : অনুশীলনী প্রশ্ন ও উত্তর

১. গোলাম মোস্তাফা কোথায় জন্মগ্রহণ করেছিলেন?

উঃ। কবি গোলাম মোস্তাফা অধুনা বাংলাদেশের অন্তর্গত ঝিনাইদহ জেলার মনোহরপুর গ্রামে এক সম্ভ্রান্ত ও উচ্চশিক্ষিত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন।

2. তাঁর দুটি কবিতার বইয়ের নাম লেখো ? উঃ। তাঁর দুটি কবিতার বইয়ের নাম রক্তরাগ ও হাস্নাহেনা।

৩. একটি বাক্যে উত্তর দাও :

৩.১ কবিতাটিতে কারা খেলতে এসেছিল?

উঃ। কবিতাটিতে নুরু, পুষি, আয়ষা, শফি সবাই খেলতে এসেছিল।

৩.২ ‘বাগিচা’ শব্দের অর্থ কী?

উঃ। ‘বাগিচা’ শব্দের অর্থ ছোটো বাগান।

৩.৩ রান্নার জন্য তারা কী কী সঙ্গে এনেছিল?

উঃ। রান্নার জন্য তারা আমের গুটি, নারিকেলের মালার হাঁড়ি, রঙিন খুরি, ছোট্ট বঁটি, ছুরি সঙ্গে এনেছিল।

৩.৪ কবিতায় কে মিছিমিছি গিন্নি সেজেছিল?

উঃ। কবিতায় নুরু মিছিমিছি গিন্নি সেজেছিল।

৩.৫ মিছিমিছি কী কী খাবার রাঁধা হয়েছিল?

উঃ। মিছিমিছি ভাত, কোর্মা-পোলাও ও কাদা দিয়ে পিঠে রাঁধা হয়েছিল।

৩.৬ কবিতায় ওদের খেলার মাঝে কে এসে পড়েছিল?

উঃ। কবিতায় ওদের খেলার মাঝে কবি এসে পড়েছিলেন।

৪. যেটি ঠিক সেটি বেছে নিয়ে লেখো :

৪.১ কবিতাটিতে (৪/৩/৫) টি মেয়ের কথা বলা হয়েছে।

উঃ। কবিতাটিতে ৪টি মেয়ের কথা বলা হয়েছে।

৪.২ বিনা (আগুন/জল/কাদা) দিয়েই তাদের হচ্ছে সবার রাঁধা।

উঃ। বিনা আগুন দিয়েই তাদের হচ্ছে সবার রাঁধা।

৪.৩ (আম/জাম/চা) বাগিচার তলায় যেন তারা হেসেছে।

উঃ। আম বাগিচার তলায় যেন তারা হেসেছে।

৫. শব্দঝুড়ি থেকে উপযুক্ত শব্দ নিয়ে শূন্যস্থানে বসাও : শব্দঝুড়ি ঃ হাঁড়ি, বোশেখ, ছবি, আমি, বিপুল

উত্তরঃ

৫.১ বোশেখ মাসের এই দুপুরে নাইকো কারো ঘুম।

৫.২ নারিকেলের মালার হাঁড়ি কেউ এনেছে দুটি।

৫.৩ কেউ এনেছে ছোট্ট বঁটি, কেউ এনেছে ছুরি।

৫.৪ বসে গেছে সবাই আজি বিপুল আয়োজনে।

৫.৫ এমন সময় হঠাৎ আমি পড়েছি যেই এসে।

৬. ‘ক’ স্তম্ভের সঙ্গে ‘খ’ স্তম্ভ মিলিয়ে লেখো :

উত্তরঃ

নুন =লবণ
ধোঁয়া =ধূম
বিপুল=বড়ো
আগুন =অগ্নি
ঘুম =নিদ্রা
বাগিচা =বাগান

 

৭. নীচের বর্ণগুলি যোগ করে শব্দ তৈরি করো :
স্ + অ + ব্ + আ + ই = সবাই
ব্ + আ + গ্ +ই+চ্ + আ = বাগিচা
দ্ + উ + ষ্ + ট্ + উ = দুষ্টু।
র্ + আ + ধ + উ + ন্ + ই = রাধুনি = ব্ + য্ + অ + প্ + ত্ + অ = ব্যস্ত

৮. এলোমেলো বর্ণগুলিকে সাজিয়ে শব্দ তৈরি করো :

লে রি না কে = নারিকেল

র কা অ ণে = অকারণে

ণ ম নি ন্ত্র = নিমন্ত্রণ

ন ভো ন ব জ = বনভোজন

ন য়ো জ আ = আয়োজন

৯. বর্ণ বিশ্লেষণ করো :

গিন্নি – গ্+ই+ন্+ন্+ই

নিমন্ত্রণ – ন্+ই+ ম + অ+ন্+ন্ত্র+ণ

-রঙিন – র+অ+ ঙ +ই+ন্

১০. কবিতাটিতে অন্ত্যমিল আছে এমন পাঁচজোড়া শব্দ লেখো : যেমন- ধুম / ঘুম।

উঃ গুটি/দুটি ঘুরি/ছুরি, রাঁধা/কাঁদা, নুন/খুন, ভাত/হাত।

১১. কবিতায় ধুলো-বালি দিয়ে কোর্মা-পোলাও ও কাদা দিয়ে পিঠে তৈরির কথা বলা হয়েছে। মিছিমিছি রান্নাবাটি খেলায় আর কী কী রান্না ধুলো-বালি, কাদা দিয়ে তৈরি করতে পারো লিখে জানাও।

উঃ। ধুলো-বালির ভাত, হালুয়া তৈরি করতে পারি। আর কাদা দিয়ে বড়া, রসগোল্লা, সন্দেশ, চপ, কাটলেট তৈরি করতে পারি।

১২. বাক্য রচনা করো ঃ

বনভোজন— আমরা স্কুল থেকে সবাই মিলে বনভোজনে যাব।

মিছিমিছি—ছোটো ছেলেমেয়েরা মিছিমিছি রান্নাবাটি খেলে।

ৰাগিচা—দার্জিলিঙে বহু চা ৰাগিচা দেখা যায় ৷

আঁচল—আঁচল দিয়ে মেয়েটি নিজের মুখটি ঢেকে নিল। ছুরি-রাজু সমরবাবুকে ছুরি দিয়ে আঘাত করল।

নিমন্ত্রণ—আমার দিদির বিয়েতে তোমার নিমন্ত্রণ রইল।

১৩. নীচের প্রশ্নগুলির উত্তর নিজের ভাষায় লেখো : বনভোজন কবিতার

১৩.১ নুরু, শফিরা দুপুরবেলা ঘুমোয়নি কেন?

উঃ। নুরু, শফিরা দুপুরবেলায় আম বাগিচার তলায় মিছিমিছি বনভোজনের জন্য জড়ো হয়েছিল। তাই তারা দুপুর বেলায় ঘুমোয়নি।

১৩.২ কৰি এসে পড়ায় সবাই পালিয়ে গিয়েছিল কেন?

উঃ। মেয়েগুলি মিছিমিছি রান্না করছিল, আবার গিন্নি সেজে খাবার দিচ্ছিল। কবিকে দেখে তারা লজ্জা পেয়ে গিয়েছিল। তাই তারা সবাই হাসতে হাসতে পালিয়ে গিয়েছিল।

১৩.৩ বন্ধুদের সঙ্গে কখনও বনভোজনে গিয়ে থাকলে সেই অভিজ্ঞতার কথা কয়েকটি বাক্যে লেখো।

উঃ। একবার শীতের ছুটিতে গ্রামের বাড়িতে বেড়াতে গিয়ে আমি আমাদের গ্রামের কয়েকটি বন্ধু মিলে নদীর ধারে বনভোজনে গিয়েছিলাম। আমাদের বনভোজনে কোনো রান্না করা হয়নি, কারণ আমরা বয়সে ছোটো তার উপরে রাঁধতে জানি না। তাই আমরা বন্ধুরা সবাই মিলে নিয়ে গিয়েছিলাম মুড়ি, বাদাম, চানাচুর, কাঁচালংকা, পেঁয়াজ, তেল ও নুন। কয়েকজন তাদের গাছ থেকে পেড়ে এনেছিল শসা, টম্যাটো। একজন এনেছিল বাড়ি থেকে একটি নারকেল। খবরের কাগজে সব মশলা দিয়ে মুড়ি মাখিয়ে খেয়ে, নদীর ধারে হইচই করে খেলে সেদিন খুব মজা করেছিলাম।

১৩.৪ বৈশাখ মাসের দুপুরে নুরু, পুষি, আয়ষা, শফিরা মিছিমিছি রান্নাবাটি খেলছিল। তুমি গরমের ছুটিতে দুপুর বেলাগুলো কেমন করে কাটাও সে বিষয়ে লেখো।

উঃ। আমি শহরে থাকি, সেখানে দুপুরবেলা গরমে বাড়ির বাইরে বেরোনো যায় না। তাই গরমের ছুটির দুপুরবেলায় আমি না ঘুমিয়ে গল্পের বই পড়ি। কোনো কোনো দিন গল্পের বই পড়তে ভালো না লাগলে ছবি আঁকার সরগ্রাম নিয়ে বসে যাই ছবি আঁকতে। এভাবেই আমার গরমের ছুটির দুপুরবেলাগুলো কেটে যায়।

১৪. গদ্যরূপ লেখো :

উঃ। বোশেখ- বৈশাখ। চৈত-চৈত্র।

১৫. একই অর্থের শব্দ পাঠ থেকে খুঁজে নিয়ে লেখো :

ইচ্ছা-সখ বাগান – ৰাগিচা। হলদি- হলুদ। মিঠে- চড়ুইভাতি ~ বনভোজন। নিদ্রা-ঘুম।

১৬. বিপরীতার্থক শব্দ লেখো :

মিষ্টি।

উঃ। আজি-কাল। ছোটো-বড়ো। হেসে-কেঁদে। শুরু–শেষ। তলায় উপরে। উপরে।

বনভোজন কবিতার ● অতি-সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর :

১. কাদের শখের রাঁধার ধুম পড়ে গিয়েছিল?

উঃ। নুরু, পুষি, আয়ষা, শফি এদের শখের রাঁধার ধুম পড়ে গিয়েছিল।

২. কেউ আঁচল ভরে কী কুড়িয়ে এনেছে? উঃ। কেউ আঁচল ভরে আমের গুটি কুড়িয়ে এনেছে। রান্নার সবজি কাটার জন্য তারা ছোটো বঁটি ও ছুরি এনেছিল।

৩. রান্নার সবজি কাটার জন্য তারা কী কী এনেছিল ?

উঃ। ।রান্নার সবজি কাটার জন্য তারা ছুরি ও বটি এনেছিল ।

৪. কী জিনিস ছাড়াই তাদের রাঁধা চলছিল?

উঃ। আগুন ছাড়াই তাদের রাঁধা চলছিল

৫. রাঁধুনিরা কী কী রান্না করেছিল?

উঃ। রাঁধুনিরা ভাত, কোর্মা পোলাও ও পিঠে রান্না করেছিল।

৬. অকারণে তারা কী করছিল?

উঃ। অকারণে তারা বারেবারে হেসে উঠছিল।

৭. কেউ কোন্ সময় কেনা রঙিন খুরি এনেছিল?

উঃ। কেউ চৈত-পুজোতে কেনা রঙিন খুরি এনেছিল।

৮. বনভোজনে তারা কীভাবে খাওয়া শুরু করেছিল?

উঃ। তারা সবাই এক লাইনে বসে খাওয়া শুরু করেছিল।

৯. কবি এসে পড়ায় রাঁধুনিরা কী করল?

উঃ। কবি এসে পড়ায় তারা সবাই খিলখিলিয়ে হেসে উঠে পালিয়ে গেল।

১০. দুপুরে কোন্ সুবিধে পেয়ে দুষ্টু মেয়ে কটি বনভোজনে মিলেছিল?

উঃ। দুপুরে তাদের বাপ-মা ঘুমিয়ে থাকায় সুবিধা পেয়ে মেয়ে কটি বনভোজনে মিলেছিল।

বনভোজন কবিতার ● সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর :

১. রাঁধুনিরা কীভাবে মিছিমিছি বনভোজনের রান্না করেছিল?

উঃ। নুরু, পুষি, আয়ষা, সফি নামে চারটি দুষ্টু মেয়ে তাদের সখের বনভোজনে রাঁধুনি সেজে ভোজের বিপুল আয়োজনে ব্যস্ত হয়ে পড়েছিল। মিছিমিছি কেউ বা বসে হলদি বাটছিল আবার কেউ বা ভাত রাঁধছিল। তাদের

বাংলা সাহিত্য

মধ্যে কেউ বা ধুলো-বালি দিয়ে কোর্মা-পোলাও রাঁধছিল আর কাদা দিয়ে পিঠে তৈরি করছিল। মাঝে মাঝে তারা মিছিমিছি রান্নাতে নুন হয়েছে কিনা তাও চেখে দেখছিল।

২. কবিতায় দুষ্টু মেয়ে কটি, কখন ও কোথায় বনভোজন করছিল? বনভোজনের জন্য তারা কী কী এনেছিল?

উঃ। কবিতায় দুষ্টু মেয়ে কটি বৈশাখ মাসের এক দুপুরে আম বাগিচার তলায় বনভোজন করছিল।

বনভোজনের জন্য তারা কেউবা আঁচল ভরে আমের গুটি এনেছিল। কেউবা দুটি নারিকেলের মালার হাঁড়ি এনেছিল। কেউ এনেছিল ছোটো বঁটি ও ছুরি এবং রঙিন খুরি।

৩. কবিতায় বনভোজনে রান্নায় সবচেয়ে দরকারি জিনিসটি

মেয়েগুলি ব্যবহার করেনি সেটি কী? সেটি না থাকলেও মেয়ে কটি কীভাবে বুঝিয়ে দিয়েছে সেটি রয়েছে?

উঃ। বনভোজনের রান্নায় সবচেয়ে দরকারি জিনিসটি হল আগুন, যেটি মেয়েগুলি ব্যবহার করেনি। বিনা আগুনে রান্না করলেও বনভোজনের খেলায় তাদের নানারকম রান্না হয়েছিল। তারা বুঝিয়ে দিয়েছিল যে দেখা না গেলেও আগুন তাদের খেলায় রয়েছে। তারা এমন ভাব-ভঙ্গী করেছিল যে গরম আগুনে তাড়াতাড়িতে হাত পুড়ে গিয়েছিল। আগুনের ধোঁয়ায় তাদের সবার চোখ থেকে জল পড়ছিল, তারা কাঁদছিল।

৪. ‘রান্না তাদের শেষ হল যেই, …….. তাদের রান্না শেষ হবার পর কী হয়েছিল?

উঃ। চারটি দুষ্টু মেয়ের মিছিমিছি রান্নার আয়োজন শেষ হবার পর নুরু গিন্নি হয়ে সবাইকে পরিবেশন করা শুরু করল। এক লাইনে সবাই মিলে বসে তারা খাওয়া শুরু করল। ধুলো-বালির কোর্মা-পোলাও আর কাদার পিঠে স মিছিমিছি খেয়ে তারা সবাই বলল বেজায় মিঠে হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *