নীল বিদ্রোহের কারণ যাবতীয় প্রশ্ন উত্তর ফলাফল, বৈশিষ্ট্য ও গুরুত্ব দশম শ্রেণির ইতিহাস teacj sanjib

 নীল বিদ্রোহের কারণ যাবতীয় প্রশ্ন উত্তর ফলাফল, বৈশিষ্ট্য ও গুরুত্ব দশম শ্রেণির ইতিহাস teacj sanjib

নীল বিদ্রোহের কারণ

 

নীল-বিদ্রোহের-কারণ-যাবতীয়-প্রশ্ন-উত্তর-ফলাফল-বৈশিষ্ট্য-ও-গুরুত্ব-দশম-শ্রেণির-ইতিহাস-teacj-sanjib

 

 

 নীলবিদ্রোহের কারণ ও ফলাফল আলােচনা করাে।

কারণ ও ফলাফল

 ভূমিকা : উনবিংশ শতকের দ্বিতীয়ার্ধে নীলচাষিদের ওপর নীলকর সাহেবদের অমানুষিক অত্যাচার ও নির্মম শােষণের বিরুদ্ধে নীলচাষিদের সংঘবদ্ধ আন্দোলনকে নীলবিদ্রোহ (১৮৫৯-১৮৬০ খ্রি.) বলা হয়।

 

নীলবিদ্রোহের কারণ :

 

১ নীলচাষের পদ্ধতি : নীলকররা গরিব চাষিদের নিরক্ষরতার সুযােগ নিয়ে কম টাকা দাদন দিয়ে বেশি টাকার চুক্তি করে তাদের দিয়ে নীলচাষ করতে বাধ্য করত।

 

 ২ নীলকর সাহেবদের অত্যাচার : কৃষকদের প্রতিপক্ষ নীলকরদের অত্যাচার, লুণ্ঠন, শােষণ, দৌরাত্ম্য, ব্যভিচার, লাম্পট্য ছিল এই বিদ্রোহের অন্যতম কারণ।

 

: ৩) নীলকরদের সরকারি সমর্থন : ১৮৩৩ খ্রিস্টাব্দের সনদ আইনে শ্বেতাঙ্গদের জমি কেনার অধিকার, তারও আগে সরকারের দাদনি প্রথাকে সমর্থন, একাদশ আইনে দাদন গ্রহণকারী কৃষকদের নীলচাষ করতে বাধ্য করা প্রভৃতি কারণে তীব্র জনরােষের বহিঃপ্রকাশ ঘটে। 

 

৪) দস্তুরি প্রথা ও নীলের কম দাম প্রদান : নীলের দাম দেওয়ার সময় দাদনের কিস্তি ও সুদের টাকা নীলকররা কেটে রাখত, যাকে বলা হত দস্তুরি প্রথা। 

 

৫ ) পঞ্চম আইন : ১৮৩০ খ্রিস্টাব্দে লর্ড বেন্টিঙ্ক প্রবর্তিত পঞ্চম। আইনে বলা হয় দাদন নিয়ে নীলচাষ না করলে তা বেআইনি। গণ্য হবে এবং অপরাধীর জেল হবে।

 

৬ ) পক্ষপাতদুষ্ট বিচারব্যবস্থা : নীলকরদের বিরুদ্ধে সরকারি আদালতে নালিশ করলেও শ্বেতাঙ্গ ম্যাজিস্ট্রেটরা স্ব-জাতীয় শ্বেতাঙ্গ। নীলকরদের প্রতি পক্ষপাত দেখাতেন। মফসলে ভারতীয় বিচারক শ্বেতাঙ্গ নীলকরদের বিচার করতে পারত না।

 

এ ছাড়াও নীলকরদের নিষ্ঠুরতা, তাদের তৈরি লাঠিয়াল, পাইন বরকন্দাজ বাহিনীর অত্যাচার, নীলচাষিদের বন্দি করে খাদ্য-জন। বন্ধ করে দেওয়া এই বিদ্রোহের অন্যতম কারণ।

 

 নীল বিদ্রোহের ফলাফল : 

নীল বিদ্রোহের ফলে—

 

 ১ নীল কমিশন গঠন : ১৮৬০ খ্রিস্টাব্দে নীল কমিশন গঠিত। হয়। ১৮৬৮ খ্রিস্টাব্দে অষ্টম আইন দ্বারা নীলচুক্তি আইন’ রদ করে নীলচাষকে চাষিদের ইচ্ছাধীন করা হলে নীলকররা নীলচাষ থেকে নিজেদের সরিয়ে নেয়। কৃষকদের জয় প্রতিষ্ঠা হয়, বাঙালি জাতির মনােবল বৃদ্ধি পায়, পরােক্ষভাবে জাতীয় চেতনার উন্মেষ ঘটায়। 

 

 ২ মহাজনদের কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা : Blair Kling তার Blue Mutiny’ গ্রন্থে দেখান যে, নীলকর সাহেবদের পতনের ফলে নিম্নবঙ্গের কর্তৃত্ব সুদখাের মহাজনদের হাতে চলে যায়। 

 

৩ কৃষক ও শিক্ষিত সম্প্রদায়ের ঐক্য : নীল বিদ্রোহের ফলেই বাংলায় কৃষক, জমিদার, শিক্ষিত মধ্যবিত্ত সম্প্রদায়ের মধ্যে ঐক্য প্রতিষ্ঠিত হয়।

 

 

উপসংহার : 

১৮৫৮ খ্রিস্টাব্দে কোম্পানির শাসনের অবসানের পর নীলবিদ্রোহ ব্রিটিশরাজের বিরুদ্ধে প্রথম সংঘবদ্ধ গণবিদ্রোহ। অমৃতবাজার পত্রিকায় শিশির কুমার ঘােষ লেখেন যে, নীলবিদ্রোহই সর্বপ্রথম ভারতবাসীকে সংঘবদ্ধ রাজনৈতিক আন্দোলনের প্রয়ােজনীয়তা শিখিয়েছিল।

 

প্রশ্ন ।।  নীল বিদ্রোহ ঘটেছিল কেন? এইবিদ্রোহের বৈশিষ্ট্য। বিশ্লেষণ করাে।

 

 অথবা, নীল বিদ্রোহ কীভাবে নীলকরদের বিরুদ্ধে আঘাত হেনেছিল?

 

উত্তর ভূমিকা : প্রথম অংশ :

 

 নীল বিদ্রোহের কারণ : ১৮৫৭ খ্রিস্টাব্দের কাছাকাছি সময়ে যেসব গণআন্দোলন জাতীয় জাগরণে সর্বাধিক সাহায্য করেছিল তাদের মধ্যে নীল বিদ্রোহ (১৮৫৯-৬০ খ্রি.) অন্যতম।

 

• বিদ্রোহের কারণ : ইংরেজ নীলকরদের অমানুষিক অত্যাচারের বিরুদ্ধে সংঘটিত নীল বিদ্রোহের কারণগুলি হল

 

১) অলাভজনক নীলচাষ : ইউরােপীয় নীলকররা ধান বা পাট চাষের বদলে চাষিকে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে অলাভজনক নীলচাষে বাধ্য করলে নীলচাষি-নীলকর বিরােধ তীব্র হয়। 

 

২) দাদন প্রথা : নীলকররা নীলচাষিকে চাযের জন্য বিঘা প্রতি দু’টাকা দাদন বা অগ্রিম নিতে বাধ্য করে ও বলপূর্বক নীলচাষে। বাধ্য করে। একবার দাদন গ্রহণ করলে নীলচাষিদের দুর্দশার শে| থাকত না। 

 

৩)  নীলকরদের অত্যাচার : নীলকুঠির লাঠিয়ালরা অবাধ্য চাষিদের ওপর হামলা, তাদের ঘরবাড়ি জ্বালিয়ে দেওয়া, চাষির স্ত্রী-কন্যাদের অপহরণ ও লাঞ্ছনা, কৃষকদের গবাদি পশু আটকে রাখা ইত্যাদি নানা নির্যাতন চালাত। এই রকম অত্যাচার প্রায় দীর্ঘ পঞ্চাশ বছর ধরে চলেছিল।

 

| দ্বিতীয় অংশ : 

 

নীল বিদ্রোহের বৈশিষ্ট্য : 

 

 ১৮৫৯ খ্রিস্টাব্দের শেষ দিকে কৃয়নগরের কাছে চৌগাছা গ্রামে কৃষক বিদ্রোহ শুরু হয়। ১৮৬০ খ্রিস্টাব্দের মার্চ মাস থেকে বিদ্রোহের আগুন নদিয়া, যশােহর, বারাসত, পাবনা, রাজশাহী, মালদহ, ফরিদপুর পর্যন্ত বিস্তৃত অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়ে। প্রায় ৬০ লক্ষ কৃষক এই বিদ্রোহে যােগ দেয়। এই বিদ্রোহে যে বৈশিষ্ট্যগুলি লক্ষ করা যায়, সেগুলি হল—

 

 ১ ) কৃষকদের সংঘবদ্ধ প্রতিরােধ : অন্যান্য কৃষক আন্দোলনের তুলনায় নীলবিদ্রোহের তীব্রতা ছিল ব্যাপকতর। এই স্বতঃস্ফূর্ত বিদ্রোহ প্রসঙ্গে ক্যালকাটা রিভিউ’ পত্রিকা মন্তব্য করেছিল এটা একটা বিদ্রোহ—সমস্ত দেশই এতে যােগ দিয়েছে।

 

২) শিক্ষিত মধ্যবিত্তদের সমর্থন : শিশিরকুমার ঘােষ, গিরিশ ঘােষ, মনমােহন ঘােষ, কিশােরীচাদ মিত্র প্রমুখ শিক্ষিত মধ্যবিত্ত ব্যক্তিরা নীলবিদ্রোহকে সমর্থন করেন। হরিশচন্দ্র মুখােপাধ্যায়, দীনবন্ধু মিত্র, মাইকেল মধুসূদন দত্ত প্রমুখ একদিকে যেমন নীল চাষিদের মামলা-মােকদ্দমার খরচ বহন করতেন, অন্যদিকে তাদের পত্রপত্রিকার মাধ্যমে নীলকরদের অত্যাচারের কাহিনি জনসাধারণের কাছে তুলে ধরেন। 

 

৩) হিন্দু-মুসলিম ঐক্য : নীলবিদ্রোহ কোনােভাবেই সাম্প্রদায়িক আন্দোলন ছিল না। নিপীড়িত হিন্দু-মুসলমান কৃষক একযােগে নীলকরদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ায়।

 

৪। সংবাদপত্রের ইতিবাচক ভূমিকা : ‘গ্রামবার্তা প্রকাশিকা’, ‘ হিন্দু প্যাট্রিয়ট’, ‘সােমপ্রকাশ’ প্রভৃতি পত্রপত্রিকা নীলকরদের অত্যাচারের কাহিনি প্রকাশ করে নীল বিদ্রোহের ইতিবাচক জনমত গঠনে সহযােগিতা করে।

 

 

 

– অন্যান্য বৈশিষ্ট্য : এই বিদ্রোহ জমিদার ও মহাজনবিরােধী ছিল না নীলকর বিরােধী বিদ্রোহ।

 

প্রশ্নঃ।।  উনিশ শতকে নীল বিদ্রোহের কারণগুলি বর্ণনা করাে। সংক্ষেপে এর গুরুত্ব আলােচনা করাে।

 

 

 প্রথম অংশ : নীল বিদ্রোহের কারণ :

 

 উনবিংশ শতকেরদ্বিতীয়ার্ধে নীলচাষিদের ওপর নীলকর সাহেবদের অমানুষিক অত্যাচার ও নির্মম শশাষণের বিরুদ্ধে ১৮৫৯-৬০ খ্রিস্টাব্দে বাংলায় নীলচাষিদের সংঘবদ্ধ আন্দোলন নীলবিদ্রোহ নামে পরিচিত।

 

 

১ নীলচাষের পদ্ধতি : নীলকররা গরিব চাষিদের নিরক্ষরতার সুযােগ নিয়ে কম টাকা দাদন দিয়ে বেশি টাকার চুক্তি করে তাদের নীলচাষ করাতে বাধ্য করত।

 

২] নীলকর সাহেবদের অত্যাচার : কৃষকদের প্রতি নীলকরদের অত্যাচার, লুণ্ঠন, শােষণ, দৌরাত্ম্য, ব্যভিচার, লাম্পট্য ছিল এই বিদ্রোহের অন্যতম কারণ।

 

৩। নীলকরদের সরকারি সমর্থন :১৮৩৩ খ্রিস্টাব্দের সনদ আইনে শ্বেতাঙ্গদের জমি কেনার অধিকার, তারও আগে সরকারের দাদনি প্রথাকে সমর্থন, একাদশ আইন দ্বারা দাদন গ্রহণকারী কৃষকদের নীলচাষ করতে বাধ্য করা প্রভৃতি কারণে তীব্র জনরােষের বহিঃপ্রকাশ ঘটে।

 

 

৪ পঞ্চম আইন : ১৮৩০ খ্রিস্টাব্দে লর্ড বেন্টিঙ্কের শাসনকালে পঞম আইনে বলা হয়, দাদন নিয়ে নীলচাষ না করলে তা বেআইনি বলে গণ্য হবে এবং অপরাধীর জেল হবে।

 

 

৫)  অন্যান্য বিদ্রোহের প্রভাব :ফরাজি, ওয়াহাবি, সাঁওতাল, কোল বিদ্রোহীদের আদর্শ দ্বারা বহুলাংশে অনুপ্রাণিত হয়।

 

উপরিউক্ত নানা কারণে দিগম্বর বিশ্বাস, বিচরণ বিশ্বাস, বৈদ্যনাথ সর্দার, বিশ্বনাথ সর্দার, রহিম উল্লা, রফিক মণ্ডল, মহেশ

বন্দ্যোপাধ্যায় প্রমুখের নেতৃত্বে নীলকর সাহেবদের বিরুদ্ধে বাংলার অনিচ্ছুক নীলচাষিদের বিদ্রোহ সংঘটিত হয়।

 

নীল বিদ্রোহ মালদী (১৮৫৯-৬০ খ্রি.) পাবনা বিদ্রোহ (১৮৭০ খ্রি.) রাজশাহি টাকা নদিয়া যশােহর চব্বিশ পরগনা খুলনা।

 

 

দ্বিতীয় অংশ : 

 

নীল বিদ্রোহের গুরুত্ব : 

 

নীল বিদ্রোহের গুরুত্বগুলি হল—

 

১ সফল কৃষক আন্দোলন : ইতিপূর্বের কৃষক আন্দোলনগুলি আঞ্চলিক ভিত্তিতে সীমাবদ্ধ হলেও নীল বিদ্রোহ ছিল ব্যাপক আন্দোলন, কারণ এই বিদ্রোহে যােগদানকারী প্রায় ৬০ লক্ষ কৃষক শেষ পর্যন্ত নীলচাষ উচ্ছেদ করতে সমর্থ হয়।

 

২ নীল কমিশন গঠন : নীল বিদ্রোহের ব্যাপকতায় সরকার নীলচাষিদের অভিযােগের সত্যতা ও নীল বিদ্রোহের কারণ অনুসন্ধানের জন্য গঠন করে পাঁচ সদস্যবিশিষ্ট নীল কমিশন (৩১ মার্চ, ১৮৬০ খ্রি.)। এই কমিশন নীলকরদের অত্যাচার ও নীলচাষিদের অভিযােগকে সত্য ও যথার্থ বলে মেনে নেয়।

 

৩ নীলচাষ বন্ধ : নীলকররা রায়তের ইচ্ছার বিরুদ্ধে নীলচাষ করাতে পারবে না বলে নীল কমিশন যে বিধিবদ্ধ আইন তৈরি করেছিল তা চাষিদেরকে নীলচায় থেকে অব্যাহতি দেয়।

 

 

প্রশ্ন।। নীলবিদ্রোহে বাংলার মধ্যবিত্ত শ্রেণির ভূমিকা কী ছিল?

 

অথবা, নীলবিদ্রোহে শিক্ষিত বাঙালি সম্প্রদায়ের প্রতিক্রিয়া কি?

 

উত্তর) ভূমিকা : বাংলায় নীলবিদ্রোহের বৈশিষ্ট্যগুলির মধ্যে উল্লেখযােগ্য ছিল বাংলার মধ্যবিত্ত শ্রেণির একাংশের যােগদান ও নীলবিদ্রোহের প্রতি সমর্থন জ্ঞাপন।

 

: বুদ্ধিজীবি শ্রেণির প্রতিক্রিয়া : মধ্যবিত্ত বাঙালি বুদ্ধিজীবীদের মধ্যে যাঁরা নীল আন্দোলনকে সমর্থন জানান, তাদের মধ্যে (পরে অমৃতবাজার পত্রিকার সম্পাদক) শিশির কুমার ঘােষ ও হিন্দু প্যাট্রিয়ট পত্রিকার সম্পাদক হরিশচন্দ্র মুখােপাধ্যায়ের নাম সর্বাগ্রগণ্য।

 

 ১) হিন্দু প্যাট্রিয়ট : হরিশচন্দ্র মুখােপাধ্যায়ের ভবানীপুরের বসতবাড়িটি নীলচাষিদের আদালতে পরিণত হয়। তিনি নীলচাষিদের দুর্দশার কাহিনি তাঁর পত্রিকার পাতায় দিনের পর দিন প্রকাশ করতে থাকেন।

 

২ শিশির কুমার ঘােষ : গ্রামীণ সাংবাদিক শিশির কুমার গ্রামাঞ্চলে ঘুরে ঘুরে নীলচাষিদের জ্বলন্ত সংবাদ সংগ্রহ করেন। ব্যারিস্টার মনমােহন ঘােষ এই পত্রিকার মাধ্যমে নীলচাষিদের সমর্থন জানান। 

 

৩ খ্রিস্টান মিশনারি : ১৮৬০ সালে দীনবন্ধু মিত্র এই বিদ্রোহকে কেন্দ্র করে নীলদর্পণ’ নাটকটি রচনা করেন। এর ইংরেজি অনুবাদ ‘Indigo Planting Mirror’-এ ভারতহিতৈষী রেভারেন্ড জেক্স লঙের নাম প্রকাশিত হলে, বিচারে তাঁর ওপর হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। তাঁর এই জরিমানার টাকা মহাভারত’-এর বিখ্যাত অনুবাদক কালীপ্রসন্ন সিংহ আদালত প্রাঙ্গণেই মিটিয়ে দেন।

 

 ৪। আইনজীবীদের অংশগ্রহণ : বিশিষ্ট আইনজীবী শম্ভুনাথ পণ্ডিত, প্রসন্নকুমার ঠাকুর প্রমুখ নীলবিদ্রোহীদের পক্ষ নিয়ে ওকালতি করেছিলেন। তবে অধিকাংশ আইনজীবী নীল বিদ্রোহকে সমর্থন করেননি।

 

 

 প্রশ্ন ] বাংলায় নীল বিদ্রোহের কারণগুলি উল্লেখ করাে

 

উত্তর) ভূমিকা : উনবিংশ শতকের দ্বিতীয়ার্ধে নীলচাষিদের ওপর : নীলকর সাহেবদের অমানুষিক অত্যাচার ও নির্মম শােষণের বিরুতে ১৮৫৯-৬০ খ্রিস্টাব্দে বাংলায় নীলচাষিদের সংঘবদ্ধ আন্দোলন নীলবিদ্রোহ নামে পরিচিত।

 

 ১) নীলকর সাহেবদের অত্যাচার : কৃষকদের প্রতি নীলকরদের অত্যাচার, লুণ্ঠন, শােষণ, দৌরাত্ম্য, ব্যভিচার, লাম্পট্য ছিল এই বিদ্রোহের অন্যতম কারণ।

 

২)  নীলকরদের সরকারি সমর্থন : ১৮৩৩ খ্রিস্টাব্দের সন আইনে শ্বেতাঙ্গদের জমি কেনার অধিকার ও তারও আগে সরকারের দাদনি প্রথাকে সমর্থন, একাদশ আইন দ্বারা দাদন গ্রহণকারী কৃষকদের নীলচাষ করতে বাধ্য করা প্রভৃতি কারণে তার জনরােষের বহিঃপ্রকাশ ঘটে।

 

৩) নীলের কম দাম প্রদান : রায়তদের উৎপাদিত নীলের দাম দেওয়া হত ২ টাকা ৮ আনা অথচ সেই নীলের বাজার দর ছিল ১০ টাকা, অর্থাৎ প্রতি কেজি নীলে কৃষকদের ৭ টাকা ৮ আনা ঠকানাে হত।

 

 ৪। পঞম আইন : ১৮৩০ খ্রিস্টাব্দে লর্ড বেন্টিঙ্কের শাসনকালে পঞম আইনে বলা হয়, দাদন’ নিয়ে নীলচাষ না করলে ত বে-আইনি বলে গণ্য হবে এবং অপরাধীর জেল হবে।

 

৫) পক্ষপাতদুষ্ট বিচারব্যবস্থা : নীলকরদের বিরুদ্ধে সরকার আদালতে নালিশ করলেও শ্বেতাঙ্গ ম্যাজিস্ট্রেটরা স্ব-জাত্য শ্বেতাঙ্গ নীলকরদের প্রতি পক্ষপাত দেখাতেন এবং মফস্সনে ভারতীয় বিচারকরা শ্বেতাঙ্গ নীলকরদের বিচার করতে পারত না।

 

 

প্রশ্ন ।। নীলবিদ্রোহে হরিশচন্দ্র মুখােপাধ্যায়ের ভূমিকা কীরুপ ছিল? 

 

উঃ) নীল বিদ্রোহের সঙ্গে হিন্দু প্যাট্রিয়ট পত্রিকার সম্পাদক হরিশচন্দ্র মুখােপাধ্যায়ের সম্পর্ক ছিল খুব ঘনিষ্ঠ, কারণ—

 

প্রথমত, তিনি ছিলেন নীলচাষিদের প্রতি অত্যন্ত সহানুভূতিশীল।

 

 দ্বিতীয়ত, তিনি তার পত্রিকায় নিয়মিতভাবে নীলকরদের অত্যাচারের কাহিনি তুলে ধরে নীল বিদ্রোহের প্রতি শিক্ষিত মধ্যবিত্ত মানুষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছিলেন।

 

তৃতীয়ত, আর্থিক অবস্থা ভালাে না থাকা সত্ত্বেও তিনি নীলচাষিদের মামলা চালাবার জন্য যথাসাধ্য অর্থ ব্যয় করেন।

 

 প্রশ্ন ।।) নীলদর্পণ’ নাটক সম্পর্কে কী জান? অথবা, নীলদর্পণ নাটক বিখ্যাত কেন ?

 

উঃ  নীলদর্পণ’ নাটক বিখ্যাত, কারণ—

 

প্রথমত, দীনবন্ধু মিত্র রচিত ‘নীলদর্পণ’ নাটকে (১৮৬০ খ্রিস্টাব্দে ঢাকা থেকে প্রকাশিত) নীলকরদের অত্যাচারে একটি কৃষক পরিবারের ধ্বংস হয়ে যাওয়ার কাহিনি তুলে ধরা হয়েছে।

 

দ্বিতীয়ত, এই নাটকের ইংরেজি অনুবাদ করেন মাইকেল মধুসূদন দত্ত এবং এটি প্রকাশিত হয় পাদরি লং সাহেবের নামে।

 

তৃতীয়ত, এই নাটক নীলচাষিদের পক্ষে জনমত গড়ে তুলতে ভীষণভাবে সাহায্য করেছিল।

 

 

প্রশ্ন।।  নীলবিদ্রোহ কি সফল হয়েছিল?

 

উত্তর) নীলবিদ্রোহ সফল হয়েছিল, কারণ—

 

প্রথমত, নীলবিদ্রোহ শুরু হয়েছিল নীলচাষ বন্ধ করার দাবিতে। নীলবিদ্রোহের পরে নীলচাষের উচ্ছেদ ঘটেছিল, অর্থাৎ বাংলার চাষিদের দুর্দমনীয় মনােভাবের কাছে নীলকর সাহেবরা নীলচাষ বন্ধ করতে বাধ্য হয়েছিল।

 

দ্বিতীয়ত, নীলবিদ্রোহে নীলচাষিদের সমর্থনে বাংলার মধ্যবিত্ত শ্রেণি এগিয়ে এসেছিল ও জাতীয়তাবাদী ভাবধারার প্রসার ঘটাতে সক্ষম হয়েছিল।

 

তৃতীয়ত, নীলবিদ্রোহ বাংলায় ধর্ম নিরপেক্ষ আন্দোলন গড়ে তুলে বিদ্রোহকালে হিন্দু-মুসলিম ঐক্য প্রতিষ্ঠায় সফল হয়েছিল।

 

 

 প্রশ্ন ) নীলবিদ্রোহের গুরুত্ব কী ছিল?

 

উত্তর) নীলবিদ্রোহের গুরুত্বগুলি হল—

 

প্রথমত, নীল বিদ্রোহে কৃষক, জমিদার, শিক্ষিত মধ্যবিত্ত, হিন্দু-মুসলমান এমনকি খ্রিস্টান মিশনারিরাও অংশগ্রহণ করে এই বিদ্রোহকে সংঘবদ্ধ ধর্মনিরপেক্ষ গণআন্দোলনের রূপ প্রদান করে।

 

দ্বিতীয়ত, উপনিবেশবাদের বিরুদ্ধে এই আন্দোলন ছিল একটি স্বতঃস্ফূর্ত গণআন্দোলন, যা দেশের লােককে রাজনৈতিকভাবে সচেতন করেছিল।

 

তৃতীয়ত, এটি ছিল আসলে কৃষকদের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক অধিকারের সংগ্রাম।

 

প্রশ্ন) নীলবিদ্রোহের ফলাফল আলােচনা করাে।

 

 উত্তর) নীলবিদ্রোহের ফলে বাংলায় যে সমস্ত পরিবর্তন এসেছিল সেগুলির মধ্যে উল্লেখযােগ্য হল- 

(১) নীলবিদ্রোহের ফলে নীলচাষের উচ্ছেদ ঘটে; 

(২) নীলচাষ থেকে মূলধন সরিয়ে নিয়ে গিয়ে নীলকররা সেই অর্থ চা শিল্পে বিনিয়ােগ করেন; 

(৩) নীলকরদের তাড়িয়ে দিয়ে এদেশের সম্পন্ন ব্যক্তিরা সুদের মহাজনি ব্যাবসা শুরু করে; 

(8) দেশের লােকদের রাজনৈতিক সচেতনতা বৃদ্ধি পায়; এবং 

(৫) সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বৃদ্ধি পায়

 

 প্রশ্নঃ।। নীল কমিশন (ইন্ডিগাে কমিশন) কী ? 

 

উত্তর) ১৮৬০ খ্রিস্টাব্দের ৩১ মার্চ নীল কমিশন গঠিত হয়েছিল।

 

এই কমিশনের দিকগুলি হল—

 

প্রথমত, এই কমিশন গড়ে তােলার উদ্দেশ্য ছিল নীলচাষিদের অভিযােগ ও বিক্ষোভ সম্পর্কে তদন্ত করা।

 

দ্বিতীয়ত, সেটন কার, আর টেম্পল, রেভারেন্ড সেল, ফারগুসন এবং চন্দ্র মােহন চট্টোপাধ্যায় প্রমুখ পাঁচজন নীল কমিশনের সদস্য ছিলেন।

 

তৃতীয়ত, সরকারি সদস্যদের নিয়েই মূলত এই কমিশন গঠিত হলেও কমিশন নীলকরদের বিরুদ্ধে আনা অধিকাংশ অভিযােগ স্বীকার করে নিয়েছিল।

 

প্রশ্ন ।। নীল কমিশন (Indigo Commission) কী কী সুপারিশ করে?

 

উত্তর) নীল কমিশনের সুপারিশগুলি হল—(১) নীলকরদের ব্যাবসা মূলত ভ্রান্ত, কার্যত ক্ষতিকারক এবং উদ্দেশ্যগত বিচারে অনৈতিক এবং (২) নীলকরদের বিরুদ্ধে আনা অভিযােগগুলি সত্য। কমিশনের প্রতিবেদনে ধারাবাহিকভাবে নীলকরদের অত্যাচারের কাহিনি লিপিবদ্ধ হয়।

 

নীল কমিশনের রিপাের্টের ভিত্তিতে সরকার ঘােষণা করেন। যে, রায়তদের ইচ্ছার বিরুদ্ধে নীল চাষ করা যাবে না।

 

 

প্রশ্ন।।  নীলকররা নীলচাষিদের ওপর কীভাবে অত্যাচার করত তা সংক্ষেপে আলােচনা করাে। 

 

উত্তর) নীলকররা যেভাবে নীলচাষিদের ওপর অত্যাচার করত তা হল

 

প্রথমত, চাষিরা নীলচাষ করতে না চাইলে নীলকরদের লাঠিয়াল, পাইক, বরকন্দাজবাহিনী তাদের ধরে এনে কুঠিতে আটকে রেখে মারধাের করত।

 

দ্বিতীয়ত, চাষিদের ধান, তামাকের জমি নষ্ট করে দেওয়া হত, তাদের গােরুবাছুর কেড়ে নিয়ে কুঠিতে রেখে দিত। নীলচাষ না করলে চাষিদের চাবুক দিয়ে মারা হত। তৃতীয়ত, নীলচাষে অনিচ্ছুক কৃষকদের পরিবারের নারীদের অসম্মান করা হত।

 

 

প্রশ্নঃ) ভারতের প্রথম নীলকর কে ছিলেন?

 

উত্তর ভারতের প্রথম নীলকর ছিলেন ফরাসি বণিক লুই বােনার্ড।

 

 প্রশ্নঃ) কে ভারতে প্রথম নীল শিল্প গড়ে তােলেন ?

 

উত্তর ভারতে প্রথম নীল শিল্প গড়ে তােলেন ইংরেজ বণিক কার্ল ব্ল্যাম।

 

প্রশ্নঃ।। বাংলায় নীল চাষ মূলত কারা প্রবর্তন করেন?

 

 উত্তর) ইংরেজ বণিকরা বাংলায় নীলচাষ প্রবর্তন করেন।

 

 

 

উত্তর ১৮৩৩ সালের চার্টার আইনে নীলচাষে কোম্পানির অধিকার বিলুপ্ত হয়।

 

পান? 

 

প্রশ্নঃ ।।  কোন্ আইনে শ্বেতাঙ্গরা ভারতে জমি কেনার অধিকার

 

উত্তর) ১৮৩৩ খ্রিস্টাব্দের চার্টার আইনে শ্বেতাঙ্গরা ভারতে জমি কেনার অধিকার পান।

 

প্রশ্নঃ-  নীলচাষ ব্যবস্থায় কি কি প্রথা ছিল?

 

উত্তর) নীলচাষের জন্য দুধরনের পদ্ধতি ছিল। একটি হল – নিজ-আবাদী বা এলাকা চাষ। অন্যটি হল – রায়তি বা দাদনি চাষ।

 

প্রশ্নঃ) নীলচাষ না করলে চাষিদের কী করা হত?

 

উত্তর) নীলচাষ না করলে চাষিদের ঘরে আটকে রেখে প্রহার করা হত।

 

প্রশ্নঃ।।  *দাদন’ কথার অর্থ কী?

 

উত্তর) দাদন’ কথার অর্থ অগ্রিম।

 

প্রশ্নঃ।।  নীলকররা গ্রামে কিছু রাস্তাঘাট করেছিলেন কেন? 

 

 উত্তর) নীলকররা নিজেদের স্বার্থে গ্রামে কিছু রাস্তাঘাট করেছিলেন।

 

উত্তর) ‘দাদন’ নিলে কৃষকরা নীলকুঠিতে উৎপাদিত নীল জমা দিতে বাধ্য থাকত।

 

প্রশ্নঃ।। কাঠিয়া প্রথা’ কোথায় প্রবর্তিত হয়েছিল? 

 

উত্তর বিহারের চরণে তিন কাঠিয়া প্রথা প্রবর্তিত হয়েছিল।

 

প্রশ্নঃ।। নীল বিদ্রোহ করে প্রথম শুরু হয়?

 

 উত্তর) ১৮৫৯ খ্রিস্টাব্দে নীল বিদ্রোহ প্রথম শুরু হয়।

 

প্রশ্নঃ।। নীল বিদ্রোহ প্রথম কোথায় হয়?

 

 উত্তর) কয়নগরের চৌগাছা গ্রামে নীল বিদ্রোহ প্রথম হয়। 

 

প্রশ্নঃ।।) নীল বিদ্রোহে কৃষকদের প্রধান প্রতিপক্ষ কারা ছিলেন ? 

 

উত্তর) নীল বিদ্রোহে কৃষকদের প্রধান প্রতিপক্ষ ছিলেন নীলকররা।

 

প্রশ্নঃ।। নীল বিদ্রোহে চাষি ছাড়াও কারা অংশ নেন? 

 

উত্তর নীল বিদ্রোহে চাষি ছাড়াও ছােটো জমিদাররা, এমনকি কয়েকজন খ্রিস্টান মিশনারিও অংশ নেন।

 

প্রশ্নঃ।।  নীল বিদ্রোহের প্রথম শহিদ কে ছিলেন? 

 

উত্তর নীল বিদ্রোহের প্রথম শহিদ ছিলেন বিশ্বনাথ সর্দার । বিশে ডাকাত।

 

প্রশ্নঃ।।) স্যামুয়েল ফেডি কে ছিলেন?

 

 উত্তর স্যামুয়েল ফেডি ছিলেন নদিয়ার নীল কুঠিয়াল।

 

প্রশ্নঃ।। জেমস পিটার গ্রান্ট কে ছিলেন?

 

 উত্তর নীল বিদ্রোহের সময় বাংলার লেফটেন্যান্ট গভর্নর ছিলেন।

 

প্রশ্নঃ।।. নীল বিদ্রোহকালে বাংলার বেশিরভাগ জমিদার জোতদারর কাকে সমর্থন করেছিল?

 

উত্তর।। নীল বিদ্রোহকালে বাংলার বেশিরভাগ জমিদার জোতদারর নীল বিদ্রোহীদের সমর্থন করেছিল।

 

প্রশ্নঃ।।) বাংলাদেশের ওয়াট-টাইলার’ কাদের বলা হত?

 

উত্তর) দিগম্বর বিশ্বাস ও বিয়ুচরণ বিশ্বাসদের বাংলাদেশে ‘ওয়াট-টাইলার’ বলা হত।

নীল বিদ্রোহের ছোট প্রশ্ন

 

প্রশ্নঃ।। ‘ হিন্দু প্যাট্রিয়ট পত্রিকার সম্পাদক কে ছিলেন?

 

 উত্তর ‘হিন্দু প্যাট্রিয়ট পত্রিকার সম্পাদক ছিলেন হরিশচন্ন মুখােপাধ্যায়।

 

প্রশ্নঃ।। নীল বিদ্রোহের কাহিনি কোন্ কোন্ পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছিল? অথবা, কলকাতার কোন্ কোন্ সংবাদপত্র  বিদ্রোহকে সমর্থন করেছিল?

 

উত্তর) নীল বিদ্রোহের কাহিনি ‘ হিন্দু প্যাট্রিয়ট’, সমাচার চন্দ্রিক ‘সমাচার দর্পণ ও তত্ত্ববােধিনী পত্রিকায় প্রকাশি: হয়েছিল।

 

প্রশ্নঃ।  নীলদর্পণ’ নাটকটি কার লেখা? 

 

উত্তর নীলদর্পণ’ নাটকটি দীনবন্ধু মিত্রের লেখা। 

 

প্রশ্নঃ।। নীলদর্পণ’ নাটকের ইংরেজি অনুবাদ কে প্রকাশ করেন।

 

 উত্তর) নীলদর্পণ’ নাটকের ইংরেজি অনুবাদ প্রকাশ করেন জেমস লং সাহেব। 

 

 প্রশ্নঃ।।  দাদন’ নিলে কৃষকরা কীসে বাধ্য থাকত?

 

উত্তর) ‘দাদন’ নিলে কৃষকরা নীলকুঠিতে উৎপাদিত নীল জমা দিতে বাধ্য থাকত।

 

প্রশ্নঃ।।  নীল বিদ্রোহের নেতৃত্ব কারা দিয়েছিলেন?

 

উত্তর) মহেশ বন্দ্যোপাধ্যায়, কাদের মােল্লা, রফিক মণ্ডল, মেদ সর্দার, বৈদ্যনাথ সর্দার, বিশ্বনাথ সর্দার, দিগম্বর বিশ্ব বিষ্ণুচরণ বিশ্বাস প্রমুখ নীল বিদ্রোহের দিয়েছিলো

 

প্রশ্নঃ।। নীলচাষিদের অভিযােগ খতিয়ে দেখতে যে কমিশনটি হয় তার নাম কী?

 

 

উত্তর) নীলচাষিদের অভিযােগ খতিয়ে দেখতে ‘ইন্ডিগাে কমি” বা নীল কমিশন গঠিত হয়।

 

প্রশ্নঃ ) নীল কমিশনের একজন সদস্যের নাম লেখাে। 

 

উত্তর) নীল কমিশনের একজন সদস্যের নাম হল সেটন 

 

প্রশ্নঃ।। ১৮৬৮ খ্রিস্টাব্দের অষ্টম আইনে কী বলা হয় ?

 

উত্তর) ১৮৬৮ খ্রিস্টাব্দের অষ্টম আইনে নীল চুক্তি আইন র হয় এবং বলা হয় নীলচাষ সম্পূর্ণ চাষিদের ইচ্ছার ব্যাপার।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *