পশ্চিমবঙ্গের প্রধান প্রধান শহরগুলির নাম লেখাে। রাজধানী হিসেবে কলকাতার পরিচয় দাও। পশ্চিমবঙ্গের পর্যটন শিল্প
পশ্চিমবঙ্গের প্রধান প্রধান শহরগুলির নাম লেখাে। রাজধানী হিসেবে কলকাতার পরিচয় দাও। পশ্চিমবঙ্গের পর্যটন শিল্প
পশ্চিমবঙ্গের প্রধান প্রধান শহর
শহরের সংজ্ঞা: যে অঞ্চলের জনসংখ্যা 5000 বা তার বেশি, প্রতি বর্গকিমিতে জনঘনত্ব 400 জনের বেশি এবং শতকরা 75 জন অকৃষিভিত্তিক নিযুক্ত থাকেন, সেইসব অঞ্চলকে ভারতের জনগণনা বিভাগ শহর হিসেবে চিহ্নিত করে।
> পশ্চিমবঙ্গের প্রধান প্রধান শহরগুলি হল—কলকাতা, দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, শিলিগুড়ি, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার, দুর্গাপুর, কৃয়নগর, বােলপুর, কানিগও, ইংরেজ বাজার, মেদিনীপুর, বাঁকুড়া, মালদহ, বর্ধমান, আসানসােল, হলদিয়া, বহরমপুর, পুরুলিয়া, শান্তিপুর, চাকদহ, রানাঘাট, নবদ্বীপ, বালুরঘাট, চন্দননগর, ব্যারাকপুর, হাওড়া, আলিপুর, বারাসত, কল্যাণী, বনগাঁও, বসিরহাট ইত্যাদি।
● পশ্চিমবঙ্গের রাজধানী হিসেবে কলকাতা
কলকাতা হল পশ্চিমবঙ্গের রাজধানী শহর। তাই পশ্চিমবঙ্গে কলকাতার গুরুত্ব বিশেষভাবে উল্লেখিত।
1. অবস্থান : গঙ্গানদীর মােহনা থেকে প্রায় 130 কিমি অভ্যন্তরে হুগলি নদীর বামতীরে পশ্চিমবঙ্গের রাজধানী কলকাতা অবস্থিত। এটি ভারতের একটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ মহানগর।
: 2. পত্তনকাল: অনেক বিশেষজ্ঞের মতে 1690 সালের 24 আগস্ট ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির গভর্নর জব চার্নক কলকাতা শহরের পত্তন করেছিলেন। সুতানুটি, গােবিন্দপুর ও কলকাতা নামক তিনটি গ্রাম নিয়ে এই শহরের সূচনা হয়। 1911 সাল পর্যন্ত কলকাতা ছিল ব্রিটিশশাসিত ভারতের রাজধানী।
3. কলকাতা শহরের গুরুত্ব : কলকাতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ শহর, কারণ—
১.বাণিজ্যিক রাজধানী : প্রায় 185 বর্গকিমি আয়তনবিশিষ্ট কলকাতা হল ভারতের প্রধান বাণিজ্যকেন্দ্র এবং পশ্চিমবঙ্গের রাজধানী।
২. প্রাসাদ নগরী : কলকাতা শহরে বেশ কয়েকটি দর্শনীয় প্রাসাদ (যেমন—উত্তর কলকাতার রাজেন মল্লিকের প্রাসাদ, জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়ি, শােভাবাজার রাজবাড়ি ইত্যাদি) থাকায় একে প্রাসাদ নগরী (city of palaces) বলা হয়।
৩. জনসংখ্যা : কলকাতা ভারতের একটি গুরুত্বপূর্ণ মহানগর এবং এই শহরের জনসংখ্যা প্রায় 4496694 জন (2011) এবং জনঘনত্ব প্রতি বর্গকিমিতে 24306 জন (2011)।
৪. শিক্ষা, সংস্কৃতি ও বাণিজ্যকেন্দ্র : পূর্ব ও উত্তর-পূর্ব ভারতের প্রধান শিক্ষা, সংস্কৃতি ও বাণিজ্যকেন্দ্র হল কলকাতা।
৫. শিল্পকেন্দ্র : কলকাতাকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে নানা ধরনের শিল্প, যেমন—পাটশিল্প, ইঞ্জিনিয়ারিং শিল্প, বস্ত্র শিল্প, কাগজ শিল্প প্রভৃতি।
৬. যােগাযােগের কেন্দ্র : পূর্ব ও দক্ষিণ-পূর্ব রেলপথের সদর দফতর হল কলকাতা। পূর্ব ভারতের একমাত্র আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর দমদম,কলকাতায় অবস্থিত। 2, 34, 35 ও 6 নং জাতীয় সড়ক কলকাতার ওপর দিয়ে বিস্তৃত হয়েছে।
৭. অন্যান্য কলকাতা শহরের অন্যান্য গুরুত্বগুলি হল—[i] পূর্ব ভারতে একমাত্র কলকাতা শহরে ভূগর্ভ রেলপথ চালু আছে, [ii] কলকাতা পশ্চিমবঙ্গের প্রধান বন্দর, [iii] কলকাতার দর্শনীয় স্থানগুলি হল জাদুঘর, চিড়িয়াখানা, ভিক্টোরিয়া মেমােরিয়াল হল, বিড়লা তারামণ্ডল, সায়েন্স সিটি ইত্যাদি।
■ পশ্চিমবঙ্গের প্রধান বন্দরগুলির নাম উল্লেখ করাে। কলকাতা বন্দরের গুরুত্ব লেখাে।
● পশ্চিমবঙ্গের প্রধান বন্দর
পশ্চিমবঙ্গের প্রধান দুটি বন্দর হল কলকাতা (হুগলি নদীর বামতীরে অবস্থিত) ও হলদিয়া। এই বন্দর দুটি নদীভিত্তিক বন্দর হিসেবে পরিচিত।
● কলকাতা বন্দরের গুরুত্ব
কলকাতা বন্দর হল একটি নদীভিত্তিক বন্দর। বঙ্গোপসাগরের উপকূলবর্তী অঞলে প্রায় 130 কিমি অভ্যন্তরে হুগলি নদীর বামতীরে কলকাতা বন্দরটি অবস্থিত। কলকাতা বন্দরের পশ্চাভূমি প্রায় 13 লক্ষ বর্গকিমি অল জুড়ে রয়েছে।
পশ্চিমবঙ্গের অর্থনৈতিক উন্নয়নে কলকাতা বন্দরের গুরুত্ব অপরিসীম–
১.বাণিজ্য নিয়ন্ত্রণ : পশ্চিমবঙ্গ তথা পূর্ব ও উত্তর-পূর্ব ভারত এবং নেপাল ও ভুটানের অর্থনীতিতে কলকাতা বন্দরের ভূমিকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এই বিশাল পশ্চাদভূমির পণ্যসমূহের আমদানি ও রপ্তানি বাণিজ্যের অধিকাংশই কলকাতা বন্দরের মাধ্যমে হয়।
২. বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন : কলকাতা বন্দরের মাধ্যমেই বিদেশে বাণিজ্য সম্পন্ন হয় বলে আমদানি রপ্তানি থেকে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন সম্ভবপর হয়েছে।
৩. বাণিজ্যে সহায়তা : পশ্চিমবঙ্গের চা, পাটজাত দ্রব্য ও কয়লা, তসমের চা, ওডিশা ও বিহারের আকরিক লােহা, কয়লা, অভ্র প্রভৃতি কলকাতা বন্দরের মাধ্যমে বিদেশে রপ্তানি হয়।
৪. কৃষিতে সহায়তা : এই বন্দরের মাধ্যমে বিশাল পশ্চাদভূমির শুধু উদবৃত্ত পণ্য রপ্তানিই নয়, এখানকার কৃষিকাজের জন্য প্রয়ােজনীয় সার, কীটনাশক, যন্ত্রপাতি প্রভৃতি আমদানিও করা হয়। তাই বলা যায়, এই পশ্চাদভূমির কৃষি উন্নতিতে কলকাতা বন্দরের গুরুত্ব তাপরিসীম।
৫.কর্মসংস্থানের সুযােগ সৃষ্টি: এই অঞ্চলের কৃষিকাজ, শিল্পকর্ম, ব্যাবসাবাণিজ্য প্রভৃতির মাধ্যমে যে লক্ষ লক্ষ মানুষের কর্মসংস্থান হয় তাও পরােক্ষভাবে কলকাতা বন্দরের মাধ্যমেই ঘটে। এ ছাড়া। বন্দরে বহু শ্রমিকের কর্মসংস্থানও ঘটে।
৬. পরিবহণ ব্যবস্থার উন্নতি : প্রধানত আমদানি রপ্তানির সুবিধার । জন্য কলকাতা বন্দরকে কেন্দ্র করে পশ্চিমবঙ্গ তথা সমগ্র পূর্ণ। ভারতে সড়ক, রেল ও জলপথ পরিবহণ ব্যবস্থার উন্নতি ঘটেছে।
৭. খাদ্যদ্রব্য আমদানি: পশ্চিমবঙ্গ খাদ্যশস্য উৎপাদনে সম্পূর্ণভাবে আত্মনির্ভর নয়। তাই খাদ্যদ্রব্য আমদানি করার জন্য কলকাতা বন্দরের ওপর নির্ভরশীল হতে হয়।
তাই বলা যায়, পশ্চিমবঙ্গের প্রধান বন্দর হিসেবে কলকাতা বন্দরের। গুরুত্ব অপরিসীম।
■★ কলকাতা বন্দরের উন্নতি ও অবনতির কারণসমূহ আলােচনা।
করাে।
◆ কলকাতা বন্দরের উন্নতির কারণসমূহ
যে সকল অনুকূল অবস্থার কারণে কলকাতা বন্দরের উন্নতি হয়েছে।
সেগুলি হল—
১. ইংরেজদের প্রয়ােজনে : উনবিংশ শতকে, ইংরেজদের আমিলে। কলকাতা বন্দর গড়ে ওঠে। ইংল্যান্ড থেকে সামরিক সাজসরঞ্জাম শিল্পজাত পণ্যদ্রব্য ভারতে আনার জন্য ইংরেজরা হুগলি নদীর তীরে। কলকাতা বন্দর গঠন করে।
২. ভাগীরথী-হুগলি নদীর নাব্যতা : যখন কলকাতা বন্দর গড়ে তােলা হয় তখন ভাগীরথী-হুগলি নদীর জলের নাব্যতা যথেষ্ট বেশি। ছিল, ফলে সমুদ্রগামী জাহাজসমূহ স্বচ্ছন্দেই এই নদীপথে চলাচল করতে পারত।
৩. সম্পদে পরিপূর্ণ পশ্চাভূমি : পূর্ব ভারতের এক সুবিশাল এলাকা নিয়ে কলকাতা বন্দরের পশ্চাদভূমি গঠিত হয়েছে। এই অঞ্চলটি কৃষিজ (চা, পাট, ধান প্রভৃতি), খনিজ (কয়লা, আকরিক লােহা, অত প্রভৃতি), বনজ সম্পদে পরিপূর্ণ। এ ছাড়াও এখানে পাট, চা, ইঞ্জিনিয়ারিং, সিমেন্ট, কাগজ প্রভৃতি শিল্প গড়ে ওঠায় অঞ্চলটি যথেষ্ট জনবহুল। >
৪. সুলভ শ্রমিকের সহজলভ্যতা : কলকাতা অত্যন্ত জনবহুল মহানগরী হওয়ায় এখানকার বন্দরের কাজের জন্য পর্যাপ্ত শ্রমিক পাওয়া যায়।
৫. উন্নত যােগাযােগ ব্যবস্থা : ভাগীরথী-হুগলি নদীপথ, দক্ষিণ-পূর্ব রেলপথ এবং কয়েকটি জাতীয় রাজপথের (2 নং, 6 নং, 34 নং জাতীয় সড়ক) মাধ্যমে কলকাতার সঙ্গে সমগ্র পূর্ব ভারতের যে উন্নত যােগাযােগ ব্যবস্থা গড়ে উঠেছে, সেটিও কলকাতা বন্দরের উন্নতিতে সহায়তা করে।
৬. অনুকূল প্রাকৃতিক পরিবেশ : কলকাতা এবং এর সংলগ্ন এলাকার প্রাকৃতিক পরিবেশ, যেমন—সমতল ভূমিরূপ, সমভাবাপন্ন জলবায়ু প্রভৃতি কলকাতা বন্দরের উন্নতির অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টি করে।
৭. বাণিজ্যকেন্দ্রের অবস্থান : পশ্চিমবঙ্গের রাজধানী কলকাতা পূর্ব ভারতের প্রধান বাণিজ্যকেন্দ্র ও শিল্পকেন্দ্র হওয়ায় স্বাভাবিকভাবে কলকাতা বন্দরের উন্নতি ঘটেছে।
● কলকাতা বন্দরের অবনতির কারণসমূহ
পশ্চিমবঙ্গে কলকাতা বন্দরের অধিক গুরুত্ব থাকলেও বর্তমানে সেই গুরুত্ব হ্রাস পাওয়ার কারণগুলি হল—
১.নদীর নাব্যতা হ্রাস : নিয়মিতভাবে প্রচুর পরিমাণে পলি, বালি প্রভৃতি নদীবক্ষে সঞ্চিত হওয়ার ফলে নদীর গভীরতা ক্রমশ হ্রাস পাচ্ছে। ফলে সমুদ্রগামী জাহাজগুলি কলকাতা বন্দরে আসতে পারছে না।
২.নদীর আঁকাবাঁকা গতিপথ : নদীর মােহনা থেকে কলকাতা বন্দর পর্যন্ত হুগলি নদীতে অসংখ্য বাঁক আছে। এগুলি বড়াে জাহাজ চলাচলে অসুবিধাজনক।
৩. নদীতে বড়াে বড়াে বালুচরের অবস্থান : মােহানা থেকে কলকাতা বন্দর পর্যন্ত হুগলি নদীতে প্রায় 14-15 টি বড়াে বালুচর আছে। এজন্য বিদেশি বড়াে বড়াে জাহাজগুলি কলকাতা বন্দরে আসতে পারে না।
৪. বন্দরের স্থানাভাব : বন্দরের স্থানাভাবের জন্য একসঙ্গে অনেকগুলি জাহাজ নােঙর করা যায় না এবং জেটির অভাবে বেশি পরিমাণে মাল বােঝাই ও খালাস করা যায় না।
■◆ পর্যটনশিল্প কাকে বলে? পশ্চিমবঙ্গে পর্যটনশিল্পের উন্নতির কারণগুলি কী কী ?
পর্যটনশিল্প
অবকাশ যাপন, বিনােদন, ব্যাবসাবাণিজ্য, শিক্ষামূলক কর্মকাণ্ডের উদ্দেশ্যে মানুষ যখন অল্প সময়ের জন্য এক স্থান থেকে অন্যস্থানে ভ্রমণ করে এবং মানসিক আনন্দ লাভ করে, তাকেই পর্যটন বলে। এই পটনের কারণে যখন কোনাে স্থানে রাস্তাঘাটের উন্নয়ন, হােটেল, রিসর্ট নির্মাণ বা প্রকৃতিকে উপভােগ করার জন্য নানা পরিকাঠামাের উন্নতি ঘটানাে হয়, তখন তা পর্যটনশিল্প হিসেবে বিবেচনা করা যায়।
পর্টিনের সাথে পর্যটকের যেমন উপকার হয় তেমনি সুষ্ঠু পর্যটনশিল্পের সাথে বহু মানুষের কর্মসংস্থান হয়। পশ্চিমবঙ্গ পর্যটনশিল্পে ভারতে প্রথম দশটি বাদ্যের মধ্যে অন্যতম। .
●পশ্চিমবঙ্গে পর্যটনশিল্পের উন্নতির কারণ
পশ্চিমবঙ্গে পর্যটনশিল্পের উন্নতির কারণগুলি হল—
1. প্রাকৃতিক পরিবেশের বৈচিত্র্য : পশ্চিমবঙ্গের উত্তরে সুউচ্চ হিমালয়, দক্ষিণে বঙ্গোপসাগরের সুনীল জলরাশি, পশ্চিমের মালভূমির অসাধারণ প্রাকৃতিক বৈচিত্র্য এ রাজ্যে পটিনশিল্পের উন্নতির প্রধান কারণ।
2. ঐতিহাসিক ও সাংস্কৃতিক কেন্দ্র এ রাজ্যে মুরশিদাবাদ, কলকাতা ও অন্যত্র নানা ইতিহাস প্রসিদ্ধ স্থান রয়েছে। পর্যটকদের কাছে এটি এক অনবদ্য আকর্ষণ।
3. পরিবহণের সুবিধা বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন পর্যটন স্থানগুলির সাথে রেল, সড়ক, জলপথ এবং আকাশপথ সংযুক্ত করা হয়েছে। শীততাপ নিয়ন্ত্রিত বাস, হেলিকপ্টার পরিসেবা, বিলাসবহুল নৌকা, লঞ্চের মাধ্যমে পর্যটকদের ঘােরানাের ব্যবস্থা হয়েছে।
4. হােটেল, রিসর্টের উন্নয়ন ঐতিহাসিক স্থানগুলিতে নতুন নতুন হােটেল, রিসর্ট তৈরি হচ্ছে। উত্তরের তরাই, ডুয়ার্স, সুন্দরবনের গভীরে ইকো রিসর্ট, ট্রি হাউস পর্যটকদের আকর্ষণ করছে।
5. টুরিস্ট গাইড টুরিস্ট গাইডরা পরিবেশ সংরক্ষণ, ঐতিহাসিক স্থানগুলির গুরুত্ব, তাদের সৃষ্টির কারণ এবং তাদের সংরক্ষণ বিষয়ে পর্যটকদের সচেতন করে। গাইডের এই ব্যবস্থা পর্যটনশিল্পের উন্নতির সহায়ক।
6. স্থানীয় উৎসব : কলকাতায় শারদীয়া উৎসব, শান্তিনিকেতনের পৌষমেলা, কৃয়নগরের জগদ্ধাত্রী পুজো, শান্তিপুর ও কোচবিহারের রাসমেলা, কলকাতার বর্ষশেষ ও বর্ষবরণ উৎসব, কেঁদুলির জয়দেব মেলার মতাে অসংখ্য উৎসব পশ্চিমবঙ্গের পর্যটনশিল্পের উন্নতির কারণ।