বাংলা ভাষায় বিজ্ঞান প্রশ্ন উত্তর দশম শ্রেণি বাংলা টেকজ সঞ্জীব
বাংলা ভাষায় বিজ্ঞান প্রশ্ন উত্তর দশম শ্রেণি বাংলা টেকজ সঞ্জীব
বাংলা ভাষায় বিজ্ঞান
রাজশেখর বসু (পরশুরাম)
বাংলা ভাষায় বিজ্ঞান রাজশেখর বসু
বাংলা ভাষায় বিজ্ঞান উৎস
প্রখ্যাত লেখক রাজশেখর বসু (ছদ্মনাম : পরশুরাম)-র লেখা ‘বিচিন্তা’ প্রবন্ধগ্রন্থের দশ সংখ্যক প্রবন্ধ ‘বাংলা ভাষায় বিজ্ঞান। প্রবন্ধটি ‘বিচিন্তা’ প্রবন্ধগ্রন্থ থেকে সংকলিত।
বাংলা ভাষায় বিজ্ঞান বিষয়বস্তু
বিষয়-সংক্ষেপ
বাংলায় লেখা বিজ্ঞান বই বা প্রবন্ধের পাঠক : বিজ্ঞান বিষয়ক বাংলা গ্রন্থ বা প্রবন্ধ পাঠক দু-ভাগের। এক) অল্পবয়স্ক ছেলেমেয়ে এবং অল্পশিক্ষিত বয়স্ক মানুষ। দুই ] যারা ইংরেজি জানে বা ইংরেজি ভাষায় লেখা বিজ্ঞান পড়েছে।
প্রথম ও দ্বিতীয় ভাগের পাঠক :
প্রথম ভাগের পাঠকরা বিজ্ঞান বিষয়ে কিছু কিছু পড়াশােনা করলেও সুশৃঙ্খল আধুনিক বৈজ্ঞানিক তথ্য তারা কিছুই জানে না। বিপরীতপক্ষে দ্বিতীয় ভাগের পাঠক, যারা ইংরেজি পরিভাষার সঙ্গে পরিচিত তাদের বাংলা পরিভাষা নতুন করে শেখা কষ্টসাধ্য হয়। বাংলা ভাষায় লেখা বিজ্ঞান প্রথম ভাগের পাঠক অল্প চেষ্টাতে আয়ত্ত করতে পারে। বিপরীত পক্ষে ইংরেজি ভাষায় লেখা বিজ্ঞান দ্বিতীয় ভাগের পাঠককে যথেষ্ট পরিশ্রম করে শিখতে হয়।
বাংলা ভাষায় বিজ্ঞান প্রশ্ন উত্তর
বাংলা ভাষায় বিজ্ঞান চর্চার গুরুত্ব
পারিভার্ষিক কাজে অসাফল্য ও সাফল্য :
বাংলা ভাষায় বিজ্ঞানচর্চায় নানারকম বাধা লেখক লক্ষ করেছেন। বাংলায় বিজ্ঞান বিষয়ে পারিভাষিক শব্দ সংখ্যা কম। একসময় বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদের সঙ্গে কয়েকজন বিদ্যোৎসাহী পরিভাষা সংকলনে উদ্যোগী হয়েছিলেন। তারা যে যার নিজের মতাে কাজ করায় তাদের পারিভাষিক কাজে সাম্য ছিল না। কিন্তু কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্যোগে পারিভাষিক সমিতির নিযুক্ত পণ্ডিত ব্যক্তিদের সমবেত কাজ অনেকাংশে সফল হয়েছে।
ইংরেজি পারভার বাংলা বানান করে ব্যবহার :
বাংলায় বিজ্ঞান বিষয়ে পরিভাষা প্রণয়ন অনেক ক্ষেত্রে করা সম্ভব হচ্ছে না। সেক্ষেত্রে ইংরেজি পারিভাষিক শব্দ বাংলায় বানান করে চালানাের নির্দেশ দিয়েছেন কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় নিযুক্ত পরিভাষা সমিতি। সেই মতাে বাংলা বইয়ে ইংরেজি পরিভাষার বাংলা বানান এ ব্যবহৃত হচ্ছে।
বিজ্ঞান সাহিত্য প্রতিষ্ঠার অন্তরায়:
এদেশের জনসাধারণের বৈজ্ঞানিক জ্ঞান পাশ্চাত্যের তুলনায় নগণ্য। সেদেশে পপুলার সায়েন্স লেখা সুসাধ্য। এদেশের ভাষায় বিজ্ঞান লেখা তত সহজ নয়, কারণ এদেশের মানুযের বিজ্ঞানের জ্ঞান অল্প। আর সেজন্য বিজ্ঞানের বিষয় লিখতে হলে গােড়া থেকে লিখতে হয়। বিজ্ঞান লেখার জন্য যে রচনা পদ্ধতি এদেশের বিজ্ঞান লেখকেরা তা এখনও আয়ত্ত করতে পারেননি। অনেক ক্ষেত্রে ভাষা আড়ষ্ট এবং ইংরেজির আক্ষরিক অনুবাদ। বাংলা বৈজ্ঞানিক সাহিত্য প্রতিষ্ঠার জন্য ওই ত্রুটিমুক্ত হওয়া প্রয়ােজন। ইংরেজিতে বক্তব্য ভেবে বাংলায় তা অনুবাদ করতে গিয়ে রচনা অনেক সময় উৎকট হয়ে দাঁড়ায়। এই ধরনের প্রবণতা পরিহার করা দরকার।
বাংলা বৈজ্ঞানিক রচনার নানা ত্রুটি, লেখকের উপদেশ :
পারিভাষিক শব্দ বাদ দিয়ে বক্তব্য প্রকাশ সহজ বলে অনেকে মনে করেন। ও ধারণাও পুরােপুরি ঠিক নয়। কারণ পরিভাষার উদ্দেশ্য হলাে ভাষা সংক্ষেপ ও অর্থ সুনির্দিষ্টকরণ। কোনাে বিষয়ের বারবার বর্ণনা পাঠ সুখকর হয় না। তা ছাড়া অনর্থক কথা বাড়ে। সাধারণ সাহিত্যের মতাে বৈজ্ঞানিক সাহিত্য অত বিস্তৃত হয় না। উপমা, রূপক ছাড়া অন্যান্য অলংকার প্রয়ােগ বাদ দিলে ভালাে হয়। বাংলা বৈজ্ঞানিক প্রবন্ধতে অল্পবিদ্যা ভয়ংকরী প্রবাদের অর্থগত দিকের পরিচয় মাঝে মাঝে পাওয়া যায়। সেজন্য লেখকের উপদেশ হলাে অখ্যাত বাংলা বৈজ্ঞানিক প্রবন্ধকারের রচনা প্রকাশের আগে অভিজ্ঞ লােককে দিয়ে যাচাই করে নেওয়া দরকার।
বাংলা ভাষায় বিজ্ঞান নামকরণের সার্থকতা
নামকরণ
নামকরণের মাধ্যমে সাহিত্যে বর্ণিত বিষয় সম্পর্কে একটা ধারণা উঠে আসে। রাজশেখর বসুর ‘বাংলা ভাষায় বিজ্ঞান প্রবন্ধের নামকরণেই এর মূল উদ্দেশ্য নিহিত রয়েছে। প্রাবন্ধিক বাংলা ভাষায় বিজ্ঞানবিষয়ক প্রবন্ধ লেখার কথা বলতে গিয়ে নানা প্রসঙ্গের অবতারণা করেছেন। বাংলা যাদের প্রথম ভাষা তারা সহজেই বাংলায় লেখা প্রবন্ধের সঙ্গে পরিচিত হতে পারবে, যদি বিজ্ঞান বিষয়ে প্রাথমিক জ্ঞান থাকে। কিন্তু যারা ইংরেজিতে অভ্যস্ত তারা বাংলায় লেখা বিজ্ঞানবিষয়ক লেখা পড়ে হৃদয়ঙ্গম করতে গেলে মাতৃভাষাকে অবশ্যই আয়ত্ত করবে।
লেখক বাংলা ভাষায় বিজ্ঞানবিষয়ক লেখার প্রসারের কথা বলতে গিয়ে বিভিন্ন বিদেশি শব্দের বাংলা পরিভাষা নির্মাণে গুরুত্ব দিয়েছেন। আবার বিজ্ঞানবিষয়ক ইংরেজি লেখাকে বাংলায় প্রকাশ করার জন্য ভাবানুবাদের প্রয়ােজনীয়তার কথাও বলেছেন। সাহিত্য যেহেতু কল্পনা ও সৌন্দর্যবােধের সঙ্গে জড়িত, সেজন্য সেখানে নানা ধরনের অলংকারের ব্যবহার প্রত্যাশিত। কিন্তু নির্দিষ্ট তত্ত্বনির্ভর বিজ্ঞানবিষয়ক রচনা সরল ও স্পষ্ট হওয়া প্রয়ােজন এবং অলংকারবাহুল্য পরিত্যাজ্য।
রাজশেখর বসুর প্রবন্ধটিতে বাংলা ভাষায় বিজ্ঞানচর্চার নানা দিক চমৎকারভাবে প্রকাশিত হয়েছে বলে রচনাটির বাংলা ভাষায় বিজ্ঞান এই নামকরণ সার্থক ও যথার্থ হয়েছে।
বাংলা ভাষায় বিজ্ঞান প্রশ্ন উত্তর
প্রশ্নঃ।। ‘বাংলা ভাষায় বিজ্ঞান’ শীর্ষক প্রবন্ধটিতে । প্রশ্ন পরিভাষা রচনা প্রসঙ্গে লেখক যে বক্তব্য প্রকাশ করেছেন তা আলােচনা করাে।
উত্তর : প্রখ্যাত প্রাবন্ধিক রাজশেখর বসু তাঁর ‘বাংলা ভাষায় বিজ্ঞান প্রবন্ধে বাংলা ভাষায় বিজ্ঞানচর্চার নানা প্রতিবন্ধকতা বর্ণনা প্রসঙ্গে পরিভাষা রচনার কথা উল্লেখ করেছেন।
প্রাবন্ধিক বাংলা ভাষায় বিজ্ঞান রচনা করার নানা উপায় ও প্রতিবন্ধকতা বলতে গিয়ে বলেছেন যে, বাংলা ভাষায় বিজ্ঞান রচনাপদ্ধতির ক্ষেত্রে অনেক বাধার মধ্যে অন্যতম বাধা হলাে বাংলা পারিভাষিক শব্দের অপ্রতুলতা। বহু বছর পূর্বে বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদের সঙ্গে বিদ্যোৎসাহী কয়েকজন লেখক নানা বিষয়ের পরিভাষা রচনায় হস্তক্ষেপ করলেও তারা সফল হননি; কারণ তারা একসঙ্গে কাজ না করে স্বতন্ত্রভাবে করেছিলেন। তবে ১৯৩৬ খ্রিস্টাব্দে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্যোগে বিভিন্ন বিজ্ঞানের অধ্যাপক, ভাষাতাত্ত্বিক, সংস্কৃতজ্ঞ পণ্ডিত এবং কয়েকজন লেখককেনিয়ে যে পরিভাষাসমিতি কাজ করেছিলেন অনেকটাই সফলতা পেয়েছিল বলা যায়। প্রাবন্ধিকের মতে, পরিভাষা রচনা কোনাে একজনের কাজ নয়, সম্মিলিত প্রচেষ্টাতেই তা হওয়া বাঞ্ছনীয়। এতে ত্রুটিমুক্ত হওয়া যায়। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিভাষা সংকলন খুব বড়াে নয়, আরও শব্দের প্রয়ােজন ও তার জন্য উপযুক্ত ব্যবস্থাও দরকার। বিশ্ববিদ্যালয় নিযুক্ত পরিভাষা সমিতি প্রচুর ইংরেজি শব্দ বজায় রেখেছেন। এই সমিতি বিধান দিয়েছেন যে, নবাগত রাসায়নিক বস্তুর ইংরেজি নাম এবং উদ্ভিদ ও প্রাণীরজাতিবাচক বা পরিচয়বাচক ইংরেজি নামগুলিই বাংলা বানানে চালাতে হবে।
*** প্রশ্ন ।। “পাশ্চাত্য দেশের তুলনায় এদেশের জনসাধারণের বৈজ্ঞানিক জ্ঞান নগণ্য।”—লেখকের এমন মন্তব্যের কারণ কী ?
উত্তর : বাংলা সাহিত্যের প্রখ্যাত প্রাবন্ধিক রাজশেখর বসুর ‘বাংলা ভাষায় বিজ্ঞান প্রবন্ধ থেকে আলােচ্য পঙক্তিটি নেওয়া হয়েছে। বাংলা ভাষায় রচিত বৈজ্ঞানিক সন্দর্ভ বা বৈজ্ঞানিক রচনা এদেশের জনসাধারণের বােধগম্য হওয়ার পিছনে প্রধান অন্তরায় এদেশবাসীর বৈজ্ঞানিক জ্ঞানের অভাব। প্রাবন্ধিকের মতে, এর কারণ এদেশে বিজ্ঞান শিক্ষার বিস্তার এখনও তেমন ঘটেনি। প্রাবন্ধিক মনে করেন প্রাথমিক বিজ্ঞানের সঙ্গে অল্পবিস্তর পরিচয় না থাকলে বৈজ্ঞানিক সন্দর্ভ বা রচনা বােঝা কঠিন। পাশ্চাত্য দেশ যেমন ইউরােপ, আমেরিকায় সেখানকার সাধারণ মানুষ সহজেই বােঝে বলে পপুলার সায়েন্স’ লেখা সুসাধ্য। কিন্তু প্রাচ্য দেশ তথা ভারতবর্ষের বর্তমান অবস্থা সেরকম নয় বলে বয়স্কদের জন্য যা লেখা হয়, তাও প্রাথমিক বিজ্ঞানের মতাে প্রথম থেকে না লিখলে তা বােঝা কঠিন হয়। জনসাধারণের জন্য বাংলায় বিজ্ঞান লেখকদের এই বিষয়টি অবহেলিত না হলে তা জনপ্রিয় হবে না। তবে কালক্রমে এদেশে বিজ্ঞান শিক্ষার বিস্তার হলে বৈজ্ঞানিক সাহিত্য লেখা সুসাধ্য হবে। আলােচ্য উদ্ধৃতিটির অবতারণা করেছেন লেখক এ কারণেই।
বাংলা ভাষায় বিজ্ঞান চর্চার বাধা কোথায়
প্রশ্ন।। ‘বাংলাভাষায় বিজ্ঞান’ রচনায় প্রাবন্ধিকবাংলা ভাষায় বিজ্ঞানচর্চার ক্ষেত্রে যেসব অসুবিধার কথা বলেছেন তা আলােচনা করাে।
উত্তর : রাজশেখর বসু ‘বাংলা ভাষায় বিজ্ঞান প্রবন্ধে বাংলা ভাষায় বিজ্ঞানচর্চার ক্ষেত্রে নানারকম প্রতিবন্ধকতার উল্লেখ করেছেন।
প্রথম সমস্যা হলাে বাংলা ভাষায় যথেষ্ট পারিভাষিক শব্দ নেই। ফলে ইংরেজি, গ্রিক, বালাতিন ভাষায় উল্লিখিত শব্দগুলির বাংলা পারিভাষিক শব্দ তৈরি হয়নি। বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদের উদ্যোগে একবার পারিভাষিক শব্দ তৈরি হলেও তা পুরােপুরি গ্রহণীয় হয়নি। আসলে পণ্ডিতদের মধ্যে সমন্বয়ে অভাব প্রকটিত হয়েছে। ফলে অনেক সময়“একইইংরেজি সংজ্ঞার বিভিন্ন প্রতিশব্দ রচিত হয়েছে।”
কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় যে উদ্যোগ এক্ষেত্রে নিয়েছিল তাতে অনেক সময় ইংরেজি শব্দতালিকা বাংলা বানানে লেখার কথা বলেছেন। এদেশীয়দের বিজ্ঞানচর্চায় আর একটি বাধা হলাে জনগণের বৈজ্ঞানিক জ্ঞানের অভাব। ফলে বিজ্ঞানের জগৎ সম্পর্কে সামান্য কিছু জ্ঞানও তাদের নেই। বিজ্ঞান সম্পর্কে প্রাথমিক ধারণা থাকা এক্ষেত্রে খুবই প্রয়ােজনীয়। পাশ্চাত্যের দেশগুলিতে এ ধরনের সমস্যা নেই। –
আবার বৈজ্ঞানিক বিষয়কে পাঠকদের সামনে উপস্থাপিত করার জন্য যে রচনারীতির প্রয়ােজন তাও অনেক লেখক এদেশে আয়ত্ত করতে পারেননি। ফলে স্বাদুও প্রাঞ্জল রচনারীতি অনুপস্থিত থাকে। ভাষা হয় তখন আড়ষ্ট এবং অনুবাদ হয়ে ওঠে নিতান্তই আক্ষরিক।
এরকম নানা কারণে বাংলা ভাষায় বিজ্ঞানচর্চা যথার্থ প্রসার লাভ করেনি বলে প্রাবন্ধিক রাজশেখর বসু অভিমত প্রকাশ করেছেন।
বাংলা ভাষায় বিজ্ঞান বড় প্রশ্ন উত্তর
প্রশ্ন “কিন্তু আমাদের দেশের বর্তমান অবস্থা তেমন নয়,”—কোন্ অবস্থার কথা বলা হয়েছে? এই অবস্থার কী পরিবর্তন হতে পারে?
উত্তর : রাজশেখর বসু যখন ‘বাংলা ভাষায় বিজ্ঞান প্রবন্ধটি লেখেন তখন পাশ্চাত্যের উন্নত দেশগুলির তুলনায় আমাদের দরিদ্র দেশে বিজ্ঞানের প্রসার ছিল অতি সামান্য। পাশ্চাত্যের নাগরিকদের মধ্যে যে প্রাথমিক বিজ্ঞানবােধ ছিল, তা থেকে এদেশীয়রা ছিলেন অনেক পিছিয়ে। বিজ্ঞান সম্পর্কে প্রাথমিক ধারণাটুকু না থাকলে বিজ্ঞানবিষয়ক যে-কোনাে লেখা বােধগম্য হয় । ইউরােপ ও আমেরিকার সাধারণ নাগরিকদের মধ্যে শিক্ষা ও বিজ্ঞানবােধ অনেক বেশি থাকায় সেখানে পপুলার সায়েন্স লেখা সম্ভব এবং সাধারণের কাছে তা গ্রহণীয়ও হয়। কিন্তু অশিক্ষা, কুশিক্ষা ও বিজ্ঞান সম্পর্কে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে কোনাে ধারণা না থাকায় এদেশে পপুলার সায়েন্স লেখার চেষ্টা সাফল্য পায় না। এখানে বয়স্কদের জন্যও যা লেখা হয় তাতে বিজ্ঞানের প্রাথমিক জিনিসেরও উল্লেখ করতে হয়।
লেখক গভীর অন্তর্দৃষ্টি ও আশাবাদ দ্বারা চালিত হয়ে মনে করেন অশিক্ষা ও বৈজ্ঞানিক বােধশূন্য এদেশের অবস্থারও পরিবর্তন হবে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে শিক্ষার প্রসারের ফলে বিজ্ঞানবােধও পরিব্যাপ্ত হবে। তখন বিজ্ঞানবিষয়ক সাহিত্য সমাদৃত হবে পাঠকসমাজে।
বাংলা ভাষায় বিজ্ঞান
ছোট প্রশ্ন উত্তর
প্রশ্নঃ।।অভিধা কাকে বলে?
উত্তর : যার মাধ্যমে শব্দের আভিধানিক অর্থ বা মূল অর্থ ব্যক্ত হয় তাকে বলে অভিধা। যেমন—‘দেশ’ শব্দের অর্থ ভারত, বাংলাদেশ, নেপাল ইত্যাদি।
প্রশ্ন ) পরিভাষার উদ্দেশ্য কী?
উত্তর : পরিভাষার উদ্দেশ্য হলাে ভাষার সংক্ষিপ্তকরণ এবং তার অর্থ সুনির্দিষ্ট করা।
প্রশ্ন ) সাধারণ সাহিত্যে কীসের সার্থক প্রয়ােগ হতে পারে?
উত্তর : সাধারণ সাহিত্যে লক্ষণা,ব্যঞ্জনা, উপেক্ষাও অতিশয়ােক্তি অলংকারের সার্থক প্রয়ােগ হতে পারে।
প্রশ্ন ) “তাতে পাঠকের অসুবিধা হয়।”-কী পাঠকের অসুবিধা হয়?
উওর: বারবার কোনাে বিষয়ের বর্ণনা দিতে গিয়ে অনর্থক কথা বেড়ে গেলে তাতে পাঠকের অসুবিধা হয়।
প্রশ্ন ) লক্ষণা কাকে বলে?
উত্তর : শব্দের মুখ্য অর্থের চেয়ে গৌণ অর্থ যখন গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে তখন তাকে লক্ষণা বলে। যেমন—আমিরবীন্দ্রনাথ পড়ছি। আসল কথা রবীন্দ্রনাথের সাহিত্য পড়ছি।
প্রশ্ন ) ‘অরণ্যে রােদন’ শব্দটিকে ব্যঞ্জনার্থে প্রয়ােগ করাে।
উত্তর : ‘অরণ্যে রােদন’ শব্দটির ব্যঞ্জনা হলাে নিষ্ফল খেদ বা ব্যর্থ কান্না।
*প্রশ্ন ) “আমাদের আলংকারিকগণ শব্দের ত্রিবিধ কথা বলেছেন”–শব্দের ‘ত্রিবিধ কথা’ কী?
উওর: বিখ্যাত প্রাবন্ধিক রাজশেখর বসুর লেখা বাংলা ভাষায় বিজ্ঞান’ প্রবন্ধে প্রাচীন ভারতীয় আলংকারিকগণ শব্দের যে ত্রিবিধ কথা বলেছেন তা হলাে—অভিধা, লক্ষণ ও ব্যঞ্জনা।
*প্রশ্ন ) যাদের জন্য বিজ্ঞান-বিষয়ক বাংলা গ্রন্থ বা প্রবন্ধ লেখা হয় তাদের মােটামুটি দুই শ্রেণিতে ভাগ করা যেতে পারে।”—শ্রেণি দুটি কী কী?
উওর: ‘বাংলা ভাষায় বিজ্ঞান প্রবন্ধে প্রাবন্ধিক রাজশেখর বসু যাদের জন্য বিজ্ঞান-বিষয়ক বাংলা গ্রন্থ বা প্রবন্ধ লেখা হয় তাদের মােটামুটি দুটি শ্রেণিতে ভাগ করা যেতে পারে বলে উল্লেখ করেছেন। এক, প্রথম শ্রেণির অন্তর্ভুক্ত ইংরেজি না জানা বা অল্প জানা অল্পবয়স্ক ছেলেমেয়ে বা অশিক্ষিত বয়স্ক লােকেরা। দুই, আর দ্বিতীয় শ্রেণির অন্তর্ভুক্তরা হলাে ইংরেজি বা ইংরেজি ভাষায় অল্পাধিক বিজ্ঞান পড়া লােকেরা।
*প্রশ্ন ) ছেলেবেলায় রাজশেখর বসু কার লেখা জ্যামিতি বই পড়তেন?
উত্তর : ছেলেবেলায় রাজশের বসু ব্ৰত্মমােহন মল্লিকের লেখা জ্যামিতি বই পড়তেন।
বাংলা ভাষায় বিজ্ঞান ছোট প্রশ্ন উত্তর
*প্রশ্ন ) কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয় কবে পরিভাষা সমিতি নিযুক্ত করেছিলেন?
উত্তর : কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয় ১৯৩৬ খ্রিস্টাব্দে পরিভাষা সমিতি নিযুক্ত করেছিলেন।
প্রশ্নঃ।। বৈজ্ঞানিক বিষয় নির্ভর সাহিত্যে কী কম থাকা প্রয়ােজন?
উত্তর : লক্ষণা বা ব্যঞ্জনা এবং উৎপ্রেক্ষা অতিশয়ােক্তি প্রভৃতি অলংকার বৈজ্ঞানিক সাহিত্যে কম থাকা প্রয়ােজন বলে লেখক মনে করেন।
প্রশ্ন ) কালিদাসের কোন্ উক্তি কাব্যের উপযুক্ত, ভূগােলের নয়?
উত্তর : ‘হিমালয় যেন পৃথিবীর মানদণ্ড’—মহাকবি কালিদাসের এই উক্তি ভূগােল নয়, কাব্যের উপযুক্ত।
প্রশ্ন । বৈজ্ঞানিক প্রসঙ্গের ভাষা কেমন হওয়া উচিত?
উত্তর : বৈজ্ঞানিক প্রসঙ্গের ভাষা অত্যন্ত সরল ও স্পষ্ট হওয়া প্রয়ােজন বলে লেখক মনে করেন।
প্রশ্ন ।। বাংলা বৈজ্ঞানিক প্রবন্ধের দোষের উল্লেখ করতে গিয়ে কোন্ প্রবাদের কথা লেখক বলেছেন?
উত্তর : বাংলা বৈজ্ঞানিক প্রবন্ধের দোষের উল্লেখ করতে গিয়ে লেখক ‘অল্পবিদ্যা ভয়ংকরী’ প্রবাদের কথা বলেছেন।
প্রশ্নঃ। অক্সিজেন বা হাইড্রোজেন সম্পর্কে পত্রিকায় কী লেখা ছিল?
উত্তর : পত্রিকায় লেখা ছিল অক্সিজেন বা হাইড্রোজেন স্বাস্থ্যকর বলে বৈজ্ঞানিক যুক্তি নেই ও তারা জীবের বেঁচে থাকার অপরিহার্য অঙগ মাত্র।
প্রশ্ন । পত্রিকায় কোন্ গ্যাসকেস্বাস্থ্যকর বলা হয়েছে?
উত্তর : প্রাবন্ধিক রাজশেখর বসু জানিয়েছেন কিছুদিন আগে একটি পত্রিকায় লেখা হয়েছিল ওজোন গ্যাস স্বাস্থ্যকর।
প্রশ্ন ।।) কোন্ ধরনের ভুল লেখা সাধারণ পাঠকের পক্ষে অনিষ্টকর?
উত্তর : জীবের বেঁচে থাকার জন্য প্রয়ােজনীয় অক্সিজেন ও হইড্রোজেন গ্যাস স্বাস্থ্যকর নয়, অথচ ওজোন গ্যাস স্বাস্থ্যকর এধরনের ভুল লেখা নিষ্টকর।
প্রশ্ন ।। পত্রিকা সম্পাদকের কী করা উচিত?
উঃ পত্রিকা সম্পাদকের উচিত বিখ্যাত লেখকেরবৈজ্ঞানিক রচনা প্রকাশের আগে অভিজ্ঞ লোককে দিয়ে যাচাই করে নেওয়া।
*প্রশ্ন ) “হিমালয় যেন পৃথিবীর মানদণ্ড”—এই উক্তিটি কার?
উওর : হিমালয়ের অসাধারণ সৌন্দর্যকে ব্যক্ত করতে গিয়ে মহাকবি কালিদাস কুমারসম্ভব’ কাব্যের প্রথম সর্গে এই উক্তিটি করেছিলেন।
প্রশ্ন ) আমাদের সরকার ক্রমে ক্রমে রাজকার্যে দেশি পরিভাষা চালাচ্ছেন।’—তাতে অনেকে মুশকিলে পড়েছেন কেন?
উত্তর : সরকার রাজকার্যে দেশি পরিভাষার প্রচলন করায় অনেকে মুশকিলে পড়েছেন। কেননা, তাদের নতুন করে তা শিখতে হচ্ছে।
প্রশ্ন ) “এই ধারণা পুরােপুরি ঠিক নয়।”—কোন্ ধারণা পুরােপুরি ঠিক নয়?
উত্তর : পারিভাষিক শব্দবাদ দিয়ে বক্তব্য প্রকাশ করলে রচনা সহজ হয়। প্রাবন্ধিকের মতে, এ ধারণা পুরােপুরি ঠিক নয়।
, প্রশ্ন ।। লেখকের মতে, “Sensitized Paper’-এর সঠিক বাংলা পরিভাষা কী হবে?
উত্তর : লেখকের মতে, ‘Sensitized Paper’ এর সঠিক বাংলা পরিভাষা হবে ‘সুগ্রাহী কাগজ।
প্রশ্ন ।। “এই দোষ থেকে মুক্ত না হলে,”—দোষটি কী?
. উত্তর : দোষটি হলাে বিজ্ঞান আলােচনার রচনাপদ্ধতি আয়ত্ত করতে না পারার কারণে লেখকদের ভাষা আড়ষ্টও ইংরেজির অনুবাদ আক্ষরিক হয়ে যাওয়া।
প্রশ্ন । “এতে রচনা উৎকট হয়”-কোন্ কারণে রচনা উৎকৃষ্ট হয়?
: উত্তর : যাঁরা তাঁদের বক্তব্য ইংরেজিতে ভাবেন এবং সেটিকে যথাযথ বাংলা অনুবাদ প্রকাশ করার চেষ্টা করেন। এই আক্ষরিক অনুবাদের কারণে ভাষা উৎকট হয়।
প্রশ্ন ) “তার ফলে তাদের চেষ্টা অকিতর সফল হয়েছে।”-কাদের চেষ্টা, কেন সফল হয়?
উত্তর : ১৯৩৬ খ্রিস্টাব্দে কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয় নিযুক্ত পরিভাষা সমিতির চেষ্টা সফল হয়। কারণ, সমিতির সদস্যগণ একযােগে। কাজ করেন।
প্রশ্ন) উপযুক্ত বাংলা শব্দ না পাওয়া গেলে বৈজ্ঞানিক রচনায় কী করা প্রয়ােজন?
উত্তর : উপযুক্ত ও প্রামাণিক বাংলা শব্দ না পাওয়া গেলে বৈজ্ঞানিক রচনায় ইংরেজি শব্দ বাংলা বানানে লেখা ভালাে।
প্রশ্নঃ ।। “তারা বিধান দিয়েছেন…”-কারা বিধান দিয়েছেন?
উ] : কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় নিযুক্ত সমিতি বিধান দিয়েছেন।
প্রশ্নঃ।। “তারা বিধান দিয়েছেন…”—কী বিধান দিয়েছেন?
উওর : কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় নিযুক্ত সমিতি বিধান দিয়েছেন নবাগত রাসায়নিক বস্তুর ইংরেজি নাম বাংলা বানানে চলবে।
প্রশ্ন ।। কাদের জাতিবাচক বা পরিচয়বাচক ইংরেজি নাম বাংলায় চালানাে যেতে পারে?
উত্তর : উদ্ভিদ ও প্রাণীর জাতিবাচকও পরিচয়বাচক ইংরেজি নাম বাংলায় চালানাে যেতে পারে।
প্রশ্ন ।। “অনেক লেখক মনে করেন,”—কি মনে করেন?
উওর : অনেক লেখক মনে করেন ইংরেজি শব্দের যে অর্থব্যাপ্তি রয়েছে তার বাংলা প্রতিশব্দেও একই হওয়া চাই।
প্রশ্ন ।। “অনেক লেখক মনে করেন,”—মনে করে কী করেন?
উত্তর : অনেক লেখক ইংরেজি শব্দের অর্থব্যাপ্তিকে বাংলা প্রতিশব্দে একরকম করার জন্য অদ্ভুত অদ্ভুত শব্দ প্রয়ােগ করেন।
প্রশ্ন ) কাদের বৈজ্ঞানিক জ্ঞান নগণ্য?
উত্তর : পাশ্চাত্যের তুলনায় এদেশের জনসাধারণের বৈজ্ঞানিক জ্ঞান নগণ্য।
প্রশ্ন ) রচনা সহজ করার উপায় সম্পর্কে অনেকে কী মনে করেন?
উওর : অনেকে পারিভাষিক শব্দ বর্জন করে বক্তব্য প্রকাশ করলে রচনা সহজ হয় বলে মনে করেন।
বাংলা ভাষায় বিজ্ঞান দশম শ্রেণী
প্রশ্ন ) পরিভাষার প্রকৃত উদ্দেশ্য কী বলে লেখক মনে করেন?
উওর : রাজশেখর বসু মনে করেন পরিভাষার প্রকৃত উদ্দেশ হলাে ভাষাকে সংক্ষিপ্ত করার পাশাপাশি তার অর্থ সুনির্দিষ্ট করা।
প্রশ্ন ) কীসে পাঠকের অসুবিধা হয়? কোথায়?
উওর : কোনাে বিষয়ের বর্ণনা বারবার দিলে তার কলেবর অনর্থক বৃদ্ধি পাওয়ায় পাঠকের অসুবিধা হয়।
প্রশ্ন ) কী জন্য বৈজ্ঞানিক সন্দর্ভ বােঝা কঠিন?
উত্তর : প্রাথমিক বিজ্ঞানের সঙ্গে সামান্য পরিচয় না থাকলেও যে-কোনাে বৈজ্ঞানিক সন্দর্ভ বােঝা কঠিন।
প্রশ্ন ) বিদেশে পপুলার সায়েন্স লেখা সুসাধ্য কেন?
উওর : বিদেশে মানুষের প্রাথমিক বিজ্ঞানবােধ থাকায় পপুলার সায়েন্স লেখা সুসাধ্য।
প্রশ্ন ) আমাদের দেশে পপুলার সায়েন্স লেখার অসুবিধা কি?
উওর : এদেশে সাধারণ মানুষের মধ্যে প্রাথমিক বিজ্ঞানবােধ খুব দুর্বল বলে পপুলার সায়েন্স লেখা অসুবিধাজনক।
প্রশ্ন ) কী জন্য রচনা অনেক সময় উকট হয়?
উত্তর : লেখক যখন বক্তব্যকে ইংরেজিতে ভেবে বাংলায় তার আক্ষরিক অনুবাদ প্রকাশ করেন তখন রচনা অনেক সময় উৎকট হয়।
প্রশ্ন ) কোন্ বর্ণনা বাংলা ভাষার প্রকৃতিবিরুদ্ধ?
উওর: ইংরেজি বাক্যকে একেবারে আক্ষরিক অনুবাদ করা বাংলা ভাষার প্রকৃতিবিরুদ্ধ।
প্রশ্ন ) কেন বাংলা বৈজ্ঞানিক সাহিত্য সুপ্রতিষ্ঠিত হবে না?
উওর : ভাষার আড়ষ্টতা ও ইংরেজির আক্ষরিক অনুবাদ দুর করলে বাংলা বৈজ্ঞানিক সাহিত্য সুপ্রতিষ্ঠিত হবে না।
প্রশ্নঃ ।। আলংকারিকগণ বর্ণিত শব্দের ত্রিবিধ কথা কী?
(উ: প্রাচীন ভারতীয় আলংকারিকেরা অভিধা, লক্ষণ ও ব্যঞ্জনা শব্দের এই ত্রিবিধ কথা বলেছেন।
প্রশ্নঃ।।কাদেরকে মােটামুটি দুই শ্রেণিতে ভাগ করা যেতে পারে?
উত্তর : যাদের জন্য বিজ্ঞানবিষয়ক বাংলা গ্রন্থ বা প্রবন্ধ লেখা হয় তাদের মােটামুটি দুই শ্রেণিতে ভাগ করা যেতে পারে।
প্রশ্নঃ “…মােটামুটি দুই শ্রেণিতে ভাগ করা যেতে পারে।”—প্রথম শ্রেণিতে কারা থাকে?
উত্তর : ইংরেজি না জানা বা অল্প জানা অল্পবয়স্ক ছেলেমেয়ে ও অশিক্ষিত বয়স্ক লােক প্রথম শ্রেণির অন্তর্ভুক্ত।
বাংলা ভাষায় বিজ্ঞান চর্চা
প্রশ্ন) “…মােটামুটি দুই শ্রেণিতে ভাগ করা যেতে পারে।” –দ্বিতীয় শ্রেণিতে কারা থাকে?
উত্তর : ইংরেজি জানা বা ইংরেজি ভাষায় অল্পাধিক বিজ্ঞান পড়া লােকেরা দ্বিতীয় শ্রেণির অন্তর্ভুক্ত।
প্রশ্ন) বিজ্ঞানের সঙ্গে পূর্ব পরিচয় না থাকা পাঠকদের জানা কয়েকটি ইংরেজি পারিভাষিক শব্দের উল্লেখ করাে।
উত্তর : বিজ্ঞানের সঙ্গে পূর্ব পরিচয় না থাকা পাঠকদের জানা কয়েকটি পরিভাষা হলাে টাইফয়েড, আয়ােডিন, মােটর, ক্রোটন, জেব্রা ইত্যাদি।
প্রশ্ন ।। বিজ্ঞানের সঙ্গে পূর্ব পরিচয় না থাকা পাঠকদের জানা কয়েকটি স্থূল তথ্য লেখাে।
উত্তর : বিজ্ঞান না জানা পাঠকদের কয়েকটি স্থূল তথ্য হলাে জল আর কপূর উবে যায়, পিতলের চেয়ে অ্যালুমিনিয়াম হালকা, কুমড়াে গাছে দু-রকম ফুল হয়। :
প্রশ্ন।। ইংরেজি ভাষার প্রভাবমুক্ত পাঠকেরা কীসের বিরােধী নয়?
উত্তর : ইংরেজি ভাষার প্রভাবমুক্ত পাঠকেরা বাংলায় বিজ্ঞান শেখার বিরােধী নয়।
প্রশ্ন।“.তাদের নূতন করে শিখতে হচ্ছে।”-কেন?
উওর : রাজকার্যে সরকার দেশীয় পরিভাষা ব্যবহার শুরু করায় অনেককে নতুন করে তা শিখতে হচ্ছে।
প্রশ্ন ) প্রথম শ্রেণির পাঠক যখন বাংলায় বিজ্ঞান শেখে তখন তাকে কী করতে হয়?
উত্তর : প্রথম শ্রেণির পাঠক যখন বাংলায় বিজ্ঞান শেখে তখন শুধু বিষয়টি যত্ন করে বুঝতে হয়।
প্রশ্ন ) অনেক বছর আগে কারা পরিভাষা রচনা করেছিলেন?
উত্তর : অনেক বছর আগে বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কয়েকজন বিদ্যাৎসাহী লেখক নানা বিষয়ের পরিভাষা রচনা করেছিলেন।
প্রশ্ন ) লেখকদের পরিভাষা তৈরি ত্রুটিপূর্ণ ছিল কেন?
উত্তর : বিদ্যোৎসাহী লেখকেরা একযােগে কাজ না করে স্বতন্ত্রভাবে কাজ করেছিলেন বলে তাদের পরিভাষা তৈরি ত্রুটিপূর্ণ ছিল।
বাংলা ভাষায় বিজ্ঞান প্রশ্ন উত্তর
*প্রশ্ন ) কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিভাষা সমিতিতে কারা কারা ছিলেন?
উত্তর : ১৯৩৬ খ্রিস্টাব্দে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিভাষা সমিতিতে ছিলেন বিজ্ঞানের অধ্যাপক, ভাষাতত্ত্বজ্ঞ, সংস্কৃতজ্ঞ পণ্ডিত ও কয়েকজন লেখক।
প্রশ্ন ।। পরিভাষা রচনায় কেন ত্রুটি হতে পারে?
উত্তর : পরিভাষা রচনা একজনের কাজ নয়, তাই সমবেতভাবে করলে নানা ত্রুটি হতে পারে।