নরহরি দাস প্রশ্ন উত্তর Teacj Sanjib

নরহরি দাস প্রশ্ন উত্তর Teacj Sanjib

গল্প ঃ নরহরি দাস

লেখক : উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরী

নরহরি দাস প্রশ্ন উত্তর, বিষয়বস্তু এবং অনুশীলনী প্রশ্ন উত্তর আলোচনা করা হয়েছে এখানে।

নরহরি দাস গল্পের বিষয়বস্তু:

সারসংক্ষেপঃ মাঠের পাশে যে বন তার ধারে এক মস্ত পাহাড়ের এক গর্তে একটি ছাগলছানা তার মায়ের সঙ্গে থাকত। সে ছিল ছোটো, বাইরে যেতে চাইলেই তার মা তাকে বাঘ-ভালুকে ধরবে, সিংহ খেয়ে ফেলবে এই বলে ভয় দেখাত। এরপর যখন সে একটু বড়ো হল তার ভয়ও কমল তখন সে গর্তের বাইরে চলে এল। সেখানে সে একটি ষাঁড়কে ঘাস খেতে দেখল, সে ভাবল ষাঁড়টিও বুঝি তার মতো ছাগল, খুব ভালো জিনিস খেয়ে এত বড়ো হয়েছে।

ছাগলছানাটি ষাঁড়কে কী খাবার খায় প্রশ্ন করায় সে বলে, বনের ভিতর চমৎকার ঘাস আছে সেই খেয়ে সে এত হয়েছে। সেখানে গিয়ে ছাগলছানাটি এমন ঘাস খেল পেট ভারী হয়ে আর সে চলতে পারে না। এদিকে সন্ধে হয়ে এলে সে একটি গর্ত দেখে তার ভিতরে ঢুকে রইল। এদিকে সে গর্তটা ছিল এক শিয়ালের। সে তার মামা বাঘের বাড়িতে নিমন্ত্রণ খেয়ে অনেক রাতে ফিরে দেখে গর্তের ভিতর কালো মতন কী একটা জন্তু না রাক্ষস ঢুকে রয়েছে।

ভয়ে শিয়ালটি জিজ্ঞাসা করে গর্তে কে ও? ছাগলছানাটির বুদ্ধিমান ছিল। সে সুর করে বলে’ আমি সিংহের মামা নরহরি দাস। পঞ্চাশ বাঘে মোর এক গ্রাস।’ এই শুনে ভয়ে শিয়াল ‘বাবা গো’ বলে এক ছুটে বাঘের কাছে ফিরে গেল। বাঘ আশ্চর্য হয়ে গেল। শিয়াল তখন হাঁপাতে হাঁপাতে বলল, মামা আমার গর্তে এক নরহরি দাস এসেছে যে কিনা এক গ্রাসে পঞ্চাশটা বাঘ খায়। শুনে বাঘ ভয়ানক রেগে বলল বটে চলো দেখি। শিয়াল বলল মামা সে যদি সেখানে আমাকে খেতে আসে আমি তো তোমার মতন ছুটতে পারব না, তাই তুমি আমাকে লেজের সঙ্গে বেঁধে নিয়ে চলো।

বাঘ তখন শিয়ালকে লেজে বেঁধে গর্তের কাছে এল। ছাগলছানাটি দূর থেকে তা দেখতে পেয়ে বলল, দূর হতভাগা! তোকে দশটা বাঘ আনতে বললুম, তুই একটা বাঘ নিয়ে এলি। ভয় পেয়ে বাঘ ভাবলে শিয়াল নিশ্চয়ই তাকে ভুলিয়ে নিয়ে এসেছে নরহরি দাসকে খেতে দেওয়ার জন্য। সে পঁচিশ হাত লম্বা এক লাফ দিয়ে শিয়ালকে সুদ্ধ নিয়ে পালাল।
শিয়াল বেচারার মাটিতে আছাড় খেয়ে, কাঁটার আঁচড় খেয়ে, ক্ষেতের আলে ঠোক্কর খেয়ে নাজেহাল অবস্থা হল। এমনি করে সারারাত বাঘ ও শিয়াল ছুটোছুটি করে সারা হল। সকাল হতে ছাগলছানা বাড়ি ফিরে এল। সেই থেকে বাঘের উপর শিয়ালের এমন রাগ হল যে, সে রাগ আর কিছুতেই গেল না।

নরহরি-দাস-প্রশ্ন-উত্তর-Teacj-Sanjib

নরহরি দাস অনুশীলনী প্রশ্ন ও উত্তর:

হাতে কলমে : অনুশীলনী প্রশ্ন ও উত্তর

১. উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরীর লেখা তোমার প্রিয় একটি বইয়ের নাম লেখো। উঃ। উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরীর লেখা আমার প্রিয় একটি বইয়ের নাম টুনটুনির বই।

২. তাঁর লেখা গল্প অবলম্বনে তৈরি কোন্ সিনেমা দেখছ? উঃ। তাঁর লেখা গল্প অবলম্বনে তৈরি গুপী গাইন বাঘা বাইন সিনেমাটি আমি দেখেছি।

৩. একটি বাক্যে উত্তর দাও :

৩.১ ‘হ্যাগা, তুমি কী খাও’?—ছাগলছানা ষাঁড়কে কী ভেবে এমন প্রশ্ন করেছিল?
উঃ। ছাগলছানা ষাঁড়কে ছাগল ভেবে এমন প্রশ্ন করেছিল।

৩.২ গল্পে বাঘ হল শিয়ালের মামা, আর ‘নরহরি দাস’ নিজেকে কার মামা দাবি করল? উঃ। গল্পে বাঘ হল শিয়ালের মামা, আর ‘নরহরি দাস’ নিজেকে সিংহের মামা দাবি করল।

৩.৩ ছাগলছানা ষাঁড়ের সঙ্গে কেন বনে গিয়েছিল? উঃ। ছাগলছানা ভালো ঘাস খাওয়ার জন্য ষাঁড়ের সঙ্গে বনে গিয়েছিল।

৩.৪ ছাগলছানা সেদিন রাতে কেন বাড়ি ফিরতে পারেনি?

উঃ। বনের ভিতর চমৎকার ঘাস খেয়ে ছাগলছানার পেট এমন ভারী হয়ে পড়েছিল যে সে আর চলতে পারছিল না। এই কারণে সে সেদিন রাতে বাড়ি ফিরতে পারেনি।

৩.৫ অন্ধকারে শিয়াল ছাগলছানাকে কী মনে করেছিল?

উঃ। অন্ধকারে শিয়াল ছাগলছানাকে রাক্ষস মনে করেছিল।

৩.৬ বাঘ শিয়ালকে ফিরতে দেখে আশ্চর্য হয়ে গিয়েছিল কেন?

উঃ। শিয়াল নিমন্ত্রণ খেয়ে সেইমাত্র বাড়ি গিয়েছিল কিন্তু তখনি তাকে হাঁপাতে হাঁপাতে ব্যস্ত হয়ে ফিরে আসতে দেখে বাঘ আশ্চর্য হয়ে গিয়েছিল।

৩.৭ শিয়াল কোন্ শর্তে বাঘের সঙ্গে ফিরতে চেয়েছিল? উঃ। বাঘ যদি শিয়ালকে লেজের সঙ্গে বেঁধে নেয় তাহলে শিয়াল বাঘের সঙ্গে ফিরতে পারে। এই শর্তে শিয়াল ফিরতে চেয়েছিল।

৩.৮ ছাগলের বুদ্ধির কাছে বাঘ কী ভাবে হার মানল? উঃ। শিয়ালকে দশটি বাঘ আনতে নির্দেশ দিয়েছে আর শিয়াল কিনা লেজ়ে দড়ি দিয়ে বেঁধে একটি বাঘ নিয়ে ছাগলছানার এই কথা শুনে বাঘ ভয় পেয়েছিল। এইভাবে বাঘ ছাগলের বুদ্ধির কাছে হার মানল।

নরহরি দাস এর প্রশ্ন উত্তর class 4

8. নীচের এলোমেলো বর্ণগুলি সাজিয়ে শব্দ তৈরি করো :

য়ানভক—ভয়ানক
শর্বসনা—সর্বনাশ
তরারাসা—সারারাত
রন্ধঅকা—অন্ধকার
মণনিন্ত্র—নিমন্ত্রণ
নাগলছাছা,—ছাগলছানা

৫. নিজের ভাষায় বাক্য সম্পূর্ণ করো :

উঃ। ৫.১ যেখানে মাঠের পাশে বন আছে আর বনের ধারে মস্ত পাহাড় আছে সেইখানের একটা গর্তের ভিতরে একটা ছাগলছানা থাকত।

৫.২ সেই বনের ভিতরে খুব চমৎকার ঘাস ছিল।

৫.৩ ছাগলছানাটা কালো ছিল, তাই শিয়াল অন্ধকারের ভিতর ভালো করে দেখতে পেল না।

৫.৪ বাঘ শিয়ালকে বেশ করে লেজের সঙ্গে বেঁধে নিয়েছে। আর শিয়াল ভাবছে এবারে আর আমাকে ফেলে পালাতে পারবে না।

৫.৫ বাঘ ভাবে বুঝি সেই নরহরি দাস এল, তাই সে আরও বেশি করে ছোটে।

৬. একই অর্থের শব্দ পাশের শব্দঝুড়ি থেকে খুঁজে নিয়ে পাশাপাশি লেখো :

উঃ। বন—জঙ্গল। ছাগল—অজ। আশ্চর্য—অবাক। সাজা—শাস্তি। তৃণ—ঘাস। ৭. বর্ণ বিশ্লেষণ করে নীচের ফাঁকা ঘরগুলি ভর্তি করো ঃ

শব্দঝুড়ি ঃ অবাক, ঘাস, অজ, শাস্তি, জঙ্গল

উঃ। পাহাড় ঃ প্ +আ+হ+আ+ড়
সন্ধেঃ স্ + অ+ন্+ধ+এ
পঞ্চাশ ঃপ্+অ+ ঞ+চ্+আ+শ্
ব্যস্ত ঃব্ +স্+অ+স++অ

মস্ত ম্+অ+স++অ
অন্ধকার : অ+ন্+ধ+অ+ক্+আ+র্ আস্পর্ধা ঃ আ+স+প+অ+ন+ধ+[আ নিশ্বাস ঃ ন +ই+শ+ব+আ+স্

৮. নীচের কথাগুলির মধ্যে কোন্‌টি বাক্য ও কোন্‌টি বাক্য নয় চিহ্নিত করো : (বাক্য হলে ‘√’ চিহ্ন দাও। বাক্য না হলে ‘x’ চিহ্ন দিয়ে শুদ্ধ করে লেখো।)

মাঠের পাশেই বন ‘√’

তাও কি হয় ‘√’

নরহরি দাস এসে – × নরহরি দাস আসছে।

আমি সেখানে গেলে- × আমি সেখানে যাব।

ছাগলছানা বাড়ি ফিরে এল ‘√’

৯. এলোমেলো শব্দগুলিকে সাজিয়ে বাক্য তৈরি করো :

৯.১ গর্তের থাকত একটা ভিতরে ছাগলছানা।
উঃ। গর্তের ভিতরে একটা ছাগলছানা থাকত।

৯.২ কড়ি বাঘের দশ দিলুম তোকে।
উঃ। তোকে দশ বাঘের কড়ি দিলুম।

৯.৩ কিছুতেই আর গেল রাগ সে না।
উঃ। সে রাগ্ আর কিছুতেই গেল না।

৯.৪ লাফেই দুই তুমি তাহলে পালাবে তো।
উঃ। তাহলে তুমি তো দুই লাফেই পালাবে।

৯.৫ সারারাত সারা করে ছুটোছুটি এমনি করে হল।
উঃ। এমনি করে সারারাত ছুটোছুটি করে সারা হল।

১০. বাক্যরচনা করো ঃ মস্ত, জন্তু, চমৎকার, বুদ্ধিমান, নিমন্ত্রণ

উঃ। মস্ত—সিমলা যাওয়ার পথে মস্ত সব পাহাড় দেখা যায়।
জন্তু—কলকাতার চিড়িয়াখানায় অনেক রকম জীবজন্তু রয়েছে।
চমৎকার—হিমালয় পর্বতের চমৎকার দৃশ্য দেখে অবাক হতে হয়।
বুদ্ধিমান—অমল ভীষণ বুদ্ধিমান ছেলে। নিমন্ত্রণ—আমার দিদির জন্মদিনে তোমার নিমন্ত্রণ রইল।

১১. এলোমেলো ঘটনাগুলিকে সাজিয়ে লেখো :

ছাগলছানাটা ভারি বুদ্ধিমান ছিল, সে বলল ‘পঞ্চাশ বাঘে মোর এক-এক গ্রাস।’

সকালে ছাগলছানা বাড়ি ফিরে এল।

খেয়ে তার পেট এমন ভারী হল যে, সে আর চলতে পারে না।

● সেদিনে রাতে একটা গর্তের ভিতরে একটা ছাগলছানা থাকল।

সে শুনে বাঘ-পঁচিশ হাত লম্বা এক-এক লাফ দিয়ে শিয়ালকে সুদ্ধ নিয়ে পালাল।

একথা শুনে ষাঁড় তাকে নিয়ে বনে গেল।

● সেই গর্তটা ছিল এক শিয়ালের।

● বাঘ তো শিয়ালকে বেশ করে লেজের সঙ্গে বেঁধে নিয়েছে।

● ছাগলছানা ষাঁড়ের সঙ্গে বনে যেতে চাইল।

• শিয়াল ফিরে এসে গর্তের ভিতরে কে ঢুকেছে তা জানতে চাইল।

• শিয়াল গেল বাঘের কাছে নালিশ জানাতে।

শিয়াল বাঘের সঙ্গেও সেই গর্তের কাছে যেতে ভয় পাচ্ছিল।

ছাগলছানা বলল—‘দূর হতভাগা! তোকে দিলুম দশ ভাগের কড়ি এক বাঘ নিয়ে এলি লেজে দিয়ে দড়ি’।

উঃ।• ছাগলছানা ষাঁড়ের সঙ্গে বনে যেতে চাইল। • খেয়ে তার পেট এমন ভারী হল যে, সে আর চলতে পারে না। • একথা শুনে ষাঁড় তাকে বনে নিয়ে গেল। সেদিন রাতে একটা গর্তের ভিতরে একটা ছাগলছানা থাকল। • সেই গর্তটা ছিল এক শিয়ালের। • শিয়াল ফিরে এসে গর্তের ভিতরে কে ঢুকেছে তা জানতে চাইল।

● ছাগলছানাটা ভারি বুদ্ধিমান ছিল, সে বলল ‘পঞ্চাশ বাঘে মোর এক-এক গ্রাস।’ শিয়াল গেল বাঘের কাছে নালিশ জানাতে। • শিয়াল বাঘের সঙ্গেও সেই গর্তের কাছে যেতে ভয় পাচ্ছিল। • বাঘ তো শিয়ালকে বেশ করে লেজের সঙ্গে বেঁধে নিয়েছে।• ছাগলছানা বলল—— –‘দূর হতভাগা! তোকে দিলুম দশ বাঘের কড়ি এক বাঘ নিয়ে এলি লেজে দিয়ে দড়ি’। সে শুনে বাঘ পঁচিশ হাত লম্বা এক-এক লাফ দিয়ে শিয়ালকে সুদ্ধ নিয়ে পালাল। সকালে ছাগলছানা বাড়ি ফিরে এল।

নরহরি দাস এর প্রশ্নের উত্তর:

১২. নীচের প্রশ্নগুলির উত্তর লেখো :

১২.১ এই গল্পে কাকে তোমার বুদ্ধিমান বলে মনে হয়েছে? তোমার এমন মনে হওয়ার কারণ কী?

উঃ। এই গল্পে আমার ছাগলছানাটিকে বুদ্ধিমান বলে মনে হয়েছে। একপেট ঘাস খেয়ে আর চলতে না পারায় ছাগলছানাটি সন্ধ্যা হয়ে যাওয়ায় গর্তে লুকিয়ে পড়ে, শিয়ালকে দেখে সে ভয় পেলেও তা বুঝতে না দিয়ে নিজেকে সিংহের মামা নরহরি দাস বলে পরিচয় দেয় এবং আরও বলে যে তার এক গ্রাসে পঞ্চাশটি বাঘ লাগে।

এরপর যখন সে দেখে শিয়াল বাঘকে নিয়ে আসছে তখন সে বুদ্ধি করে বাঘকে শুনিয়ে বলে যে শিয়ালকে দশটি বাঘ আনতে কড়ি দিয়েছে আর শিয়াল কিনা লেজে দড়ি দিয়ে বেঁধে একটি বাঘ নিয়ে এল। এই শুনেই বাঘ ভাবে শিয়াল বোধ হয় তাকে ফাঁকি দিয়ে নরহরি দাসকে খাওয়াতে এনেছে আর সে ভয়ে ছুটে পালায়। অবস্থা বুঝে সাহস না হারিয়ে ছাগলছানাটি উপস্থিত বুদ্ধির পরিচয় দিয়েছে। এতেই তাকে আমার বুদ্ধিমান বলে মনে হয়েছে।

১২.২ ‘বুদ্ধি যার বল তার’—এই কথাটির সত্যতা প্রমাণিত হয়েছে এই গল্পে। এরকম অন্য কোনো গল্প তোমার জানা থাকলে লেখো।

উঃ। এইরকম একটি গল্প হল- -একবার চারটি ভাই নানারকম বিদ্যা শিখে রাজার কাছে চলেছে। এদের মধ্যে সবচেয়ে ছোটো ভাইটি তেমন কিছু লেখাপড়া জানত না বলে বড়ো তিন ভাই তাকে একেবারে গ্রাহ্য করত না। যাইহোক তারা একসাথে বনের পথে চলেছে। এমন সময় তারা পথের মাঝে দেখল অনেক হাড়গোড় পড়ে আছে।
তা দেখে তিন ভাই বলল এসো ভাই আমরা আমাদের বিদ্যা পরখ করে দেখি। তখন বড়ো ভাইটি হাড়গুলির ওপর জল ছিটিয়ে মন্ত্র পড়ল এবং সঙ্গে সঙ্গে হাড়গুলি জোড়া লেগে একটি প্রাণীর কঙ্কাল হয়ে গেল। এরপর মেজো ভাইটি তাতে মন্ত্র পড়ে জল ছেটানোয় কঙ্কালটির গায়ে রক্ত, মাংস ও চামড়া গজাল। দেখা গেল, সেই প্রাণীটি একটি বাঘ। এরপরে সেজো ভাইটি মন্ত্র পড়ে যখন বাঘটির প্রাণ বাঁচাতে যাবে তখন সবচেয়ে ছোটো ভাইটি বলে উঠল ‘করো কী দাদারা?

এটি যে একটি বাঘ, একে বাঁচালে বিপদ হবে।’ এই শুনে সেজো ভাইটি রেগে গিয়ে বলল, ‘ভারী মজা না! দু-দাদা তাদের মন্ত্রের জোর দেখাল আর আমার বেলায় যত দোষ।’ তখন ছোটো ভাই চুপচাপ একটি গাছে উঠে পড়ল। সেজো ভাই মন্ত্র পড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাঘটি বেঁচে উঠল এবং তিন ভাইকেই মেরে ফেলল। আর ছোটো ভাইটি বুদ্ধির জোরে গাছে উঠে পড়ায় সে বেঁচে গেল।

১৩. গল্প থেকে অন্তত পাঁচটি সর্বনাম খুঁজে নিয়ে লেখো এবং সেগুলি ব্যবহার করে একটি করে বাক্য লেখো।

উঃ। সে—সে তার কাঁধে হাত রাখল। তার—তার সাহস দেখে আমি অবাক হয়ে যাই। তোমার—তোমার চেয়ে আমার পোশাকটি সুন্দর। তুমি—তুমি কি কাল আমার সঙ্গে বাজারে যাবে? আমি—আমি কাল বাবার সঙ্গে বেড়াতে যাব।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *