বাচ্য বাংলা ব্যাকরণ গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন উত্তর -teacj sanjib
বাচ্য বাংলা ব্যাকরণ গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন উত্তর -teacj sanjib
বাচ্যের প্রধান বিষয় হলো :
● এক : বাক্যের বাচনভঙ্গি অনুযায়ী কর্তা, কর্ম বা ক্রিয়ার ভাবের প্রাধান্য।
॥ দুই : কর্তা, কর্ম বা ক্রিয়ার ভাবের অনুগামী কর্তা।
তিন : কর্তা, কর্ম বা ক্রিয়ার ভাব, যখন যার প্রাধান্য, সেই মতো ক্রিয়ার রূপের পরিবর্তন।
বাক্যের বাচনভঙ্গি অনুযায়ী কর্তা, কর্ম বা ক্রিয়াপদের প্রাধান্য নির্দেশ করে ক্রিয়াপদের রূপের যে পরিবর্তন, তাকে বলা হয় বাচ্য।
(ক) বাচ্যের শ্রেণীবিভাগ
প্রথাগত বাংলা ব্যাকরণ অনুসারে বাচ্য চার প্রকার-কর্তৃবাচ্য, কর্মবাচ্য, ভাববাচ্য, কর্মকর্তৃবাচ্য।
কর্তৃবাচ্য
যে বাচ্যে কর্তাই প্রধান, ক্রিয়া কর্তার অনুসারী, তাকে কর্তৃবাচ্য বলে। যেমন—‘মেবারের আকাশ ক্রোধে গর্জন কচ্ছে।’
কর্মবাচ্য
যে বাচ্যে কর্মের প্রাধান্য থাকে, ক্রিয়া কর্মের অনুগামী হয়ে কর্মের পুরুষ অনুসারে নিজের রূপের পরিবর্তন করে, তাকে কর্মবাচ্য বলে। যেমন—যদুকে ডাকো (কর্তৃবাচ্যে)।> যদুকে ডাকা হোক (কর্মবাচ্য)।
ভাববাচ্য,
হবে।’ যে বাচ্যে ক্রিয়ার অর্থপ্রাধান্য ঘটে বা ক্রিয়ার ভাবই প্রধানভাবে বোঝায়, তাকে ভাববাচ্য বলা হয়। যেমন— ‘কুবেরকে আসতে
কর্মকর্তৃবাচ্য,
যে বাচ্যে কর্তা থাকে না, কর্ম কর্তা হয়ে ক্রিয়া সম্পাদন করে অর্থাৎ, কর্তার অনুগামী হয়ে ক্রিয়া গঠিত হয়, তাকে বলা হয় কর্মকর্তৃবাচ্য। যেমন—ঘণ্টা বাজে।
(খ) উক্ত শ্রেণিবিভাগের সমস্যা ও বিকল্প শ্রেণিবিভাগ
বাংলায় কর্মবাচ্য বলে যা চালানো হয়, প্রকৃতপক্ষে তা ভাববাচ্য। যেমন—লোকটির সুমনার চেনা আছে।‘চেনা আছে’ ক্রিয়া কর্মবাচ্যের নয়, ভাববাচ্যের।
কর্মকর্তৃবাচ্যের ক্ষেত্রে দেখা যায় ‘শাঁখ বাজে’ বাক্যের ‘শাঁখ’ কর্ম নয়, কর্তা। কারণ ‘বাজে’ ক্রিয়া সম্পন্ন করে ‘শাঁখ’। বাক্যটি কর্মকর্তৃবাচ্যের নয়, কর্তৃবাচ্যের। সেজন্য বাংলায় বাচ্য চার প্রকার নয়, দু-প্রকার। যথা—কর্তৃবাচ্য ও ভাববাচ্য।
বাচ্যের গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন উত্তর
কমবেশি কুড়িটি শব্দে নীচের প্রশ্নগুলির উত্তর দাও
• প্রশ্ন । বাচ্য কাকে বলে?
উত্তর : বাক্যের বাচনভঙ্গি অনুযায়ী কর্তা, কর্ম বা ক্রিয়াপদের প্রাধান্য নির্দেশ করে ক্রিয়াপদের রূপের যে পরিবর্তন, তাকে বলা হয় বাচ্য।
প্রশ্ন । ‘কর্তৃবাচ্য’ বলতে কী বোঝো? উদাহরণ দাও।
উত্তর : যে বাচ্যে কর্তাই প্রধান, কর্তা ক্রিয়ার অনুসারী, তাকে কর্তৃবাচ্য বলে। যথা—তিনি বিধান দিলেন।
● প্রশ্ন । কর্তৃ বাচ্যে কর্তার প্রাধান্য, ক্রিয়া কর্তার অনুসারী-উদাহরণ দিয়ে বুঝিয়ে দাও।
উত্তর : ‘বাবা কথাটা জানতেন।’ বাক্যটি কর্তৃবাচ্যের। এই বাক্যে ‘বাবা’ কর্তা এবং কর্তার প্রাধান্য।
● প্রশ্ন । কর্মবাচ্য কাকে বলে? উদাহরণ দাও।
উত্তর : যে বাচ্যে কর্মের প্রাধান্য থাকে, ক্রিয়া কর্মের অনুগামী হয়ে কর্মের পুরুষ অনুসারে নিজের রূপের পরিবর্তন করে, তাকে কর্মবাচ্য বলে। যেমন—সরমার ছবি আঁকা হয়েছে।
• প্রশ্ন । হিংসার দ্বারা মহৎ কার্য সাধিত হয় না। (কর্তৃবাচ্যে পরিণত করো) (বাচ্য)
উত্তর : হিংসাব মহৎ কার্য সাধন করে না। (কর্তৃবাচ্যে)
প্রশ্ন । ভাববাচ্যে কর্তা লুপ্ত অবস্থায় আছে (লুপ্ত কর্তা ভাববাচ্য) এ রকম একটি বাক্য লেখো।
উত্তর : (তোমার) বাড়ি যাওয়া হয়েছিল?—‘তুমি’ কর্তার সম্বন্ধ পদ ‘তোমার’ লুপ্ত।
। প্রশ্ন । ‘ভাববাচ্য’ কাকে বলে? উদাহরণ দাও।
উত্তর : যে বাচ্যে ক্রিয়ার অর্থপ্রাধান্য ঘটে বা ক্রিয়ার ভাবই প্রধানভাবে বোঝায়, তাকে বলা হয় ভাববাচ্য। যেমন—কুবেরকে আসতে হবে।
॥ প্রশ্ন । ‘কর্মকর্তৃবাচ্য’ কাকে বলে? উদাহরণ দাও।
উত্তর : যে বাক্যে কর্তা থাকে না, কর্ম কর্তা হয়ে ক্রিয়া সম্পাদন করে, অর্থাৎ কর্তারূপী কর্মের অনুগামী হয়ে ক্রিয়া গঠিত হয়, তাকে বলা হয় কর্মকর্তৃবাচ্য। যেমন—শাঁখ বাজে ।
• প্রশ্ন । কর্মকর্তৃবাচ্যে কর্ম কীভাবে কর্তৃপ্রধান্য পায় লেখো।
উত্তর : ‘শাঁখ বাজে’ বাক্যে ‘শাঁখ’ নিজে থেকে বাজে না, কেউ তাকে বাজায়। যে বাজায় সে কর্তা। কিন্তু কর্তা না থাকায় কর্ম ‘শাঁখ’ কর্তার কাজ করছে। এভাবে কর্ম কর্তৃপ্রাধান্য পেয়েছে।
• প্রশ্ন । বাংলায় প্রকৃতপক্ষে কর্মবাচ্য নেই, কর্মবাচ্য রূপে যা বলা হয় তা ভাববাচ্য-আলোচনা করো।
উত্তর: ‘লোকটিকে সুমনার চেনা আছে’—বাক্যটিতে ‘লোকটিকে’ কর্ম হলেও ‘চেনা আছে’ ক্রিয়ার ভাব বা অর্থ প্রাধান্য পেয়েছে। তাই বাক্যটি কর্মবাচ্যের না হয়ে ভাববাচ্যের হওয়াই সংগত।
প্রশ্ন । কর্মকর্তৃবাচ্য বাংলায় প্রকৃত পক্ষে কর্তৃবাচ্য, উদাহরণ দিয়ে বুঝিয়ে দাও।
উত্তর : ‘ঘণ্টা বাজে’—‘ঘণ্টা’ নিজের থেকে বাজে না, না-কেউ বাজায়। সুতরাং যে বাজায় সে কর্তা। ‘ঘণ্টা’ কর্ম হলেও ‘বাজায় কাজ’ করে ‘ঘণ্টা’। যে ক্রিয়া সম্পাদন করে, সে কর্তা। কাজেই বাক্যটি কর্মকর্তৃবাচ্য না হয়ে কর্তৃবাচ্য।
প্রশ্ন । বাচ্যের বিকল্প শ্রেণিভাগ হিসেবে বাচ্য ক-প্রকার ও কী কী?
উত্তর : বাচ্যের বিকল্প শ্রেণিভাগ হিসেবে বাচ্য দু-প্রকার। যথা— (১) কর্তৃবাচ্য, (২) ভাববাচ্য।
প্রশ্ন । ‘কর্তৃবাচ্য’ কাকে বলে? (মাধ্যমিক, ২০১৯)
উত্তর : যে বাচ্যে কর্তাই প্রধান, ক্রিয়া কর্তার অনুসারী, তাকে কর্তৃবাচ্য বলে । যেমন—মেবারের আকাশ ক্রোধে গর্জন কচ্ছে।
। প্রশ্ন । ‘তারা আর স্বপ্ন দেখতে পারল না। -ভাববাচ্যে পরিবর্তন করো। (মাধ্যমিক, ২০১৯)
উত্তর : তাদের আর স্বপ্ন দেখা হলো না।
বাচ্য পরিবর্তন:
কর্তৃবাচ্য থেকে কর্মবাচ্যে পরিবর্তন
কর্তৃবাচ্য
(১) রবীন্দ্রনাথ ‘গোরা’ উপন্যাস রচনা করিয়াছেন।
(২) ‘সে ব্যক্তি ইহার গাত্র স্পর্শ করিয়া কী অনুপম সুখ অনুভব করে।
(৩) তিনি স্কুলের ছেলেদের পুরস্কার দিতেন।
(৪) ‘আমি উহা বাম হস্তে ধরিতাম।
(৫) ‘এখানে সে মনে মনে যতগুলি বাণ হইলে তাহার আশা মিটে তাহার কল্পনা করে।
(৬) সুজাতা কি গান জানে ?
(৭) ‘শেষটায় সেই ডাকাতদের যে দু-একজন তখনও বেঁচেছিল, তারাই রহস্যের সমাধান করে দিল।
(৮) মানবশিশু সিংহশিশুর উপর অত্যাচার করিতেছে। (৯) তিনি ধীরে ধীরে বর্শা বনমধ্যে লুকাইলেন।
(১০) তুমি ব্রাহ্মণের ব্রহ্মস্ব হরণ করিয়াছ।
(১১) সে এক উপায় বাহির করিয়াছিল ।
(১২) তুমি দেশের জন্য সমস্ত দিয়াছ।
উত্তরঃ কর্মবাচ্য
(১) রবীন্দ্রনাথ কর্তৃক ‘গোরা’ উপন্যাস রচিত হইয়াছে।
(২) ইহার গাত্র স্পর্শ করিয়া সে ব্যক্তি কর্তৃক কী অনুপম সুখ অনুভূত হয়।
(৩) তাঁর দ্বারা স্কুলের ছেলেরা পুরস্কৃত হত।
(৪) আমা কর্তৃক উহা বাম হস্তে ধৃত হইত।
(৫) এখানে যতগুলি বাণ হইলে তাহার আশা মিটে তাহার কর্তৃক মনে মনে তাহা কল্পিত হয়।
(৬) সুজাতার কি গান জানা আছে? (বাংলায় সংস্কৃত রীতি অনুসরণ না করা বাঞ্ছনীয়।)
(৭) শেষটায় সেই ডাকাতদের যে দু-একজন তখনও বেঁচেছিল, তাদের দ্বারাই রহস্যের সমাধান হয়ে গেল। (বাংলায় সংস্কৃত রীতি অনুযায়ী ‘সমাধান কৃত’ হলে শ্রুতিকটু হয়।)
(৮) মানবশিশু কর্তৃক সিংহশিশু অত্যাচারিত হইতেছে।
(৯) তাঁহার দ্বারা বর্শা ধীরে ধীরে বনমধ্যে লুক্কায়িত হইল।
(১০) তোমা কর্তৃক ব্রাহ্মণের ব্রহ্মস্ব হৃত হইয়াছে।
(১১) তাহার দ্বারা এক উপায় বহিষ্কৃত হইয়াছিল ।
(১২) তোমা কর্তৃক দেশের জন্য সমস্ত প্রদত্ত হইয়াছে।
কর্মবাচ্য থেকে কর্তৃবাচ্যে পরিবর্তন
কর্মবাচ্য
(১) নেতাজি কর্তৃক ‘আজাদ হিন্দ ফৌজ’ গঠিত হয়।
(২) মানিকলাল কর্তৃক তখন রানার পদধূলি গৃহীত হইল।
(৩) ইহার দ্বারা আমরা বিস্তর উপকার প্রাপ্ত হই।
(৪) ‘পথের পাঁচালী’ আমার আগেই দেখা হয়েছে।
(৫) লিপির কি অঙ্কটা কষা আছে ?
(৬) জীব কেবল বাহিরের প্রবাহ দ্বারাই পরিচালিত হয় না।
(৭) সিংহশিশু অতিশয় বলপ্রকাশপূর্বক আকৃষ্ট হইতেলাগিল।
(৮) ‘আজি হইতে তুমি আমার কার্যে নিযুক্ত হইলে।
(৯) মুহূর্ত পরে তোমার হাত শৃঙ্খলিত হইবে।
(১০) এ মাংস খাওয়া হবে।
(১১) তাহা শ্রীচরণে অর্পিত হইতেছে।
(১২) টাকা শোধ করিয়া দিতে হইবে।
উত্তরঃ
কর্তৃবাচ্য
(১) নেতাজি ‘আজাদ হিন্দ ফৌজ’ গঠন করেন।
(২) ‘মানিকলাল তখন রানার পদধূলি গ্রহণ করিল।
(৩) ইহা আমাদের বিস্তর উপকার পাইয়ে দেয়।
(৪) ‘পথের পাঁচালী’ আমি আগেই দেখেছি।
(৫) লিপি কি অঙ্কটা কষেছে ?
(৬) জীবকে কেবল বাহিরের প্রবাহ পরিচালনা করে না।
(৭) ‘সিংহশিশুকে অতিশয় বলপ্রকাশপূর্বক আকর্ষণ করিতে লাগিল ।
(৮) আজি হইতে তোমাকে আমার কার্যে নিয়োগ করিলাম।
(৯) ‘মুহূর্ত পরে তোমার হাতে শৃঙ্খল পড়িবে?
(১০) এ মাংস খাব।
(১১) তাহা শ্রীচরণে অর্পণ করিতেছি।
(১২) টাকা শোধ করিয়া দিবেন।
কর্তৃবাচ্য থেকে ভাববাচ্যে পরিবর্তন :
কর্তৃবাচ্য
(১) ‘তবে আমি রাজধর্মে পতিত হইব।
(২) ‘নৌকা আর ফিরিল না।
(৩) মহাশয় কোথায় থাকেন ?
(৪) সুমিতা নাচিল।
(৫) তুমি কখন এলে ?
(৬) ছেলেরা ভালোই খেয়েছে।
(৭) ক্ষীণ চাঁদ ওঠে।
(৮) আপনি কবে আসবেন ?
(৯) তিনি পুণ্যার্থীদের সঙ্গে তীর্থে গেছেন।
(১০) ভোরের নামাজ শেষ হতেই সর্দারজি ভেঁপু বাজাতে আরম্ভ করলেন।
(১১) সকলেই জানে।
(১২) কুবের কিছু বলে না।
(১৩) ওইসব দেশের রাজপুত্তুরদের কথাই সে শোনে।
(১৪) আপনি এখন কোথায় থাকেন?
(১৫) তুমি মরিতে এত ভীত কেন ?
(১৬) ‘ও মূর্খ কী প্রকারে বলিবে ?
(১৭) ‘এক আদিমনিবাসী ব্যক্তি মৃগয়া করিতে গিয়াছিল।
(১৮) ‘সে আপন অবস্থা জানাইল।
(১৯) ‘এ কথা সে বহুবার শুনিয়াছে।
(২০) ‘তর্কর কহিলেন।
(২১) ভূগোলে পড়েছি।
(২২) ‘রাত্রে আশ্রয় পাই কোথায় ??
(২৩) ‘সান্তাহার স্টেশনে আসাম মেলে চড়লাম।
(২৪) আসুন, বসুন।
(২৫) এই গরমে ঘুমোব কী করে?
(২৬) গান শুনলে ?
২৭) ছুটি তো পাওয়া গেল, কিন্তু কোথায় যাই?
(২৮) এই ছেলেটির নাম রাখিয়াছিলেন সব্যসাচী।
(২৯) তোমায় একটি খেলনা দিব।
(৩০) ধপ করে ডেকের ওপর বসে পড়ল।
উত্তরঃ
ভাববাচ্য
(১) তবে আমাকে রাজধর্মে পতিত হইতে হইবে।
(২) নৌকার আর ফেরা হইল না।
(৩) মহাশয়ের কোথায় থাকা হয় ?
(৪) সুমিতার নাচা হইল।
(৫) তোমার কখন আসা হলো?
(৬) ছেলেদের ভালোই খাওয়া হয়েছে। ?
(৭) ক্ষীণ চাঁদের ওঠা হয়।
(৮) আপনার কবে আসা হবে
(৯) পুণ্যার্থীদের সঙ্গে তাঁর তীর্থে যাওয়া হয়েছে।
(১০) ভোরের নামাজ শেষ হতেই সর্দারজির ভেঁপু বাজানো আরম্ভ হলো।
(১১) সকলেরই জানা আছে।
(১২) কুবেরের কিছু বলা হয় না
। (১৩) ওইসব দেশের রাজপুত্তুরদের কথাই তার শোনা হয়।
(১৪) আপনার এখন কোথায় থাকা হয় ? (১৫) তোমার মরিতে এত ভয় কেন?
(১৬) ও মূর্খের কী প্রকারে বলা হইবে? (১৭) এক আদিমনিবাসী ব্যক্তির মৃগয়া করিতে যাওয়া হইয়াছিল।
(১৮) তার আপন অবস্থা জানানো হইল। (১৯) এ কথা তার বহুবার শোনা হইয়াছে। (২০) তর্কররে কওয়া হইল।
(২১) ভূগোলে পড়া হয়েছে।
(২২) রাত্রে আশ্রয় পাওয়া যায় কোথায় ? (২৩) সান্তাহার স্টেশনে আসাম মেলে চড়া হলো।
(২৪) (আপনার) আসা হোক, বসা হোক । (২৫) এই গরমে কী করে ঘুমোনো যাবে? (২৬) গান শোনা হলো?
(২৭) ছুটি তো পেলাম, কিন্তু কোথায় যাওয়া হবে? (প্রথম অংশ কর্তৃবাচ্য, শেষ অংশ ভাববাচ্য)
(২৮) এই ছেলেটির নাম সব্যসাচী রাখা হইয়াছিল।
(২৯) তোমায় একটি খেলনা দেওয়া হবে। (৩০) ধপ করে ডেকের ওপর বসে পড়া হলো।
ভবিবাচ্য থেকে কর্তৃবাচ্যে পরিবর্তন
ভাববাচ্য:
(১) ‘মহাশয়ের আসা ভালো হয় নাই।’
(২) তোমার বিকালে বেড়ানো হইবে।
(৩) বাড়ির বড়োবউ মারা গিয়াছে।
(৪) অশ্বারোহীর অশ্ব হইতে নামা হইল।
(৫) তোমাকে এবার তার হাতে ধরা পড়তে হবে।
(৬) আপনাদের সবার বসে যাওয়া হোক।
(৭) তোমার শুদ্ধ হত্যার বিদ্যাই জানা আছে।
(৮) মেবারের রানার জয় হোক।
(৯) ভাইয়ের উচিত কাজ হয়েছে।
(১০) জন্মজন্মান্তরেও ভুল হইবে না।
(১১) কোনো পথ দিয়ে আর কোথাও সরে পড়া হয়েছে।
(১২) ‘খাবার সময় বোঝা যাবে।
(১৩) ভোটে জয় হোক।
(১৪) তা সত্ত্বেও আবেদনটা পেশ করা হোক।
(১৫) চায়ের কাপে অনেক তুফান তোলা হয়েছে।
(১৬) আর সময় নষ্ট করা চলিবে না।
(১৭) গোড়া থেকে বলা হোক।
(১৮) আর বেশি লিখলে ডাক পাওয়া যাবে না।
(১৯) তাহা পূর্বেই বলা হইয়াছে।
উত্তরঃ
কর্তৃবাচ্য
(১) মহাশয় আসিয়া ভালো করেন নাই।
(২) তুমি বিকালে বেড়াইবে।
(৩) ‘বাড়ির বড়োবউ মরিয়াছে।
(৪) ‘অশ্বারোহী অশ্ব হইতে নামিলেন।
(৫) তুমি এবার তার হাতে ধরা পড়বে।
(৬) আপনারা সব বসে যান।
(৭) তুমি শুদ্ধ হত্যার বিদ্যাই জানো।
(৮) মেবারের রানা জয়ী হোন।
(৯) ভাই উচিত কাজ করেছে।
(১০) ‘জন্ম-জন্মান্তরেও ভুলিব না। (১১)‘কোনো পথ দিয়ে আর কোথাও সরে গেছে।
(১২) খাবার সময় বুঝব।
(১৩) ভোটে জয়ী হোন (হও)।
(১৪) তা সত্ত্বেও আবেদনটা পেশ করুন (করো)।
(১৫) চায়ের কাপে অনেক তুফান তুলেছি। (১৬) আর সময় নষ্ট করিব না।
(১৭) গোড়া থেকে বলো।
(১৮) আর বেশি লিখলে ডাক পাব না। (১৯) তাহা পূর্বেই বলিয়াছি।