বাক্যকে বচনে রূপান্তরিত করার নিয়ম – teacj sanjib
বাক্যকে বচনে রূপান্তরিত করার নিয়ম – teacj sanjib
(Rules for Transforming Sentences into their Logical Form of Proposition)
নিরপেক্ষ বচন
বাক্যকে বচনে রূপান্তর:
যুক্তি একাধিক বচন দ্বারা গঠিত। এই বচনগুলির মধ্যে কতকগুলিকে আশ্রয়বাক্য বলা হয় এবং এগুলির একটিকে সিদ্ধান্ত বলা হয়। আশ্রয়বাক্যগুলি থেকে যে বাক্যটিকে নিঃসৃত করা হয় সেই বাক্যকে সিদ্ধান্ত বলে। বাক্য বচন নয়। বাক্যের মাধ্যমে বচন প্রকাশিত হয়। নিরপেক্ষ বচন চার প্রকার। যথা A, E, I, O। যুক্তিবিদরা মনে করেন যে, যে-কোনো বাক্যকে বচনে রূপান্তর করা সম্ভব। এ বিষয়ে কতকগুলি সাধারণ নিয়ম আছে। বাক্যের অর্থ অপরিবর্তিত রেখে এই নিয়মগুলি অনুসরণ করে বাক্যকে বচনে রূপান্তরিত করতে হয়। নিয়মগুলি নিম্নে উল্লেখ করা হলঃ
বাক্যকে বচনে রূপান্তরিত করার নিয়ম নাম্বার এক:
– (১) একটি নিরপেক্ষ বচনের তিনটি অংশ আছে, যথা উদ্দেশ্যপদ, সংযোজক ও বিধেয়পদ। বাক্যকে বচনে রূপান্তর করার সময় এই তিনটিকে যথাযথভাবে উল্লেখ করতে হবে।
যেমনঃ – সব মানুষ হয় মরণশীল বাক্য।
A – সকল মানুষ হয় মরণশীল জীব বচন।
এই বচনের ‘মানুষ’ উদ্দেশ্যপদ, ‘হয়’ সংযোজক এবং ‘মরণশীল জীব’ বিধেয়পদ। এই ক্রম অনুসারে লিখতে হবে।
বাক্যকে বচনে রূপান্তরিত করার নিয়ম নাম্বার দুই:
(২) যদি প্রদত্ত বাক্যের শেষে নঞর্থক চিহ্ন থাকে তবে ওই বাক্যটিকে বচনে রূপান্তর করার সময় নঞর্থক চিহ্নটিকে সংযোজকের পরে লিখতে হবে।
যেমন : কোনো মানুষ পূর্ণ নয় – বাক্য।
E – কোনো মানুষ নয় পূর্ণ সত্ত্বা -বচন।
বাক্যকে বচনে রূপান্তরিত করার নিয়ম নাম্বার তিন:
(৩) সংযোজককে সব ক্ষেত্রেই ‘হওয়া’ (be verb) ক্রিয়ার যে-কোনো একটি আকারে অর্থাৎ ‘হই’, ‘হও’ বা ‘হয়’ (am, is, are) এইরূপে রাখতে হবে, সংযোজক বর্তমান কালের (present tense) হবে। বাক্যটি অতীত বা ভবিষ্যৎ কালের হলে কাল প্রকাশক শব্দটিকে বিধেয়পদের সঙ্গে যুক্ত করতে হবে।
যেমন ঃ সব সভ্য সভায় উপস্থিত ছিল না – বাক্য।
O কোনো কোনো সভ্য নয় এমন যারা সভায় উপস্থিত ছিল- বচন।
যদু বাড়িতে ছিল না – বাক্য।
E যদু নয় এমন ব্যক্তি যে বাড়িতে ছিল – বচন।
রাম বাড়ি যাবে – বাক্য।
A রাম হয় এমন ব্যক্তি যে বাড়ি যাবে – বচন।
সক্রেটিস দার্শনিক ছিলেন – বাক্য।
A · সক্রেটিস হন এমন ব্যক্তি যিনি দার্শনিক ছিলেন- বচন।
বাক্যকে বচনে রূপান্তরিত করার নিয়ম নাম্বার চার:
(৪) যেসব বাক্যে সকল, সব, সমস্ত, প্রত্যেকে, সর্বত্র, সদা, সর্বদা, সর্বতোভাবে, নিয়ত, যে কেউ, যে-কোনো, যে-সে, যেখানে-সেখানে, যদি তবে, অবশ্যই, নিশ্চয়ই, নিশ্চিতভাবে, একান্তভাবে, মাত্রই প্রভৃতি শব্দগুলির যে-কোনো একটি থাকে এবং বাক্যটিতে যদি নঞর্থক চিহ্ন না থাকে, তবে বাক্যটিকে ‘A’ বচনে পরিণত করতে হবে। নঞর্থক চিহ্ন থাকলে বাক্যটিকে ‘O’ বচনে পরিণত করতে হবে। .
১। সব ফুল লাল নয়।
O কোনো কোনো ফুল নয় লাল বর্ণের
২। প্রত্যেক গোলাপ লাল নয়।
0 – কোনো কোনো গোলাপ নয় লাল বর্ণের।
৩। সমস্ত লোক স্বার্থপর নয়।
O – কোনো কোনো লোক নয় স্বার্থপর ব্যক্তি।
৪। মানুষ মাত্রই কবি নয়।
O কোনো কোনো মানুষ নয় কবি।
৫। মানুষ মাত্রই ভুল করে।
A সকল মানুষ হয় এমন যারা ভুল করে।
৬। যে-কেউ এই কাজটি করতে পারে।
A সকল ব্যক্তি হয় এমন যারা এই কাজটি করতে পারে।
৮। যেখানে ধূম থাকে সেখানে বহ্নি থাকে।
A সকল ধূম থাকার ক্ষেত্র হয় বহ্নি থাকার ক্ষেত্র।
অথবা,
A • সকল ধূমবান স্থান হয় বহ্নিমান স্থান।
১০। ধার্মিকেরা সকলেই সুখী।
A সকল ধার্মিক ব্যক্তি হয় সুখী ব্যক্তি।
১২। যে-কোনো ফুলই গন্ধযুক্ত নয়।
O – কোনো কোনো ফুল নয় গন্ধযুক্ত।
১৩। যে-কোনো মানুষই মরণশীল ।
A – সকল মানুষ হয় মরণশীল জীব।
১৪। চক্চক্ করলেই সোনা হয় না।
0 কোনো কোনো চক্চকে বস্তু নয় সোনা।
১৫। মহিলারা নিশ্চিতভাবে পুরুষ অপেক্ষা নিকৃষ্ট নয়।
O – কোনো কোনো মহিলা নয় এমন যারা পুরুষ অপেক্ষা নিকৃষ্ট।
১৬। দার্শনিকেরা সদা গভীরভাবে চিন্তা করেন।
A সকল দার্শনিক হন এমন যাঁরা গভীরভাবে চিন্তা করেন।
১৭। আম মাত্রই মিষ্ট হয় না।
O – কোনো কোনো আম নয় মিষ্ট ফল।
১৮। সব মানুষ যে ভূতে বিশ্বাস করে এমন নয়।
O কোনো কোনো মানুষ নয় ভূতে বিশ্বাসী।
১৯। মানুষ মরণশীল।
A সকল মানুষ হয় মরণশীল জীব ।
২০। এই শ্রেণির সকল ছাত্রই বুদ্ধিমান ব্যক্তি।
A সকল এই শ্রেণির ছাত্র হয় বুদ্ধিমান ব্যক্তি।
২৩। যে-কোনো দান গ্রহণযোগ্য নয়।
O কোনো কোনো দান নয় গ্রহণযোগ্য।
২৪। জ্ঞানী লোক সর্বদাই সম্মান পায়।
A সকল জ্ঞানী ব্যক্তি হয় সম্মানিত ব্যক্তি।
২৫। সকল লেখক প্রগতিশীল নন।
O কোনো কোনো লেখক নন প্রগতিশীল।
২৬। প্রকৃত সুখী ব্যক্তি হল সেই ব্যক্তি, যে তার ত্রুটি সম্পর্কে সচেতন।
A – সকল ব্যক্তি, যারা নিজের ত্রুটি সম্পর্কে সচেতন, হয় সুখী ব্যক্তি। –
২৭। এমন কোনো মুদ্রা নেই যা ধাতু দিয়ে তৈরি নয়।
A সকল মুদ্রা হয় ধাতুনির্মিত।
২৯। যদি কোনো দেশ স্বাধীন হয়, তবে সেই দেশ উন্নতিশীল।
A· সকল স্বাধীন দেশ হয় উন্নতিশীল দেশ।
৩০। সব ভালো যার শেষ ভালো।
A · সকল বস্তু যার শেষ ভালো হয় ভালো বস্তু।
বাক্যকে বচনে রূপান্তরিত করার নিয়ম নাম্বার পাঁচ:
৫) যেসব বাক্যে নয়, কেউ নয়, কোনো কিছু নয়, কখনও নয়, কোনো মতে নয়, কোনো নয়, এক নয় প্রভৃতি শব্দ থাকে, সেইসব বাক্যকে “E” বচনে পরিণত করতে হবে।
দৃষ্টান্ত :
১। কোনো ছাত্র সফল হয়নি।
E – কোনো ছাত্র নয় সফল ব্যক্তি।
২। মানুষ কখনও পূর্ণ নয়।
E কোনো মানুষ নয় পূর্ণ সত্ত্বা।
৩। মানুষ ও পশু এক নয়।
E কোনো মানুষ নয় পশু।
৪। কাউকে বিশ্বাস করা যায় না।
E – কোনো মানুষ নয় বিশ্বাসযোগ্য ব্যক্তি।
৫। কোনো স্ত্রীলোক এই কাজের উপযুক্ত নয়।
E –– কোনো স্ত্রীলোক নয় এই কাজের উপযুক্ত।
৬। কোনো কিছুই মূল্যহীন নয়।
E- কোনো বস্তু নয় মূল্যহীন।
৭। কোনো উত্তেজক বস্তু নিরাপদ নয়।
E – কোনো উত্তেজক বস্তু নয় নিরাপদ বস্তু।
৮। তুমি ও আমি এক নই।
E – তুমি নও আমি।
৯। মানুষ কখনও সর্বাঙ্গ সুন্দর নয়।
E কোনো মানুষ নয় সর্বাঙ্গ সুন্দর। –
১০। বাঙালিদের কোনোমতেই অলস বলা যায় না।
E কোনো বাঙ্গালী নয় অলস ব্যক্তি।
– ১২। সৎ ব্যক্তিরা জীবনে কখনো কষ্ট পায় না।
E – কোনো সৎ ব্যক্তি নয় এমন যে জীবনে কষ্ট পায়।
১৩। স্বার্থপরতা সদ্গুণ নয়।
E- স্বার্থপরতা নয় সদ্গুণ।
১৪। ধূমপান এই ঘরে অনুমোদিত নয়।
E – এই ঘর নয় এমন স্থান যেখানে ধূমপান অনুমোদিত। –
১৫। গোলাকার বর্গক্ষেত্র নেই।
E – কোনো গোলাকার বস্তু নয় বর্গক্ষেত্র ।
১৬। লাল হাতি নেই।
Eকোনো হাতি নয় লাল বর্ণের।
১৭। সে দেখে না তার ছায়া, যে সূর্যের দিকে মুখ করে থাকে।
E কোনো ব্যক্তি, যে সূর্যের দিকে মুখ করে থাকে, নয় এমন ব্যক্তি যে নিজের ছায়া দেখতে পায়।
১৮। কোনো বস্তু একই সঙ্গে লাল ও সাদা হতে পারে না।
E- কোনো লাল বস্তু নয় সাদা বস্তু।
বাক্যকে বচনে রূপান্তরিত করার নিয়ম নাম্বার ছয়:
(৬) যেসব বাক্যে কোনো-কোনো, কখনো-কখনো, অধিকাংশ, প্রায়ই, বেশির ভাগ, শতকরা, কিছু কিছু, প্রায় সবাই, কিছুসংখ্যক, কতিপয়, কয়েকটি, অনেকে, একটি ছাড়া সব, হয়তো, সম্ভবত, সাধারণত মধ্যে-মধ্যে, অনেক সময় প্রভৃতি শব্দ থাকে এবং সেইসব বাক্যে যদি নঞর্থক চিহ্ন না থাকে তবে ‘I’ বচনে পরিণত করতে হবে। নঞর্থক চিহ্ন থাকলে ‘O’ বচনে পরিণত করতে হবে।
দৃষ্টান্ত :
১। শতকরা 25 জন ব্যবসায়ী সৎ।
I – কোনো কোনো ব্যবসায়ী হয় সৎ ব্যক্তি।
২। কিছু ছাত্র বিনয়ী নয়।
O – কোনো কোনো ছাত্র নয় বিনয়ী।
৩। অধিকাংশ ব্যক্তি অসুখী।
I – কোনো কোনো ব্যক্তি হয় অসুখী।
৪। ছাত্ররা প্রায়ই ইংরেজিতে ফেল করে।
I – – কোনো কোনো ছাত্র হয় এমন যারা ইংরেজিতে ফেল করে।
৫। অধিকাংশ ছাত্র কৃতকার্য হয়নি।
কোনো কোনো ছাত্র নয় এমন যারা কৃতকার্য হয়েছে। প্রায় সব মানুষই স্বার্থপর।
I – কোনো কোনো মানুষ হয় স্বার্থপর ব্যক্তি।
৭। মানুষ সাধারণত শান্তিপ্রিয় ।
I – কোনো কোনো মানুষ হয় শান্তিপ্রিয় ব্যক্তি।
৮। কিছু গল্প চকমপ্রদ নয়। –
O কোনো কোনো গল্প নয় চমকপ্রদ।
৯। প্রায় সব মহিলারাই নাচের আসরে উপস্থিত ছিল।
I – কোনো কোনো মহিলা হয় এমন যারা নাচের আসরে উপস্থিত ছিল।
বাক্যকে বচনে রূপান্তরিত করার নিয়ম নাম্বার সাত:
৭) যেসব বাক্যে কচ্চিৎ, কদাচিৎ, কিছুনা, খুব কম, নেই বললেই চলে, প্রভৃতি শব্দ থাকে এবং নঞর্থক চিহ্ন না থাকে, তবে সেইসব বাক্যকে ‘O’ বচনে পরিণত করতে হবে, যদি নঞর্থক চিহ্ন থাকে তবে ‘I’ বচনে পরিণত করতে হবে। দৃষ্টান্ত :
১। খুব কম ছাত্র পড়ায় মনোযোগী।
O – কোনো কোনো ছাত্র নয় পড়ায় মনোযোগী।
২। অসৎ ব্যক্তি ক্বচিৎ সুখী হয় না।
I – কোনো কোনো অসৎ ব্যক্তি হয় সুখী ব্যক্তি। –
৪। ধার্মিক ব্যক্তির সংখ্যা খুব কম নয়।
I – কোনো কোনো ব্যক্তি হয় ধার্মিক।
৫। মানুষ কচ্চিৎ সুখী হয়।
O কোনো কোনো মানুষ নয় সুখী ব্যক্তি।
বাক্যকে বচনে রূপান্তরিত করার নিয়ম নাম্বার আট:
(৮) যদি কোনো বাক্যে মাত্র, শুধু, শুধুমাত্র, কেবল, কেবলমাত্র, একমাত্র, ছাড়া কেউ নয়, ব্যতীত কেউ না, প্রভৃতি শব্দ থাকে তবে বাক্যটিকে ‘A’ বচনে পরিণত করতে হবে। এই ক্ষেত্রে নিয়ম হল বাক্যটির উদ্দেশ্যপদকে বচনের বিধেয় স্থান ও বাক্যটির বিধেয় পদকে বচনের উদ্দেশ্য স্থানে বসাতে হবে।
দৃষ্টান্ত :
১। কেবলমাত্র স্নাতকেরাই এই পদের যোগ্য।
A – সকল এই পদের যোগ্য ব্যক্তি হয় স্নাতক।
৩। মূর্খ ছাড়া নিজেদের কেউ মহৎ ভাবে না।
A- সকল ব্যক্তি যারা নিজেদের মহৎ ভাবে হয় মূর্খ ব্যক্তি।
৪ ।সভ্যরা শুধু এই প্রদর্শনীতে যোগদান করতে পারবে।
A· সকল ব্যক্তি যারা এই প্রদর্শনীতে যোগদান করতে পারবে হয় সভ্য।
(৯) যদি কোনো বাক্যে ব্যতীত, ছাড়া প্রভৃতি ব্যতিক্রমসূচক শব্দ থাকে তবে সেই ক্ষেত্রে ঃ (ক) ব্যতিক্রম সুনির্দিষ্ট হলে ‘A’ এবং ‘E’ বচনে পরিণত করতে হবে। (খ) ব্যতিক্রম অনির্দিষ্ট হলে ‘I’ এবং ‘O’ বচনে পরিণত করতে হবে।
দৃষ্টান্ত :
১। পারদ ছাড়া সব ধাতু কঠিন।
A সকল অ-পারদ হয় কঠিন ধাতু।
এবং
E কোনো পারদ নয় কঠিন ধাতু।
২। একটি ছাড়া সব ধাতু কঠিন
I – কোনো কোনো ধাতু হয় কঠিন ধাতু। এবং
O কোনো কোনো ধাতু নয় কঠিন ধাতু।
৩। একজন ব্যতীত এই শ্রেণির সব ছাত্র বুদ্ধিমান।
I – কোনো কোনো এই শ্রেণির ছাত্র হয় বুদ্ধিমান ব্যক্তি।
এবং
O- কোনো কোনো এই শ্রেণির ছাত্র নয় বুদ্ধিমান ব্যক্তি।
বাক্যকে-বচনে-রূপান্তরিত-করার-নিয়ম দশ :
১০) যদি কোনো বাক্যের উদ্দেশ্য, সুনির্দিষ্ট বিশিষ্ট পদ, নাম পদ, গুণবাচক পদ, সর্বনাম পদ হয় এবং বাক্যে যদি নঞর্থক চিহ্ন না থাকে তবে বাক্যটিকে ‘A’ বচনে পরিণত করতে হবে। যদি নঞর্থক চিহ্ন থাকে তবে বাক্যটিকে ‘E’ বচনে পরিণত করতে হবে।
দৃষ্টান্ত :
১। কলকাতা বড়ো শহর।
A কলকাতা হয় বড়ো শহর।
২। আলেকজান্ডার ভারত জয় করেছিলেন।
A – আলেকজান্ডার হন এমন ব্যক্তি যিনি ভারত জয় করেছিলেন।
৩। এই লোকটি গায়ক।
A – এই লোকটি হয় গায়ক। –
৪। সততা একটি মহৎ গুণ।
A – সততা হয় একটি মহৎ গুণ।
৫। সে গায়ক নয়।
E সে নয় গায়ক।
৬। তার শিক্ষা নেই।
Eসে নয় শিক্ষিত ব্যক্তি। –
৭। অতি পরিচিতি ঘৃণার সৃষ্টি করে।
A – অতি পরিচিতি হয় এমন গুণ যা ঘৃণার সৃষ্টি করে।
৮। একটি সুন্দর জিনিস চিরকালীন আনন্দের উৎস।
A – সকল সুন্দর জিনিস হয় এমন যা চিরকালীন আনন্দের উৎস।
১১ ) যদি বিশিষ্ট পদ অনির্দিষ্ট হয় অথবা বাক্যে যদি অনির্দিষ্ট পরিমাণসূচক শব্দ থাকে তবে বাক্যের অর্থ অনুধাবন করে বাক্যটিকে বচনে রূপান্তর করতে হবে। দৃষ্টান্ত :
১। একটি চোর ধরা পরেছে।
I – কোনো কোনো চোর হয় ধৃত ব্যক্তি।
২। চোরটি ধরা পরেছে।
A – চোরটি হয় ধৃত ব্যক্তি।
৩। একটি অপরাধী পলাতক।
1- কোনো কোনো অপরাধী হয় পলাতক ব্যক্তি।
৪। একটি পিপীলিকা ক্ষুদ্রকায় জীব।
A – সকল পিপীলিকা হয় ক্ষুদ্রকায় জীব।
৫। তিমি স্তন্যপায়ী।
A — সকল তিমি হয় স্তন্যপায়ী জীব।
৬। একটি তিমি স্তন্যপায়ী।
A · সকল তিমি হয় স্তন্যপায়ী জীব।
৭। একটি বাদুড় স্তন্যপায়ী।
A – সকল বাদুড় হয় স্তন্যপায়ী প্রাণি।
৮। একটি ছাত্র বুদ্ধিমান।
I – কোনো কোনো ছাত্র হয় বুদ্ধিমান ব্যক্তি।
৯। একটি গরু তৃণভোজী প্রাণী।
A – সকল গরু হয় তৃণভোজী প্রাণী।
১০। একটি হাতি হয় সাদা।
I – কোনো কোনো হাতি হয় সাদা বর্ণের।
১১। মানুষ সত্যবাদী হয়।
I – কোনো কোনো মানুষ হয় সত্যবাদী ব্যক্তি।
১২। মানুষ মরণশীল।
A – সকল মানুষ হয় মরণশীল জীব।
১৩। পুস্তক মূল্যবান।
I – কোনো কোনো পুস্তক হয় মূল্যবান বস্তু।
১৪। সাদা হাতি আছে।
I – কোনো কোনো হাতি হয় সাদা বর্ণের।
১৫। সাদা হাতি নেই।
E কোনো হাতি নয় সাদা বর্ণের।
১৬। লাল ইঁদুর নেই।
E কোন ইন্দুর নয় লাল বর্ণের
১৭ আম মিষ্টি।
I – কোনো কোনো আম হয় মিষ্ট ফল।
(১২) ইচ্ছা, আদেশ ও বিস্ময়সূচক বাক্যকে ‘A’ বা ‘E’ বচনে পরিণত করা সুবিধাজনক।
দৃষ্টান্ত :
১। তুমি বাড়ি যাও।
A তোমার বাড়ি যাওয়া হোক হয় আমার ইচ্ছা।
২ । তুমি দীর্ঘজীবী হও।
A – তুমি দীর্ঘজীবী হও হয় আমার কামনা।
৩। তুমি সুখী হও।
A- তুমি সুখী হও হয় আমার কামনা।
(১৩) যেসব বাক্যে উদ্দেশ্যপদ স্পষ্টভাবে উল্লেখ থাকে না সেইসব বাক্যকে বচনে পরিণত করার সময় উদ্দেশ্যপদটিকে স্পষ্টভাবে উল্লেখ করতে হবে।
দৃষ্টান্ত :
১। বৃষ্টি পড়ছে।
A- আবহাওয়া হয় বৃষ্টিযুক্ত।
২। এখন গরম নয়।
E – বর্তমান সময়টি নয় গরম।
৩। এখন সকাল।
A- বর্তমান সময়টি হয় সকাল।
৪। একটি ঘুর্ণিঝড় আসছে।
A – বর্তমান সময়টি হয় এমন যখন একটি ঘূর্ণিঝড় আসছে।
৫। এখন অন্ধকার।
A – বর্তমান সময়টি হয় অন্ধকার।
A – বর্তমান সময়টি হয় অন্ধকার।
বাক্যকে-বচনে-রূপান্তরিত-করার-নিয়ম- চৌদ্দ
(১৪) যেসব বাক্যের উদ্দেশ্য ক্রিয়াবাচক বিশেষ্যপদ বা ক্রিয়াপদ, তাদের সাধারণত ‘এ’ বচনে পরিণত করাই সুবিধাজনক, তবে নঞর্থক চিহ্ন থাকলে ‘E’ বচনে পরিণত করতে হবে।
দৃষ্টান্ত :
১। ভিক্ষা করা সদ্গুণ নয়।
E – ভিক্ষাবৃত্তি নয় সদ্গুণ।
২। সত্য কথা বলা সদ্গুণ।
A সত্য কথা বলা হয় সদ্গুণ।
(১৫) প্রাকল্পিক বাক্যগুলিকে ‘A’ বচনে পরিণত করা যায়। তবে নঞর্থক চিহ্ন থাকলে ‘E’ বচনে পরিণত করতে হয়।
দৃষ্টান্ত :
১। যদি কেহ মানুষ হয় তবে সে মরণশীল হবে।
A সকল মানুষ হয় মরণশীল জীব।
২। যদি কোনো জিনিস দুষ্প্রাপ্য হয় তবে তা সস্তা হবে না।
E কোনো দুষ্প্রাপ্য জিনিস নয় সস্তা।
(১৬) অনেক বাক্যকে উপসংকেতের সাহায্যে বচনে পরিণত করতে হবে। দৃষ্টান্ত :
১। ইচ্ছা থাকলে উপায় হয়।
A – সকল ইচ্ছা থাকার ক্ষেত্র হয় উপায় আবিষ্কারের ক্ষেত্র।
২। কুকুর চিৎকার করে যেখান দিয়ে শৃগাল যায়।
A সকল স্থান যেখান দিয়ে শৃগাল যায় হয় এমন স্থান যেখানে কুকুর চিৎকার করে
৩। শান্ত উত্তরে ক্রোধ প্রশমিত হয়।
A – সকল শান্ত উত্তরের ক্ষেত্র হয় ক্রোধ প্রশমিত হওয়ার ক্ষেত্র।
৪। সে রক্তবর্ণ হয়ে যায় যখন সে ক্রুদ্ধ হয়।
A – সকল সময় যখন সে ক্রুদ্ধ হয়ে যায় হয় এমন সময় যখন সে রক্তবর্ণ হয়ে যায়।
৫। ধূমপান এই ঘরে অনুমোদিত নয়।
E – এই ঘরটি নয় এমন স্থান যেখানে ধূমপান অনুমোদিত। –
বাক্যকে বচনে রূপান্তরিত করার নিয়ম নাম্বার সতের:
(১৭) প্রশ্নসূচক বাক্যকে বচনে পরিণত করার সময় প্রশ্নের উত্তরের দিকে লক্ষ রাখতে হবে। ওই উত্তর অনুসারে বাক্যটিকে বচনে রূপান্তর করতে হবে। দৃষ্টান্ত :
১। কোন্ মাতা স্নেহশীলা নন?
A সকল মাতা হন স্নেহশীলা।
২। কে নিজের দেশকে ভালোবাসে না?
A-সকল ব্যক্তি হন দেশপ্রেমিক।
৩। এমন কোনো ব্যক্তি আছে যে নিজের মঙ্গল চায় না?
A-সকল ব্যক্তি হয় এমন যারা নিজের মঙ্গল চায়।