সমাস বাংলা ব্যাকরণ গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন উত্তর

 সমাস বাংলা ব্যাকরণ গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন উত্তর

 

কমবেশি কুড়িটি শব্দে নীচের প্রশ্নগুলির উত্তর দাও

সমাস-বাংলা-ব্যাকরণ-গুরুত্বপূর্ণ-প্রশ্ন-উত্তর

 

 

● প্রশ্ন ২.১। ‘সমাস’ শব্দের আক্ষরিক ও ব্যাকরণগত অর্থ কী?

 

উত্তর : ‘সমাস’ শব্দের আক্ষরিক অর্থ হলো ‘মিলন বা সমাহার’। ব্যাকরণগত অর্থ হলো পরস্পর অর্থসম্বন্ধযুক্ত দুই বা তার বেশি পদ মিলে একপদে পরিণত হওয়া।

 

প্রশ্ন ২.২। সমাসের লক্ষণীয় বৈশিষ্ট্যগুলি উল্লেখ করো।

 

উত্তর : সমাসে সমাসবদ্ধ হওয়ার পদগুলি—(১) পাশাপাশি অবস্থিত, (২) পারস্পরিক অর্থসম্পর্ক যুক্ত, (৩) অর্থ – সম্পর্কযুক্ত বলেই দুই বা দুইয়ের বেশি পদ একপদে পরিণত হওয়া।

 

প্রশ্ন ২.৩। সমাসে পাশাপাশি অবস্থিত পদের একপদী- করণ হওয়ার উদ্দেশ্য কী?

 

উত্তর : পদের সমাসবদ্ধ হওয়ার উদ্দেশ্য বক্তব্য প্রকাশের ভাষা প্রাঞ্জল, মধুর ও পাঠ সুখকর হয়ে ওঠা।

 

● প্রশ্ন ২.৪। সমাস ও সন্ধির গঠনগত পার্থক্য কী?

 

উত্তর : সমাস ও সন্ধির গঠনগত পার্থক্য এই যে, সমাসে পরস্পর অর্থসম্বন্ধযুক্ত দুই বা তার বেশি পদের মিলনে একপদে পরিণত

 

হওয়া। সন্ধিতে পাশাপাশি অবস্থিত দুই ধ্বনির পরিবর্তন বা লোপ বা মিলনের মাধ্যমে একপদীকরণ।

 

। প্রশ্ন ২.৫। সমাসের ব্যাসবাক্য উদাহরণ দিয়ে বুঝিয়ে দাও।

 

উত্তর : সমাসবদ্ধপদকে ভাঙলে বা ব্যাখ্যা করলে যে বাক্য বা বাক্যাংশটি পাওয়া যায়, তা হলো ব্যাসবাক্য বা বিগ্রহবাক্য। যেমন—জলজ = জলে জন্মে যা।‘জলে জন্মে যা’ ব্যাসবাক্য।

 

প্রশ্ন ২.৬। উদাহরণসহ সমস্যমান পদ আলোচনা করো।

 

উত্তর : ব্যাসবাক্যের অন্তর্গত প্রতিটি পদ সমস্যমান পদ। যেমন—পথচলা = পথে চলা।‘পথে’ ও ‘চলা’ সমস্যমান পদ।

 

প্রশ্ন ২.৭। পূর্বপদ ও পরপদ কী উদাহরণ দিয়ে বুঝিয়ে দাও।

 

উত্তর : ব্যাসবাক্যের প্রথমাংশের পদ পূর্বপদ, শেষাংশের পদ পরপদ। যেমন—অর্থগৌরব = অর্থের গৌরব। ‘অর্থের’ পূর্বপদ, ‘গৌরব’ পরপদ।

 

● প্রশ্ন ২.৮। সমাস কয় প্রকার ও কী কী?

 

উত্তর : সমাস নয় প্রকার। যেমন—দ্বন্দ্ব, কর্মধারয়, তৎপুরুষ বহুব্রীহি, দ্বিগু, অব্যয়ীভাব, নিত্যসমাস, অলোপ, বাক্যাশ্রয়ী।

 

● প্রশ্ন ২.১। কোন্ সমাসে কোন্ পদের অর্থপ্রাধান্য তার তালিকা তৈরি করো।

 

উত্তর : পরপদের অর্থপ্রাধান্য : তৎপুরুষ, কর্মধারয়। উভয় পদের অর্থপ্রাধান্য : দ্বন্দ্ব। অন্য পদের অর্থপ্রাধান্য : বহুব্রীহি। পূর্বপদের অর্থপ্রাধান্য : অব্যয়ীভাব।

= উত্তর : হাট ও বাজার = হাট-বাজার। পূর্ব ও পরপদ একই অর্থবিশিষ্ট, সে-অর্থে সমার্থক। উভয় পদের সমাসনিষ্পন্ন হওয়ায় উভয় পদের অর্থ প্রধান। কাজেই সমার্থক দ্বন্দ্ব।

 

প্রশ্ন ২.১২। ‘ইত্যাদি’ অর্থবোধক দ্বন্দ্ব বলতে কী বোঝো?

 

 

উত্তর : অনুরূপ বা সমজাতীয় ভাব প্রকাশের জন্য অনুচর, সহচর, প্রতিচর প্রভৃতি অর্থবোধক শব্দের মিলনে ‘ইত্যাদি অর্থবোধক’ দ্বন্দ্ব হয়।

 

● প্রশ্ন ২.১৩। একশেষ দ্বন্দ্ব কাকে বলে? উদাহরণ দাও।

 

উত্তর : যে দ্বন্দ্ব সমাসের সমস্যমান পদগুলির মধ্যে সমাসনিষ্পন্ন হওয়ার পরে একটিমাত্র পদ থাকে ও অন্য পদগুলি নিবৃত্ত হয়, তা একশেষ দ্বন্দ্ব। যেমন— সে ও তুমি = তোমরা।

 

• প্রশ্ন ২.১৪। কর্মধারয় সমাস বলতে কী বোঝো? উদাহরণ দাও।

 

উত্তর : বিশেষণ ও বিশেষ্য বা বিশেষ্য ও বিশেষ্য কিংবা বিশেষণ ও বিশেষণ পদে সমাস হলে এবং পরপদের অর্থ প্রধানরূপে প্রতীয়মান হলে, তাকে বলা হয় কর্মধারয় সমাস। যেমন— —পূর্ণ যে চন্দ্ৰ = পূর্ণচন্দ্ৰ।

 

• প্রশ্ন ২.১৫। উদাহরণসহ উপমান কর্মধারয় লেখো।

 

উত্তর : বরফের মতো সাদা = বরফসাদা।‘বরফ’ উপমান, ‘সাদা’ সাধারণ ধর্ম। উপমানবাচক পূর্বপদের সঙ্গে সাধারণ ধর্মবাচক পরপদের সমাস হয়েছে। এ ধরনের সমাস উপমান কর্মধারয়।

 

• প্রশ্ন ২.১৬। নর সিংহের ন্যায় = নরসিংহ। এই দৃষ্টান্তকে উপমিত কর্মধারয় বলা হয়েছে কেন?

 

উত্তর : ‘নর’ পূর্বপদ উপমেয়বাচক, ‘সিংহ’ পরপদ উপমানবাচক। উভয়ের মধ্যে সমাসনিষ্পন্ন হয়েছে এবং উত্তর পদের অর্থ প্রাধান্য পেয়েছে। সেজন্য উপমিত কর্মধারয়।

 

• প্রশ্ন ২.১৭। রূপক কর্মধারয় কাকে বলে? উদাহরণ দাও।

 

উত্তর : উপমেয়বাচক পূর্বপদ ও উপমানবাচক পরপদের মধ্যে

 

অভেদ কল্পনা করা হলে এবং উত্তরপদের অর্থ প্রাধান্য পেলে, তাকে বলা হয় রূপক কর্মধারয়। যেমন—শোকরূপ সিন্ধু = শোকসিন্ধু।

 

● প্রশ্ন ২.১০। ‘দ্বন্দু’ সমাস বলতে কী বোঝো উদাহরণ দাও।

 

উত্তর : ব্যাসবাক্যের পূর্ব ও পরপদ সংযোজক অব্যয় দ্বারা যুক্ত হলে এবং সমাসনিষ্পন্ন হওয়ার পর পূর্ব ও পরপদের অর্থ প্রধান হলে, দ্বন্দ্ব সমাস হয়। যেমন— মা ও মেয়ে – মা-মেয়ে। = • প্রশ্ন ২.১১। উদাহরণসহ সমার্থক দ্বন্দ্ব আলোচনা করো।

প্রশ্ন ২.১৮। ‘কুটিরশিল্প’ পদটিকে মধ্যপদলোপী কর্মধারয় বলা হয় কেন?

 

উত্তর : যে কর্মধারয় সমাসে ব্যাসবাক্যের মধ্যপদ লোপ পায়, তাকে বলা হয় মধ্যপদলোপ কর্মধারয়। ‘কুটিরশিল্প’ পদটির ব্যাসবাক্য হলো ‘কুটির জাত শিল্প’ সমাসনিষ্পন্ন হওয়ার সময় মধ্যপদ ‘জাত’ লোপ পেয়েছে।

 

● প্রশ্ন ২.১৯। তৎপুরুষ সমাস বলতে কী বোঝো? উদাহরণ দাও।

 

উত্তর : যে সমাসে পূর্বপদের কর্ম, করণ, অপাদান প্রভৃতি বিভক্তি লোপ পায় এবং পরপদের অর্থ প্রাধান্য থাকে, তাকে তৎপুরুষ সমাস বলে। যথা—বীজকে বোনা = বীজবোনা।

 

● প্রশ্ন ২.২০। উদাহরণ দিয়ে কর্ম তৎপুরুষ বুঝিয়ে দাও।

 

উত্তর : রথকে দেখা = রথ-দেখা। পূর্বপদ ‘রথকে’ কর্মের ‘কে’ বিভক্তি সমাসনিষ্পন্ন হওয়ার সময় লোপ পেয়েছে এবং ‘দেখা’র অর্থ প্রধান হয়েছে। সেজন্য ‘রথ-দেখা’ কর্মতৎপুরুষ।

 

• প্রশ্ন ২.২১। করণ তৎপুরুষ উদাহরণসহ আলোচনা করো।

 

উত্তর : যে তৎপুরুষ সমাসে পূর্বপদে করণের জন্য বিভক্তি-রূপে ব্যবহৃত ‘দিয়া’, ‘দ্বারা’ইত্যাদি লোপ পায়, তাকে বলা হয় করণ তৎপুরুষ। যেমন—যন্ত্র দ্বারা চালিত = যন্ত্রচালিত। ‘দ্বারা’ লোপ পেয়েছে।

 

প্রশ্ন ২.২২। সম্বন্ধ তৎপুরুষ কাকে বলে? উদাহরণ দাও।

 

উত্তর : যে তৎপুরুষ সমাসে পূর্বপদের সম্বন্ধ বিভক্তি ‘র’, ‘এর’ লোপ পায়, তাকে বলা হয় সম্বন্ধ তৎপুরুষ। যেমন— পথের রাজা = রাজপথ।

 

। প্রশ্ন ২.২৩। ‘হইতে’, ‘থেকে’ বিভক্তি কোন্ সমাসে লোপ পায়?

 

উত্তর : অপাদান তৎপুরুষ সমাসে পূর্বপদে বিভক্তিস্বরূপ ‘হইতে’, ‘থেকে’ অনুসর্গ ব্যবহৃত হয়। সমাস হওয়ার সময় বিভক্তিস্বরূপ ‘হইতে’, ‘থেকে’ অনুসর্গ লোপ পায়।

 

। প্রশ্ন ২.২৪। অধিকরণ তৎপুরুষের পূর্বপদের বিভক্তি কী কী? সমাসনিষ্পন্ন হওয়ায় এগুলির কী হয় লেখো ও উদাহরণ দাও।

 

উত্তর : অধিকরণ তৎপুরুষে বিভক্তি ‘এ’, ‘য়’। সমাসনিষ্পন্ন হওয়ার সময় ‘এ’ কিংবা ‘য়’ বিভক্তি লোপ পায়। যেমন—মনে মরা = মনমরা।

 

প্রশ্ন ২.২৫। না-তৎপুরুষের পূর্বপদ কী হয়? সমাস হওয়ার সময় না, নয়, ‘নেই’ স্থানে কী হয়?

 

উত্তর : না-তৎপুরুষের পূর্বপদ হয় ‘না’, ‘নয়’, ‘নেই’ ইত্যাদি নঞর্থক বা নিষেধার্থক অব্যয়। সমাসনিষ্পন্ন হওয়ার সময় না, নয়, নেই স্থানে হয় অ, অনা, না, আ, গর, বি, বে, নি, নির্ ইত্যাদি।

 

• প্রশ্ন ২.২৬। কৃদন্ত পদ কী? উপপদই বা কী?

 

উত্তর : কৃৎ-প্রত্যয়ান্ত পদ হলো কৃদন্ত পদ। কৃদন্ত পদের পূর্ববর্তী পদ হলো উপপদ। যেমন—ইন্দ্ৰজিৎ = ইন্দ্ৰ-জিৎ। ‘জিৎ’ কৃদন্ত পদ, তার পূর্ববর্তী পদ ‘ইন্দ্র’ উপপদ।

 

• প্রশ্ন ২.২৭। উপপদ তৎপুরুষ কাকে বলে? উদাহরণ দাও।

 

উত্তর : উপপদের সঙ্গে কৃদন্ত পদের মিলনে যে সমাস হয়, তাকে উপপদ তৎপুরুষ সমাস বলে। যেমন—ইন্দ্রকে জয় করেছেন যিনি = ইন্দ্ৰজিৎ।

 

। প্রশ্ন ২.২৮। ব্যাপ্তি তৎপুরুষ সমাস বলতে কী বোঝো?

 

উত্তর : যে তৎপুরুষ সমাসে ব্যাপ্তি অর্থ প্রকাশিত হয়, তাকে বলা হয় ব্যাপ্তি তৎপুরুষ সমাস। যেমন—চিরকাল ব্যাপী স্মরণীয় চিরস্মরণীয়।

 

। প্রশ্ন ২.২৯। ব্রিয়াবিশেষণ তৎপুরুষ কাকে বলে? উদাহরণ দাও।

 

উত্তর : যে তৎপুরুষ সমাসে পূর্বপদ ক্রিয়াবিশেষণ হয়, তাকে বলা হয় ক্রিয়াবিশেষণ তৎপুরুষ।

 

॥ প্রশ্ন ২.৩০। কোন্ সমাসের বৈশিষ্ট্য হলো পূর্বপদ উপসর্গ। তার সঙ্গে পর পর বিশেষ্যের সমাস বলে কী সমাস হয়?

 

উত্তর : উপসর্গ তৎপুরুষের পূর্বপদের বৈশিষ্ট্য হলো উপসর্গ। তার সঙ্গে পরপদ বিশেষ্যের সমাস হলে উপসর্গ তৎপুরুষ সমাস হয়। যেমন—বি (বিরুদ্ধা) মাতা = বিমাতা।

 

প্রশ্ন ২.৩১। কোন্ সমাসে সমস্যমান পদের অর্থ প্রতীয়মান হয় না? অথচ ওই সমস্যমান পদের দ্বারা কী অর্থ প্রকাশিত হয়?

 

উত্তর : বহুব্রীহি সমাসে সমস্যমান পদের অর্থ প্রকাশিত হয় না। অথচ ওই সমস্যমান পদের দ্বারা লক্ষিত অর্থ প্রকাশিত হয়, বহুব্রীহি সমাসের এটাই বৈশিষ্ট্য।

 

● প্রশ্ন ২.৩২। বহুব্রীহি সমাসের পূর্বপদ কী হয়? উদাহরণ দিয়ে পূর্বপদ দেখিয়ে দাও।

 

উত্তর : বহুব্রীহি সমাসের পূর্বপদ হয় বিশেষ্য, বিশেষণ কিংবা সংখ্যাবাচক বিশেষণ। যেমন—চন্দ্র (বিশেষ্য) শেখরে যাঁর, (বিশেষণ) অম্বর যাঁর, দশ (সংখ্যাবাচক বিশেষণ) আনন যাঁর। পীত

 

● প্রশ্ন ২.৩৩। ব্যতিহার বহুব্রীহি কাকে বলে? উদাহরণ দাও। 

.

উত্তর : যে বহুব্রীহি সমাসে একই পদের পুনরুক্তির দ্বারা পরপর একজাতীয় ক্রিয়া করা বোঝায়, তাকে ব্যতিহার বহুব্রীহি যেমন—লাঠিতে লাঠিতে যুদ্ধ = লাঠালাঠি। সমাস বলে।

 

প্রশ্ন ২.৩৪। সহার্থক বহুব্রীহি বলতে কী বোঝো? উদাহরণ দাও।

 

উত্তর : যে বহুব্রীহি সমাসে সহার্থক পূর্বপদের সঙ্গে বিশেষ্য পদের সমাস হয়, তাকে বলা হয় সহার্থক বহুব্রীহি সমাস। যেমন— পরিবারসহ বর্তমান = সপরিবার।

 

প্রশ্ন ২.৩৫। না-বহুব্রীহি সমাসের পূর্বপদ কী হয়? তোমার উত্তরের স্বপক্ষে উদাহরণ দাও।

 

উত্তর : না-বহুব্রীহি সমাসের পূর্বপদ হয় নঞর্থক বা নিষেধার্থক অব্যয়। উদাহরণ—নেই খুঁত যার = নিখুঁত। =

 

প্রশ্ন ২.৩৬। ‘সহস্ৰলোচন’-কে সংখ্যাবাচক বহুব্রীহি বলা হয় কেন?

 

উত্তর : সহস্র লোচন যার সহস্ৰলোচন। পূর্বপদ ‘সহস্ৰ’ সংখ্যাবাচক বিশেষণ। তার সঙ্গে পরপদ ‘লোচন’ বিশেষ্যের সমাস হয়েছে। এই জন্য বহুব্রীহি সমাস। =

 

। প্রশ্ন ২.৩৭। নীচের ব্যাসবাক্যটিকে সমাসবদ্ধ করে তার শ্রেণি নির্ণয় করো-শশ অঙ্কে যার-।

 

উত্তর : শশ অঙ্কে যার = শশাঙ্ক। ‘শশাঙ্ক’ বহুব্রীহি সমাস। ● 

 

প্রশ্ন ২.৩৮। দ্বিগু সমাস কাকে বলে? উদাহরণ দাও।

 

উত্তর : সংখ্যাবাচক বিশেষণ পদের সঙ্গে বিশেষ্যপদের সমাস হলে এবং সমাহার বা সমষ্টি অর্থ প্রকাশিত হলে, তাকে বলা হয় (দ্বিগু)। যেমন—পঞ্চবটের সমাহার = পঞ্চবটী।

 

। প্রশ্ন ২.৩৯। অব্যয়ীভাব সমাসের পূর্বপদ কী হয়? কোন্ পদের অর্থ প্রধান হয়? সমাস- নিষ্পন্ন হলে পরপদের কী হয়?

 

উত্তর : অব্যয়ীভাব সমাসের পূর্বপদ হয় অব্যয়। পূর্বপদের অর্থ প্রধান হয়। সমাসনিষ্পন্ন হলে পরপদ হয় অব্যয়ভাবাপন্ন। যেমন—ভাতের অভাব = হা-ভাত।

 

প্রশ্ন ২.৪০। যোগ্যতা, সাদৃশ্য ও পশ্চাৎ অর্থ প্রকাশক তিনটি অব্যয়ীভাব সমাসের একটি করে উদাহরণ দাও উত্তর : যোগ্যতা—ভাবের যোগ্য = অনুভাব, সাদৃশ্য—দ্বীপের সদৃশ = উপদ্বীপ, পশ্চাৎ—গমনের পশ্চাৎ = অনুগমন।

 

 

প্রশ্ন ২.৪১। ‘নিত্যসমাস’ বলতে কী বোঝো?

 

উত্তর : যে সমাসে সমস্যমান পদগুলি নিত্য বা সবসময় সমাসবদ্ধ থাকে, অর্থাৎ যার ব্যাসবাক্য হয় না, ব্যাসবাক্য করতে হলে একই অর্থবিশিষ্ট অন্য পদ নিতে হয়, তাকে বলা হয় নিত্যসমাস। যেমন—কেবল নাম = নামমাত্র।

 

(মাধ্যমিক, ২০১৯)

 

প্রশ্ন ২.৪৩। ব্যাসবাক্যসহ সমাসের নাম লেখো : অনুগমন।

 

উত্তর: গমনের পশ্চাৎ = অনুগমন (অব্যয়ীভাব সমাস)।

 

● প্রশ্ন ২.৪৪। বাক্যাশ্রয়ী সমাস কী? উদাহরণ দাও।

 

উত্তর : যে সমাসবদ্ধ পদকে আশ্রয় করে এক-একটি বাক্যের অর্থ প্রকাশিত হয়, তাকে বাক্যাশ্রয়ী সমাস বলে। যেমন—বসেআঁকো-প্রতিযোগিতা।

 

প্রশ্ন ২.৪২। অলোপ সমাস কী?

 

উত্তর : অলোপ সমাস হলো, যে সমাস নিষ্পন্ন হওয়ার পরেও পূর্বপদের বিভক্তি থেকে যায় বা পূর্বপদ লোপ পায় না, তা অলোপ সমাস। যেমন—জলে ও কাদায় = জলে-কাদায় (অলোপ দ্বন্দ্ব)। =

 

প্রশ্ন ২.৪৫। গৌর অঙ্গ যাহার—ব্যাসবাক্যটি সমাসবদ্ধ করে সমাসের নাম লেখো। (মাধ্যমিক, ২০১৮

 

উত্তর : গৌরাঙ্গ—বহুব্রীহি সমাস।

 

প্রশ্ন ২.৪৬। ব্যাসবাক্যসহ একটি দ্বন্দ্ব সমাসের উদাহরণ (মাধ্যমিক, ২০১৯) দাও।

 

উত্তর : পাহাড়পর্বত = পাহাড় ও পর্বত।

 

প্রশ্ন ২.৪৭। ‘মেঘে ঢাকা’ শব্দটির ব্যাসবাক্যসহ সমাসের নাম উল্লেখ করো। (মাধ্যমিক, ২০১৯)

 

উত্তর : মেঘ (মেঘ দ্বারা) ঢাকা – করণ তৎপুরুষ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *