কার দৌড় কদ্দুর প্রশ্ন উত্তর || class 7 bengali কার দৌড় কদ্দুর question |
কার দৌড় কদ্দুর প্রশ্ন উত্তর || class 7 bengali কার দৌড় কদ্দুর question answer||
কার দৌড় কদ্দুর
শিবতোস মুখোপাধ্যায়
কার দৌড় কদ্দুর গল্পের বিষয়বস্তু, হাতেকলমে প্রশ্ন উত্তর, নামকরণ, অতি সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন উত্তর,বিষয়মুখী প্রশ্ন উত্তর আলোচনা করা হয়েছে।
কার দৌড় কদ্দুর গল্পের বিষয়বস্তু:
বিষয়সংক্ষেপ
বিশ্বচরাচরের প্রাণীরা এক জায়গায় চুপচাপ বসে না থেকে দিকে দিকে ভ্রমণ করে। এই দৌড়ের বিচিত্র রূপ, বিচিত্র উদ্দেশ্য, বিচিত্র ভঙ্গিমা আলোচ্য পাঠ্যাংশ ‘কার দৌড় কদ্দুর’-এ বর্ণিত হয়েছে।
ইঁদুর দৌড়োয় গর্তের দিকে, নদীর দৌড় সাগরের দিকে, খবরের দৌড় কানের দিকে, আঘ্রাণের দৌড় নাকের দিকে, সুন্দরের দৌড় স্বভাবতই বিদ্যার দিকে, খদ্দেরের দৌড় দোকানের দিকে, দুঃখের দৌড় সুখের দিকে, জন্মের দৌড় মৃত্যুর দিকে, আপেল দৌড়োয় মাটির দিকে। কখনও ‘দৌড়’ কথাটি ভিন্নার্থক অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে।
গাছ দৌড়োয় না, তারা এক জায়গায় ঠায় দাঁড়িয়ে থেকে চারদিকের পরিবেশ থেকে খাদ্য-উপাদান সংগ্রহ করে নিজেদের দেহে প্রয়োজনীয় খাদ্য প্রস্তুত ও সংশ্লেষ করতে পারে।
কিন্তু প্রাণীদের সেই উপায় নেই; তাই তাদের খাদ্যের অন্বেষণে নানাস্থানে গমনাগমন করতে হয়। নিম্নশ্রেণির এককোশী অ্যামিবা ক্ষণপদের সাহায্যে, প্যারামোসিয়াম সিলিয়ার সাহায্যে, শামুক মাংসল পুরু পায়ের সাহায্যে গমন করে।
গমনাগমনের প্রকৃত মাধুর্য ধরা পড়ে উচ্চ শ্রেণির প্রাণীদের গমনাগমনে। দৈহিক ওজনের সঙ্গে প্রাণীর গমনশক্তির বিশেষ সম্পর্ক আছে। কত ভারী জন্তু কত ওজন নিয়ে কত পথ অতিক্রম করতে পারে, তাই বিবেচ্য প্রাণীদের দৌড়ের স্বরূপ নির্ণয়ের ক্ষেত্রে ।
চিতাবাঘের ওজন তিরিশ পাউন্ড, সে ঘণ্টায় ৭০ মাইল দৌড়োয়, একই ওজনের নেকড়ে দৌড়োয় ঘণ্টায় ৩৬ মাইল। হিপোর দেহের ওজন আঠাশশো পাউন্ড। সে ঘণ্টায় দৌড়োয় ২০/৩০ মাইল। গোবি মরুভূমিতে গ্যাজেলি নামক এক ধরনের
{ হরিণ আশি পাউন্ড দেহের ওজন নিয়ে ঘণ্টায় ৬০ মাইল, এন্টিলোপ হরিণ ঘণ্টায় ৪৫ মাইল, রেস হর্স ১০০০ পাউন্ড দেহের ওজন নিয়ে ঘণ্টায় ৪০/৪২ মাইল দৌড়োয়। বুনো গাধার দেহের ওজন ৩০০ পাউন্ড, সে রেস হর্সের সমান গতিতে দৌড়োয়; হাতি ৭০০০ পাউন্ড দেহের ওজন নিয়ে গদাইলস্কর চালে ঘণ্টায় ২৫ মাইল পথ গমন করে।
পাখিদের ওড়ার গতিবেগও বিভিন্ন। মেরুপ্রদেশের টারনস প্রতিবছর এগারো হাজার মাইল একবারে উড়ে যায় আবার পরে ফিরে আসে। কোনো কোনো হক্ জাতীয় পাখি ঘণ্টায় একশো পঞ্চাশ মাইল বেগে উড়তে পারে, আফ্রিকার ইন্ জাতীয় পাখি আবার ওড়া ছেড়ে হাঁটায় পারদর্শী হয়ে উঠেছে। ১১০ পাউন্ড দেহের ওজন নিয়ে সে ঘণ্টায় ৩১ মাইল দৌড়োয়।
পৃথিবীতে সব চলার মাঝে মানুষের নিজের মনোভূমিতে চলা বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ ও বিস্ময়কর। সে চলাই প্রকৃত চলা। মনের দৌড়ে মানুষ চ্যাম্পিয়ন। এই মনকে সঙ্গে নিয়ে মানুষ যুগে-যুগে, দেশে-দেশে পদচালনা করে কত দেশ-মহাদেশ, কত রহস্য আবিষ্কার করেছে। ভ্রমণনেশায় হিউয়েন সাঙ চিন দেশ থেকে এসেছেন ভারতবর্ষে, ভারতের অতীশ দীপঙ্কর গিয়েছেন তিব্বতে, ভাস্কো-ডা-গামা সুদূর ইউরোপ থেকে জলপথে এসেছেন ভারতে। শঙ্করাচার্য পদব্রজে সারা ভারত পর্যটন করে ভারতবর্ষকে আবিষ্কার করেছেন।
এই দৌড় বা চলাই হল জীবনের ধর্ম। চলা বন্ধ হলেই জীবনের শেষ। চলাই জীবন, থামা মানেই মৃত্যু। বিশ্বপ্রকৃতির দিকে তাকালেই এই শাশ্বত সত্যটি উপলব্ধি করা যায়।
নামকরণ
শিবতোষ মুখোপাধ্যায় বিরচিত বিজ্ঞানভিত্তিক প্রবন্ধ ‘কার দৌড় কদ্দুর’-এর নামকরণের সার্থকতা কতখানি গ্রহণযোগ্য, তা নির্ধারণের আগে সাহিত্যে গল্প-কবিতা-নাটক-উপন্যাস প্রভৃতির নামকরণ নির্দেশক বিষয় কী, তার প্রতি আলোকপাত করা দরকার ৷
সাধারণত কাহিনির কেন্দ্রীয় চরিত্র, মূল বিষয়বস্তু, তাৎপর্যপূর্ণ কোনো ঘটনা অথবা কোনো ব্যঞ্জনার নিরিখে নির্ধারিত হয় কোনো গল্প-কবিতা-নাটক-উপন্যাস প্রভৃতির নামকরণ।
আলোচ্য ‘কার দৌড় কদ্দুর’ প্রবন্ধের নামকরণ নির্ধারিত হয়েছে কাহিনির মূল বিষয়বস্তুর আঙ্গিকে। সমগ্র প্রবন্ধটিতে বিভিন্ন প্রাণীর গমনাগমন বা দৌড়ের স্বরূপ উদ্ঘাটিত হয়েছে।
তা ছাড়াও ‘দৌড়’ কথাটি বিশেষ সাহিত্যরসে ব্যঞ্জনাময় হয়ে উঠেছে নানা আলংকারিক ব্যবহারে। ‘দৌড়’ কথাটি কখনও ব্যবহৃত হয়েছে সামর্থ্য অর্থে, কখনও গতি অর্থে আবার কখনও বা দার্শনিক ও মনস্তাত্ত্বিক চিন্তাভাবনায় ।
‘দুঃখের দৌড় সুখের দিকে’, ‘মৃত্যুর দৌড় জন্মের দিকে’ কথাগুলি দার্শনিকতায় সমৃদ্ধ, ইঁদুরের দৌড় গর্তের পানে’, “খদ্দেরের দৌড় দোকানের দিকে’, ‘রোগীর দৌড় ডাক্তারের কাছে’ প্রভৃতি ক্ষেত্রে ‘দৌড়’ শব্দটি ব্যবহৃত হয়েছে অভিলক্ষ হিসেবে।
এরপর অ্যামিবা, প্যারামোসিয়াম, শামুক, চিতা, হরিণ, গ্যাজেলি, বুনো মোষ, হাতি, ঘোড়া, কাঙারু, টারনস প্রভৃতি নিম্নশ্রেণির এককোশী জীব থেকে বহুকোশী উন্নত প্রাণীর বা জীবের ক্ষেত্রে ‘দৌড়’ ব্যবহৃত হয়েছে চলা হিসেবে।
অতএব দৌড় বিষয়টিকে বিন্যস্ত করতেই তিনি অজস্র প্রসঙ্গের অবতারণা করেছেন। সুতরাং প্রবন্ধের মূলভাব হয়ে উঠেছে‘দৌড়’। তাই বিষয়-অনুসারী নামকরণ বলতে যা বোঝায়, সেই অর্থে এ নামকরণ যথেষ্ট তাৎপর্যময় এবং সার্থক হয়েছে।
কার দৌড় কদ্দুর: হাতেকলমে
ঠিক উত্তরটি বেছে নিয়ে লেখো :
[১১] উপনিষদে উক্ত ‘চরৈবেতি’ শব্দের অর্থ (যাত্রা থামাও/ এগিয়ে যাও/দাঁড়িও না)।
উত্তর এগিয়ে যাও ।
[1.2 পৃথিবী যে নিজের কক্ষপথে সূর্যের চারিদিকে ঘোরে তা প্রথম বলেন (গ্যালিলিও / কোপারনিকাস / সক্রেটিস)
উত্তর কোপারনিকাস।
ভাস্কো-ডা-গামা ছিলেন (মার্কিন/ পোর্তুগিজ / গ্রিক)।
উত্তর পোর্তুগিজ।
[১৪] যে বৈজ্ঞানিক কারণে আপেল দৌড়ায় মাটির দিকে’, সেটি হল (মাধ্যাকর্ষণ/প্লবতা/সন্তরণ-নিয়ম)।
উত্তর মাধ্যাকর্ষণ।
[ ১.৫ আইনস্টাইন ছিলেন (সপ্তদশ /অষ্টাদশ/ঊনবিংশ) শতাব্দীর মানুষ।
উত্তর ঊনবিংশ।
২. শূন্যস্থান পূরণ করো :
২.১এফিড উড়বার সময় প্রতি সেকেন্ডে—–বার ডানা নাড়ায়।
উত্তর চারশো।
২.২ গমন শক্তিকে বিচার করতে হয় সবসময়ে -___ হিসাব করে।
উত্তর দৈহিক ওজনের পরিমাপ।
২.৩ গোবি মরুভূমিতে ____ . নামক এক হরিণ আছে।
উত্তর গ্যাজেলি।
২.৪ ____ টারনস প্রতি বছরে এগারো হাজার মাইল একবার উড়ে আসে আবার পরে ফিরে যায়।
উত্তর মেরুপ্রদেশের
2.৫ ATP-র পুরো কথাটি হল ____
উত্তর এডিনোসসিন ট্রাইফসফেট।
৩. অতি-সংক্ষিপ্ত আকারে নীচের প্রশ্নগুলির যথাযথ উত্তর দাও :
[৩১] অণুবীক্ষণ যন্ত্রের সাহায্যে দেখা যায় এমন দুটি প্রাণীর নাম লেখো।
উত্তর : অণুবীক্ষণ যন্ত্রের সাহায্যে দেখা যায় এমন দুটি প্রাণীর নাম হল–অ্যামিবা, প্যারামোসিয়াম।
৩.২ শামুক চলে যাবার সময় রেখে যায় জলীয় চিহ্ন’—সেটি আসলে কী ?
উত্তর :শামুক যাতায়াত করে তার দেহেরই নীচের দিকে একপ্রকার বর্ধিত মাংসল পা দিয়ে। আর চলার গতিকে সহজ করতে তারা দেহ থেকে নির্গত করে এক বিশেষ তরল পদার্থ। এই তরল তার চলার পথকে পিচ্ছিল করে এবং চলার পথে রেখে যায় চকচকে জলীয় চিহ্ন ।
৩.৩ আমাদের নিজেদের শরীরের মধ্যে একরকম ভবঘুরে সেল আছে।’—সেলটিকে ভবঘুরে’ বলা হয়েছে কেন ?
উত্তর: ‘ভবঘুরে’ যেমন এক জায়গা থেকে আর-এক জায়গায় ঘুরে বেড়ায় তেমনি আমাদের দেহের ভিতর একরকম সেল বা কোশ আছে। তবে তাদের একটা উদ্দেশ্য আছে। তারা দেহে প্রবেশ করা জীবাণু বা বহিঃশত্রুকে নাশ করে। শরীরের এ প্রান্ত থেকে ও প্রান্ত পর্যন্ত ঘুরে বেড়ায় বলেই তাদের ‘ভবঘুরে’ বলা হয়েছে।
৩.৪ নানা জাতের খরগোশের মধ্যে গতির তারতম্য দেখা যায়’—কয়েকটি খরগোশের জাতির নাম লেখো ।
উত্তর কয়েকটি খরগোশের জাতির নাম হল—আমেরিকান চিনচিলা, বেলজিয়ান হেয়ার, সিলভার ফক্স, জ্যাক র্যাবিট, প্যালোমিনো ইত্যাদি।
৩.৫ ‘কোনো কোনো পতঙ্গ উড়বার সময় তাদের ডানা প্রচণ্ড জোরে নাড়ে’–তোমার চেনা কয়েকটি পতঙ্গের নাম লেখো। (ছবি সংগ্রহ করে খাতায় লাগাও
উত্তর: আমার চেনা কয়েকটি পতঙ্গ, যারা ‘উড়বার সময় তাদের ডানা প্রচণ্ড জোরে নাড়ে’ হল—প্রজাপতি, ফড়িং, আরশোলা, মশা, মাছি ইত্যাদি ।
৩.৬ কত সামুদ্রিক জীব গা ভাসিয়ে মাইলের পর মাইল পাড়ি দেয় তার হিসাব আমরা রাখি না।’—কয়েকটি সামুদ্রিক জীবের নাম লেখো।
উত্তর কয়েকটি সামুদ্রিক জীব হল–তিমি, হাঙর, ডলফিন, জেলিফিস, অক্টোপাস ইত্যাদি ।
৩.৭ ‘রক্ষে এই যে …..’ – লেখক কোন্ বিষয়টিকে সৌভাগ্য বলে মনে করেছেন এবং কেন ?
উত্তর: লেখক জীবনের চলার গতিকে সৌভাগ্য বলে মনে করেছেন। কোনো প্রাণী তা সে যত ক্ষুদ্রই হোক, চলা তার থামেনি। যেমন—‘অ্যামিবা’, আবির্ভাবের পর থেকে নিজস্ব শ্লথ গতিতে সে চলমান। চলমানতাই জীবন, কারণ এই চলমানতার গতি আছে বলেই জীবনের অস্তিত্ব আছে, আর থেমে যাওয়াই মৃত্যুর সমান।
৩.৮ প্যারামোসিয়াম কীভাবে চলাফেরা করে?
উত্তর: প্যারামোসিয়াম একটি এককোশী প্রাণী। এই এককোশী প্রাণীটির চারপাশে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র চুলের মতো অসংখ্য গমনাঙ্গ আছে, যাকে বলা হয় ‘সিলিয়া’। হাজার দাঁড়ের সাহায্যে নৌকো যেমন গতি পায়, এগিয়ে যায় তেমনি প্যারামোসিয়াম ও অজস্র সিলিয়ার সাহায্যে তার যথেচ্ছ ব্যবহারের ফলে এগোতে পিছোতে পারে।
[ ৩.৯] প্যারামোসিয়াম ছাড়া দুটি এককোশী জীবের নাম লেখো।
উত্তর: প্যারামোসিয়াম ছাড়া দুটি এককোশী জীব হল—অ্যামিবা, ইউগ্লিনা ৷
৩.১০ ‘তার চলাফেরার ভঙ্গিটি ভারি মজার।’—কার চলার ভঙ্গির কথা বলা হয়েছে? তা ‘মজার’ কীভাবে ?
উত্তর: অ্যামিবার চলার ভঙ্গির কথা বলা হয়েছে।
এককোশী অ্যামিবা তার দেহের খানিক প্রোটোপ্লাজম সামনে গড়িয়ে দেয়, ফলে সৃষ্টি হয় ক্ষণপদ। আর এই ক্ষণপদের সাহায্যেই প্রোটোপ্লাজমের দিকে সে এগিয়ে যায়, কয়েক মিনিটে তার কয়েক মিলিমিটার পথ মন্থর গতিতে চলাফেরার ভঙ্গিটিকে।লেখক মজার বলে উল্লেখ করেছেন।
৩.১১ গমনে সক্ষম গাছ ও গমনে অক্ষম প্রাণীর নাম লেখো।
উত্তর : গমনে সক্ষম একটি গাছের নাম হল—ক্ল্যামাইডোমোনাস। গমনে অক্ষম একটি প্রাণীর নাম হল—স্পঞ্জ।
৩.১২ কয়েকটি হক্’ জাতীয় পাখির নাম লেখো।
উত্তর কয়েকটি ‘হক্’ জাতীয় পাখি হল—চিল, ঈগল, শিকারি বাজ, প্যাঁচা ইত্যাদি।
৩.১৩ আফ্রিকার কী জাতীয় পাখি ওড়া ছেড়ে হাঁটায় পারদর্শী হয়ে উঠেছে?
উত্তর: আফ্রিকার ইন্ জাতীয় পাখি কোনো-এক সময় উড়তে সক্ষম ছিল, এখন তারা ওড়া ছেড়ে হাঁটায় পারদর্শী হয়ে উঠেছে। ৩.১৪ ক্রমবিকাশের পথ পরিক্রমায় ঘোড়ার আঙুলের কোন্ পরিবর্তন ঘটেছে?
উত্তর ক্রমবিকাশের ইতিহাস থেকে জানা যায় ঘোড়ার পূর্ব-পুরুষদের এখনকার ঘোড়ার মতো পায়ে খুর ছিল না, হাতে-পায়ে পাঁচটি করে আঙুল ছিল। কিন্তু ক্রমবিকাশের পথে কালের পরিক্রমায় অন্য আঙুলগুলি অবলুপ্ত হয়ে কেবল মাঝের আঙুলটি খুরে পরিণত হয়েছে।
৩.১৫ পাঠ্যাংশে রয়েছে এমন একটি নিশাচর প্রাণীর নাম লেখো।
উত্তর: পাঠ্যাংশে রয়েছে এমন একটি নিশাচর প্রাণী হল শেয়াল ।
৪.টীকা লেখো : হিউয়েন সাঙ, শ্রীজ্ঞান দীপঙ্কর, শীন দীপ ভাস্কো-ডা-গামা, শঙ্করাচার্য।
উত্তর হিউয়েন সাঙ : হিউয়েন সাঙ একজন চিনা পর্যটক। তিনি বৌদ্ধধর্মের প্রতি আকৃষ্ট হয়ে হর্ষবর্ধনের রাজত্বকালে ভারতে আসেন। দীর্ঘ সময় ভারতে থেকে স্বদেশে ফিরে গিয়ে ভারতভ্রমণ-বিষয়ক গ্রন্থ লেখেন। এই গ্রন্থ থেকে তৎকালীন ভারতবর্ষের সামাজিক, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, সাংস্কৃতিক ও ধর্মীয় জীবন সম্পর্কে অনেক তথ্য পাওয়া যায়।
শ্রীজ্ঞান দীপঙ্কর : পণ্ডিতদের মতে, ৯৮০ খ্রিস্টাব্দে বর্তমান বাংলাদেশের বিক্রমপুরের বজ্রযোগিনী গ্রামে শ্রীজ্ঞান দীপঙ্করের জন্ম। তিব্বতি পরম্পরা অনুসারে ইনি বিক্রমমনিপুর রাজ কল্যাণশ্রীর পুত্র। আদিনাম ছিল—আদিনাথ চন্দ্রগর্ভ।
নিতান্ত অল্পবয়সেই তিনি বৌদ্ধধর্মের নানা শাস্ত্র পাঠ করে প্রকৃত জ্ঞান অর্জন করেন—মাত্র ১৯ বছর বয়সে ‘ওদন্তপুরী’ বিহারের মহাসংঘিকাচার্য শীলরক্ষিতের কাছে দীক্ষা নিয়ে ইনি ‘শ্রীজ্ঞান’ উপাধি লাভ করেন—তাঁর আর-এক উপাধি অতীশ। প্রাথমিক পর্যায়ে বাড়িতে মায়ের কাছে এবং পরে অবধূত জেতারির কাছে শাস্ত্রশিক্ষা লাভ করেন।
পালরাজা মহীপালের তত্ত্বাবধানে ইনি বিক্রমশীলা মহাবিহারের অধ্যক্ষপদে নিযুক্ত হন। তিব্বতের রাজা ও তিব্বতি বৌদ্ধদের আমন্ত্রণে তিনি তিব্বতে গিয়ে বহু সংস্কৃত’ ও ‘পালি’ ভাষায় লেখা বৌদ্ধগ্রন্থ সেখানকার ‘ভোট’ ভাষায় অনুবাদ করেন। শেষপর্যন্ত তিব্বতেই তিনি মৃত্যুবরণ করেন।
ভাস্কো-ডা-গামা : ভাস্কো-ডা-গামা একজন পোর্তুগিজ পর্যটক। ইনি সমুদ্রপথে সুদূর ইউরোপ থেকে ভারত তথা প্রাচ্য দেশের পথ আবিষ্কার করে ১৪৯৮ খ্রিস্টাব্দে ভারতের কালিকট বন্দরে পৌঁছোন। প্রাচ্য ও পাশ্চাত্যের সাহিত্যসংস্কৃতি ও শিল্পের সমন্বয়সাধনে ভাস্কো-ডা-গামার এই ভারত-আগমন বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ ঘটনা ।
শঙ্করাচার্য : কেরল রাজ্যের কালাদি গ্রামে ৭৮৮ খ্রিস্টাব্দে শঙ্করাচার্যের জন্ম হয়। আদি শঙ্করাচার্য বৌদ্ধধর্মের প্রবল উচ্ছ্বাস থেকে হিন্দুধর্মকে রক্ষা করেন। পুরীর জগন্নাথ মন্দির রক্ষার ক্ষেত্রেও তাঁর ভূমিকা প্রশংসনীয়। তিনি অদ্বৈত বেদান্তের চর্চা করেছিলেন এবং অদ্বৈত বেদান্তকে তিনি সুদৃঢ় ভিত্তির উপর স্থাপন করেন।
মূল উপনিষদের ভাষ্য-সহ বহু স্তোত্র তিনি রচনা করেছিলেন। পদব্রজে শঙ্করাচার্য সমগ্র ভারতবর্ষের উত্তর-দক্ষিণ পূর্ব-পশ্চিম পরিভ্রমণ করেন ও চার প্রান্তে চারটি মঠ স্থাপন করেন। ৮২০ খ্রিস্টাব্দে এই মহান বেদান্ত ভাষ্যকার দেহত্যাগ করেন।
৫.নিচের প্রশ্ন গুলির উত্তর নিজের ভাষায় লেখ
[৫১] প্রাণী মাত্রকেই খাবার সংগ্রহ করতে হয় — গাছ কীভাবে না দৌড়ে তার খাবার সংগ্রহ করতে পারে ?
উত্তর কয়েকটি পরভোজী গাছ ছাড়া সমস্ত উন্নত শ্রেণির ক্লোরোফিলযুক্ত সবুজ গাছ নিজের দেহে নিজে সালোকসংশ্লেষ পদ্ধতিতে শর্করা জাতীয় খাদ্য তৈরি করে। শিকড় বা মূলের সাহায্যে গাছ মাটির নীচ থেকে খনিজ লবণমিশ্রিত জল সংগ্রহ করে কাণ্ডের মধ্যে অবস্থিত জাইলেমের সাহায্যে গাছের রান্নাঘর সবুজ পাতায় পাঠিয়ে দেয়।
পরিবেশ থেকে সংগৃহীত কার্বন ডাইঅক্সাইড, পাতার সবুজ ক্লোরোফিল ও সূর্যের আলোর ফোটন কণার উপস্থিতিতে জৈব-রাসায়নিক প্রক্রিয়ায় অর্থাৎ তৈরির পর এই খাদ্য ফ্লোয়েম নামক সংবহন কলার মাধ্যমে সারা সালোকসংশ্লেষ প্রক্রিয়ায় শর্করা জাতীয় খাদ্য প্রস্তুত হয়। খাদ্য শরীরে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। তাই খাদ্যসংগ্রহের জন্য উদ্ভিদকে স্থানপরিবর্তন অর্থাৎ গমন করতে হয় না।
৫.২] প্রবন্ধে লেখক জানিয়েছেন যে খাবার সংগ্রহের কারণেই ‘প্রাণীরা এক জায়গায় স্থাণু না হয়ে দিকে দিকে পরিভ্রমণ করে।’—তুমি কি এই মতটিকে সমর্থন করো? তোমার উত্তরের সপক্ষে যুক্তি দাও ।
উত্তর: প্রাবন্ধিক শিবতোষ মুখোপাধ্যায়ের ‘কার দৌড় কদ্দূর’ প্রবন্ধ থেকে নেওয়া উদ্ধৃত মতটিকে আমি সম্পূর্ণরূপে সমর্থন করি। খাবার সংগ্রহের কারণে প্রাণীরা এক জায়গায় স্থাণু না হয়ে দিকে-দিকে পরিভ্রমণ করে সে-বিষয়ে কোনো দ্বিমত নেই । কিন্তু শুধুমাত্র খাদ্যসংগ্রহের জন্য প্রাণীদের দিকে দিকে পরিভ্রমণ করতে হয়—তা ঠিক নয়। আরও কয়েকটি কারণে প্রাণীদের স্থানপরিবর্তন করতে হয়।
বাসস্থান খোঁজার জন্য, আত্মরক্ষার জন্য, বংশবিস্তারের জন্য এককথায় অভিযোজনের জন্য ও প্রাণীদের বিভিন্ন স্থানে ভ্রমণ বা গমন করতে হয়। তবে যেহেতু অধিকাংশ প্রাণী নিজেদের দেহে খাদ্য তৈরি করতে পারে না, সেহেতু খাদ্যের সন্ধানেও প্রাণীদের অবশ্যই নানা স্থানে যেতে হয়। এই ব্যাপারে তাই আমি লেখকের সঙ্গে একমত।
৫.৩ ‘গমনাগমনের প্রকৃত মাধুর্যটা আমাদের চোখে পড়ে সাধারণত উচ্চতর প্রাণীর মধ্যে।’-পাঠ্যাংশে উচ্চতর প্রাণীদের গমনাগমনের মাধুর্য কীভাবে প্রতিফলিত হয়েছে আলোচনা করো।
উত্তর : লেখকের মনে হয়েছে উচ্চতর প্রাণীদের গমনাগমন যথেষ্ট বৈচিত্র্যময়। কেন-না তাদের চলার মধ্যে রয়েছে অনেক কৌশলগত দিক।
তবু বলা যেতে পারে গমনশক্তি প্রাণীদেহের দৈহিক ওজনের উপর অনেকটাই নির্ভর করে। সাধারণত ভাবা হয় বেশি ওজনবিশিষ্ট প্রাণীদের গতি খুব কম হবে এবং দৈহিক ওজন কম হলে তাদের গতি বেশি হবে, কিন্তু তা নাও হতে পারে ।
উদাহরণ হিসেবে দেখা যায় ৩০ পাউন্ড ওজন নিয়ে চিতা দৌড়োয় ঘণ্টায় ৭০ মাইল, অথচ নেকড়ে চিতার সমওজনের হয়েও ঘণ্টায় দৌড়োয় মাত্র ৩৬ মাইল। হিপো দৈহিক ১৮০০ পাউন্ড ওজন নিয়ে ঘণ্টায় ২০-৩০ মাইল যেতে পারে। আবার গ্যাজেলি হরিণ ৮০ পাউন্ড ওজন নিয়েও ঘণ্টায় ৬০ মাইল বেগে দৌড়োয় ।
এইসকল প্রাণীদের দ্রুততার সঙ্গে তাদের গমনভঙ্গি ও বিচিত্র—কেউ পায়ের সাহায্যে, কেউ ডানা, কেউ পাখনা ব্যবহার করে মাইলের পর মাইল অতিক্রম করে। সমুদ্রের স্রোতের সঙ্গে কত সামুদ্রিক জীব গা ভাসিয়ে সাঁতার কেটে মাইলের পর মাইল চলে যায়।
আবার বাঘ-সিংহ-হরিণ ছুটে যায় দ্রুতগতিতে, শামুকেরা চলে একখানি মাংস-পুরু পা দিয়ে। এসব প্রাণীদের গমনাগমনের কলাকৌশল, শারীরিক গঠন, গতিবেগ বৈচিত্র্যে পরিপূর্ণ।
৫.৪ ‘এ পথে আমি যে গেছি’__পাঠ্যাংশে কোন্ প্রসঙ্গে ব্যবহৃত হয়েছে?—রবীন্দ্রসংগীতের অনুষঙ্গটি
উত্তর: ‘কার দৌড় কদ্দূর’ বিজ্ঞানমূলক প্রবন্ধে প্রাবন্ধিক শিবতোষ মুখোপাধ্যায় বিভিন্ন প্রাণীর বিচিত্র গমনাগমনের স্বরূপ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে বাগান-শামুকের গমনের প্রসঙ্গে এসেছেন ।
বাগান-শামুক তাদের প্রসারিত একখানি মাংসল পুরু পা দিয়ে চলে, আর চলার সময় পথে রেখে যায় একটা জলীয় পদচিহ্ন। এমন পদচিহ্ন দেখলে কী মনে হতে পারে, কথাপ্রসঙ্গে কৌতুকের সুরে তা জানাতে গিয়েই তিনি যুৎসই রবীন্দ্রসংগীতের উদ্ধৃতি এনে বলেছেন—“এ পথে আমি যে গেছি।”
৫.৫‘একরকম মনে করলে ভুল হবে।’— কোন্ দুটি বিষয়ের ভুল সাপেক্ষে এমন মন্তব্য করা হয়েছে?
উত্তর: হালকা কোনো পাখির হাওয়ায় তিরের মতো ছুটে চলে যাওয়া, অপরদিকে অত্যধিক ওজন নিয়ে একখানি হিপোর কাদা ভেঙে থপ থপ করে যাওয়া—এই দুইয়ের গমন প্রসঙ্গে আলোচ্য মন্তব্যটি করা হয়েছে। আসলে গমনশক্তিকে বিচার করতে হয় সর্বদা দৈহিক ওজনের পরিমাণ হিসাব করে ।
৫.৬] উচ্চতর জীবদের পেশি কাজ করার ক্ষেত্রে কীভাবে শক্তি উৎপাদিত হয় ?
উত্তর উচ্চতর জীবকুল পেশিসঞ্চালনে তার গমন-অঙ্গ নাড়াতে পারে। আর এই পেশি যখন কাজ করে না, এডিনোসসিন ট্রাইফসফেট (ATP) নামক রাসায়নিক পদার্থের ক্রিয়ায় শক্তি উৎপন্ন হয়।
[৫.৭ ক্রমবিকাশের ইতিহাসে জানা যায়’—এ প্রসঙ্গে লেখক কোন্ তথ্যের অবতারণা করেছেন ?
উত্তর: ক্রমবিকাশের ইতিহাস থেকে জানা যায়-ঘোড়ার পূর্বপুরুষদের এখনকার ঘোড়ার মতো পায়ে খুর ছিল না, হাতে-পায়ে পাঁচটি করে আঙুল ছিল। কিন্তু ক্রমবিকাশের পথে কালের পরিক্রমায় বা বিবর্তনের ধারায় ক্রমে আঙুলগুলি অদৃশ্য হয়ে যায়। থেকে যায় কেবল মাঝের আঙুলটি, যেটি খুরে পরিণত হয়েছে।
৫.৮ ‘মনের দৌড়ে মানুষ চ্যাম্পিয়ন’—এমন কয়েকজন মানুষের কথা লেখো যাদের শারীরিক অসুবিধা থাকলেও মনের দৌড়ে সত্যিই তাঁরা প্রকৃত চ্যাম্পিয়ন হয়ে উঠেছেন।
উত্তর: মনের দৌড়ে সত্যিই মানুষ চ্যাম্পিয়ন, কেন-না তার মতো অতিসক্রিয় মন আর কোনো প্রাণীর নেই। এই মনের শক্তিতেই মানুষ তার চরম বিপদ থেকে নিজেকে উদ্ধার করে, শারীরিক প্রতিবন্ধকতা নিয়েও জয় করে বাধাসমূহ।
এরকম শারীরিক প্রতিবন্ধকতা ছিল, অথচ মনের দৌড়ে সত্যিকারের চ্যাম্পিয়ন, এমন কয়েকজন মানুষ হলেন- হেলেন কেলার, যিনি অন্ধ ও বধির হওয়া সত্ত্বেও সমাজসেবামূলক কাজে বিশ্বখ্যাতা গ্রিক কবি হোমার ছিলেন অন্ধ, অথচ তাঁর রচিত দুই মহাকাব্য ‘ইলিয়াড’ও ‘ওডিসি’ তাঁকে এনে দিয়েছিল বিশ্বখ্যাতি ।
একইভাবে বিটোফোন, ভিনসেন্ট ভ্যান গঘ্ন, স্টিফেন হকিং, সুধাচন্দ্রন, মাসুদুর রহমানের নাম করা যেতে পারে।
৫.৯] ‘মানুষ এখন শুধু নিজে চলেই ক্ষান্ত নয়।’—নিজের চলা ছাড়া বর্তমানে মানুষ কী কী জিনিস চালাতে সক্ষম
? উত্তর : মানুষ শুধু নিজেই চলিম্বু নয়, সে এখন চালকও। নিজে জীবজগতে সে শ্রেষ্ঠ। সে জলে চালাচ্ছে জাহাজ-ডুবোজাহাজ। চলে, অন্য কিছুকে চালনা করে মানুষ এখন প্রমাণ করেছে স্থলে চালাচ্ছে অজস্র যান ও সেইসঙ্গে রেলপথে রেলগাড়ি । চালিয়ে নিমেষে অতিক্রম করে চলেছে বহুদূরত্ব। আকাশপথে তার হাতে চালিত হচ্ছে প্লেন—জেট প্লেন। এমনি করে মানুষ জল-স্থল ও আকাশপথে অনেক কিছুই চালাতে সক্ষম হয়ে উঠেছে।
৫.১০ ‘এখন মানুষ আকাশটাকে নতুন করে ঘোড়াদৌড়ের মাঠ করে তুলেছে।’—মানুষের মহাকাশ-অভিযানের সাম্প্রতিকতম সাফল্য নিয়ে প্রিয় বন্ধুকে একটা চিঠি লেখো। (OEQ)
উত্তর
১/সি, আশুতোষ মুখার্জি রোড, কলকাতা-৭০
প্রিয় বন্ধু নায়ন,
কী বন্ধু কেমন আছিস? ফোনে কথা তো প্রায়ই হয়, কিন্তু আজ চিঠি লিখছি, যাতে তুই আমার কথা মনে রাখিস, আর আমার চিঠির উত্তর দিস।
তুই তো জানিস এই অসীম নীলাকাশ আমার অত্যন্ত প্রিয়। মানুষের বিজয়কেতন আজ সেখানে সুপ্রতিষ্ঠিত। মানুষ তার স্বভাবগত কৌতূহল ও উৎসাহ নিয়ে উন্মোচন করেছে নানা রহস্য। চাঁদের মাটিতে প্রথম মনুষ্যপদক্ষেপ যেমন এক যুগান্তকারী ঘটনা তেমনি কিওরোসিটির মঙ্গল-অভিযান ও সেখানে প্রাণের অস্তিত্ব-সন্ধান আমাকে উৎসাহিত করেছে।
সুনীতা উইলিয়ামস আমাদের গৌরবান্বিত করেছেন বারবার সফলভাবে মহাকাশযাত্রা করে। ২০২৩-এ চন্দ্র অভিযানে ভারতের সাফল্য, শুধু তাই নয়, সূর্যের দেশেও ভারতের পাড়ি—তার শিরে পরিয়েছে শ্রেষ্ঠত্বের মুকুট। তোর দাদাও তো কৃতি মানুষ, ‘নাসা’র অনেকের সঙ্গে জানাশোনা আছে।
তোর দাদা এবার বাড়িতে যখন আসবে তখন আমাকে কিন্তু দাদার সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিবি আর মহাকাশ সম্পর্কে কিছু জানার ব্যবস্থা করে দিবি—আর এটাই আমার চিঠি লেখার মূল উদ্দেশ্য। আচ্ছা আজ এখানেই শেষ করছি। তুই ভালো থাকিস, কাকু-কাকিমাকে আমার প্রণাম জানাস।
ইতি
তোর বন্ধু সঞ্জীব
ডাকটিকিট
| নয়ন মুখোপাধ্যায় | প্রযত্নে, ড. গোপাল মুখোপাধ্যায় | টালিগঞ্জ, কলকাতা-৭২
১১/১২/২৪
৫.১১’এ যাত্রা তোমার থামাও।’ -লেখক কাকে এ কথা বলেছেন? এর কোন্ উত্তর তিনি কীভাবে পেয়েছেন ?
উত্তর: লেখক শিবতোষ মুখোপাধ্যায় আলোচ্য মন্তব্যটি পৃথিবীর উদ্দেশে করেছেন।
প্রবন্ধকার পৃথিবীর কাছে জানতে চেয়েছিলেন—‘তোমার কেন চলবার জন্য এত দায়। এ যাত্রা তোমার থামাও। সূয্যি তো কারুর পিছু পিছু ধাওয়া করছে না? তুমি কেন এত তাড়াতাড়ি করছ?’ লেখকের এই প্রশ্নের উত্তরে পৃথিবী জানিয়েছিল- ‘থামা মানে জীবনের শেষ।
যতদিন আছো ততদিন চলো, দাঁড়িও না। শাশ্বত সত্যের দিকে যাওয়ার গতি বন্ধ করো না । চরৈবেতি…. অর্থাৎ পৃথিবীর কাছ থেকে লেখক এগিয়ে চলার বাণী শুনেছিলেন।
কার দৌড় কদ্দুর গল্প: অতিরিক্ত প্রশ্নোত্তর
নৈর্ব্যক্তিক প্রশ্নোত্তর
সঠিক উত্তর নির্বাচন করো
১.চিংড়িরা (দাঁড়া/পাখা/লেজ) নাড়া দিয়ে চলে।
উত্তর: দাঁড়া।
২.হিপোর শরীরের ওজন (আঠাশ/আটশো/আঠাশশো) পাউন্ড।
উত্তর: আঠাশশো
৩.গোবি মরুভূমিতে (গ্যাজেলি/এন্টিলোপ/কৃষ্ণ) হরিণ আছে।
উত্তর: গ্যাজেলি।
৪.‘কচ্ছপের কাছে খরগোশের দৌড়ের বাজি’ গল্পে কচ্ছপ (জিতেছিল/হেরেছিল/ • জিতেছিল। ফলাফল অমীমাংসিত ছিল)।
উত্তর: জিতেছিল।
৫.হিউয়েন সাঙ এসেছেন সুদূর (জাপান/চিন/আরব) থেকে।
উত্তর: চিন
৬. তুমুল সমুদ্র পেরিয়ে ভারতবর্ষে এসেছেন (হিউয়েন সাঙ/ভাস্কো-ডা-গামা/ © ভাস্কো-ডা-গামা । শ্রীজ্ঞান দীপঙ্কর)।
উত্তর: ভাস্কো-ডা-গামা
শূন্যস্থান পূরণ করো
প্রশ্ন
উত্তর
• মাংস-পুরু।
১ শামুকরা চলে তাদের একখানি___পা দিয়ে ।
উওর: মাংস-পুরু।
২. ___ঘণ্টায় ৪৫ মাইল বেগে দৌড়ায় ৷
উত্তর: এন্টিপোল হরিণ।
৩. মানুষের মনের____আলোর গতিসম্পন্ন—ঘণ্টায় ১৮৬০০০ মাইল।
উত্তর: গতিবেগ
৪. মনের দৌড়ে____চ্যাম্পিয়ান।
উত্তর: মানুষ।
৫. ____পদব্রজে সারা ভারতবর্ষের দিকে দিকে গেছেন ভারতবর্ষকে আবিষ্কার করবেন বলে।
উত্তর: শঙ্করাচার্য।
৬.থামা মানে___শেষ।
উত্তর: জীবনের।
অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর
১.একটি এককোশী জীবের নাম লেখো।
উত্তর: একটি এককোশী জীবের নাম অ্যামিবা।
২। ‘কার দৌড় কদ্দুর’ রচনায় জেট প্লেন ও অ্যামিবার চলার গতির তুলনা কীরকম?
উত্তর
• ‘কার দৌড় কদ্দুর’ রচনায় বলা হয়েছে—আকাশে জেট প্লেন যখন ঘণ্টায় কয়েকশো মাইল বেগে চলে, তখন অ্যামিবা কয়েক মিনিটে কয়েক মিলিমিটার অতিক্রম করে।
৩.এককোশী জীব অ্যামিবা ও প্যারামোসিয়ামএর চলনঅঙ্গ কেমন ?
উত্তর: এককোশী জীব অ্যামিবা তার একমাত্র কোশ থেকে সৃষ্ট ক্ষণপদ দ্বারা চলে। এককোশী প্যারামোসিয়াম তার সেলের বাইরে অবস্থিত চুলের মতো ‘সিলিয়া’ দ্বারা চলে।
৪.চিংড়িরা এবং পতঙ্গেরা কীভাবে চলে বা ওড়ে ?
উত্তর: চিংড়িরা জলের মধ্যে তাদের দাঁড়া নাড়া দিয়ে চলে। কোনো কোনো পতঙ্গেরা ওড়ার সময় তাদের ডানাকে প্রচণ্ড জোরে নাড়া দিয়ে চলে।
৫. ‘এফিড’-এর ওড়া সম্পর্কে লেখক কী তথ্য দিয়েছেন ?
উত্তর: এফিড ওড়ার সময় তার ডানা নাড়ায় প্রতি সেকেন্ডে চারশোবারের মতো। এইভাবে সে একনাগাড়ে আট মাইল উড়ে যেতে পারে।
৬. শামুকের চলন দেখলে লেখকের বলতে ইচ্ছে করে ‘এ পথে আমি যে গেছি।’লেখকের কেন এরকম মনে হয়েছে?
উত্তর: বাগান-শামুক তাদের প্রসারিত একখানি মাংসল পুরু পা দিয়ে চলে, আর চলার সময় পথে রেখে যায় একটা জলীয় পদচিহ্ন। এই পদচিহ্ন দেখে লেখকের এরকম মনে হয়েছে।
৭. মানুষের মনের গতিবেগ কত ?
• মানুষের মনের গতিবেগ আলোর গতিসম্পন্ন ঘণ্টায় ১৮৬০০০ মাইল।
কার দৌড় কতদূর শিবতোষ মুখোপাধ্যায়:
একমুখী তথ্যানুসন্ধানী প্রশ্নোত্তর
দুটি বা তিনটি বাক্যে উত্তর লেখো
১. “এরা শরীরের সৈন্য সামন্ত।”—কারা শরীরের সৈন্যসামন্ত ? তাদের এমন বলার কারণ কী ?
উত্তর মানুষের শরীরে কতকগুলি ভবঘুরে কোশ আছে, লেখক যাদেরকে শরীরের সৈন্যসামন্ত বলেছেন।
এই ভবঘুরে কোশগুলি দেহের যেখানে-সেখানে ভ্রমণ করে। এদের কাজ হল, বাইরে থেকে কোনো রোগজীবাণু দেহে প্রবেশ করে ক্ষতি করার চেষ্টা করলে, তাদের থেকে দেহকে রক্ষা করা—অতএব মানবদেহে ক্ষতিসাধনকারী রোগজীবাণু থেকে দেহকে রক্ষা করে বলেই এদের ‘সৈন্যসামন্ত’ বলা হয়েছে।
২. ‘পাখিরা বহুদুরত্ব পার হতে পারে।’—পাখিবিশেষে এই দূরত্ব অতিক্রমের খবরাখবর কী ?
উত্তর ‘কার দৌড় কদ্দুর’ প্রবন্ধে বিভিন্ন পাখির দূরত্ব অতিক্রম করে ওড়া প্রসঙ্গে নানা তথ্য আছে। এদের মধ্যে মেরুপ্রদেশের ‘টারনস’ প্রতিবছর ১১ হাজার মাইল উড়ে যায় ও আবার ফিরে আসে, হক্ জাতীয় পাখি ঘণ্টায় ১৫০ মাইল বেগে উড়তে পারে, আফ্রিকার ইন-জাতীয় পাখি ওড়া ছেড়ে ক্রমে হাঁটায় পারদর্শী হয়ে উঠেছে, এরা ১১০ পাউন্ড দৈহিক ওজন নিয়ে ঘণ্টায় ৩১ মাইল বেগে চলতে পারে।
৩. ‘এডিনোসসিন ট্রাইফসফেট’ কী কাজ করে ?
উত্তর উচ্চতর প্রাণীদের চলার পিছনে যে বিষয়টির সাহায্য থাকে, তা হল পেশিসঞ্চালনের সাহায্যে পা নাড়ানো। পেশি যখন কাজ করে তখনই সেখানে উৎপন্ন হয় ‘এডিনোসসিন ট্রাইফসফেট’ নামক রাসায়নিক পদার্থ। এর ক্রিয়ার ফলেই চলার শক্তি উৎপাদিত হয়।
8 পৃথিবীর পরিক্রমা প্রসঙ্গে প্রবন্ধকার পৃথিবীকে কী জিজ্ঞাসা করেছিলেন ?
ডিএর সূর্যের চারপাশে কিংবা নিজের কক্ষপথে পৃথিবীর প্রতিনিয়ত পরিক্রমা-প্রসঙ্গে প্রবন্ধকার পৃথিবীকে জিজ্ঞাসা করেছিলেন—‘তোমার কেন চলবার জন্য এত দায়। এ যাত্রা তোমার থামাও।’
বোধমূলক প্রশ্নোত্তর কমবেশি ছ-টি বাক্যে উত্তর লেখো
১. একটি এককোশী জীবের নাম লেখো। এর চলার ধরনটি উল্লেখ করো।
ভিত্তর একটি এককোশী জীব হল অ্যামিবা।
অ্যামিবার নিজের সেল থেকে খানিক অংশ ক্ষণিকের
পা হিসেবে এগিয়ে দেয়। এরপর সে সেলের মধ্যে থাকা প্রোটোপ্লাজমকে সেদিকে গড়িয়ে দেয়। এমনি করে মুহুর্মুহু ক্ষণপদ সৃষ্টি করে অতি ধীর গতিতে অ্যামিবা গমন করে। অত্যন্ত মন্থর গতিতে সে কয়েক মিনিটে মাত্র কয়েক মিলিমিটার পথ অতিক্রম করতে পারে।