দাম গল্পের প্রশ্ন উত্তর নবম শ্রেণি বাংলা টেকজ সঞ্জীব

 

দাম গল্পের প্রশ্ন উত্তর নবম শ্রেণি বাংলা টেকজ সঞ্জীব

দাম গল্পের গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নোত্তর গুলি আলোচনা করা হয়েছে

দাম গল্পের বড় প্রশ্ন উত্তর

 

প্রশ্ন  স্কুলে কী বিভীষিকাই যে ছিলেন ভদ্রলােক।ভদ্রলােক স্কুলে যে বিভীষিকা ছিলেন এই মন্তব্যের সপক্ষে বর্ণিত ঘটনার কথা লেখাে। 

 

উত্তর: 

  ছাত্রমহলে অঙ্কের শিক্ষক ভদ্রলােকটি ছিলেন মূর্তিমান বিভীষিকা। অথচ অঙ্কে ছিল তাঁর আশ্চর্য মাথা। ছাত্ররা ঘন্টার পর ঘণ্টা ধরে চেষ্টা করে জটিল অঙ্কের সমাধান করতে পারত না। তিনি একবার চোখ বুলিয়েই ব্ল্যাকবাের্ডে গিয়ে অঙ্কটি কষে ছবির মতাে সাজিয়ে দিতেন। পৃথিবীর সব অঙ্কই যেন তাঁর মুখস্থ। ছাত্রদের মনে হতাে ব্ল্যাকবাের্ডে অঙ্কটা যেন কষা আছে। তাদের কাছে অক্ষরগুলি অদৃশ্য। কিন্তু শিক্ষক মশাইয়ের কাছে তা যেন দৃশ্যমান। তিনি যেন অক্ষরগুলির ওপর খড়ি বুলিয়ে যাচ্ছেন, অকে তার এমনই পারদর্শিতা।

দাম-গল্পের-প্রশ্ন-উত্তর-নবম-শ্রেণি-বাংলা-টেকজ-সঞ্জীব

 

অঙ্গে, যার একশাে পাওয়ার মতো পাকাপােক্ত তারাও মাস্টারমশাইয়ের ভয়ে তটস্থ থাকত। আর অঙ্কে কাঁচা, তাদের দুরবস্থা ছিল কল্পনা করা যায় না। মাস্টারমশাইয়ের প্রকাণ্ড হাতের প্রচণ্ড চড়চাপড় ছিল তাদের কপালে। কান্না দূরের কথা চোখে একফোঁটা জল দেখলে হুংকারে ক্লাস ফাটার জোগাড় হতাে। পুরুষ মানুষ হয়ে অঙ্ক না পারার অক্ষমতার সঙ্গে কাঁদার অপরাধ যােগ হওয়ায় তার পা ধরে স্কুলের পুকুরে ছুড়ে ফেলার শাসানি শুনতে হতাে। তিনি ছুড়ে ফেলতে পারেন, অসম্ভব মনে হতাে না। পুরুষ মানুষ হয়ে অক পারা তাঁর কাছে ছিল কল্পনাতীত অঘটন। প্লেটোর দোরগােড়ায় নাকি লেখা ছিল অঙ্ক না জানলে প্রবেশ নিষেধ। স্বর্গের প্রবেশদ্বারেও নাকি একই কথা লেখা আছে। ছাত্রেরা এসবে কান দিত না। তাদের চিন্তা ছিল কী করে অঙ্ক আর অঙ্কের শিক্ষকের কাছ থেকে নিরাপদ দূরত্বে থাকা যায়। গল্পের কথক সুকুমার ম্যাট্রিকুলেশন পাস করে অঙ্ক থেকে রেহাই পান। কিন্তু স্বপ্নে দেখা মাস্টারমশাইয়ের আতঙ্ক থেকে রেহাই পাননি। 1

 

প্রশ্ন  একদিন একটি পত্রিকার পক্ষ থেকে ফরমাশ এল, আমার ছেলেবেলার গল্প শােনাতে হবে। গল্পকথক পত্রিকার ফরমাশ কীভাবে পালন করলেন লেখাে। 

 

উত্তর :  গল্পকথক তখন কলেজে বাংলা বিষয়ে অধ্যাপনা করছেন। এক পত্রিকা কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে হুকুম এল তাঁকে ছেলেবেলার গল্প শােনাতে হবে। নতুন লেখকের ছেলেবেলার গল্প শােনার কৌতূহল পাঠকের থাকার কথা নয়। তা ছাড়া তাঁর জীবনে এমন স্মরণীয় ঘটনা ঘটেনি যা আসর বসিয়ে লােককে শােনানাে যাবে। 

 তবে তাঁর পক্ষে একটা সান্ত্বনার বার্তা ছিল। সাহিত্যের নামকরা কেউ পত্রিকায় লিখছেন না। সেজন্য গল্পকথক ভাবলেন নির্ভয়ে লিখতে পারেন। আরও জানলেন যে, পত্রিকার পাঠক হলেন পত্রিকার কর্তৃপক্ষ নিজেরা। সেজন্য গল্পকথকের আত্মকথন স্পর্ধার কারণ হবে না। তিনি কাগজকলম নিয়ে লিখতে বসলেন। অঙ্কের মাস্টারমশাইয়ের কথাই তাঁর মনে পড়ল। তিনি তাঁকে নিয়েই গল্প লিখলেন। অবশ্য বাস্তবের সঙ্গে কল্পনার খাদ মিশিয়ে গল্প গড়ে উঠল।

  গল্পের মধ্যে কিছু সদুপদেশ বর্ষণ করলেন। শাসনতাড়ন করে কাউকে শেখানাে যায় না। গাধা পিটিয়ে ঘােড়া করতে গিয়ে গাধা মরে এ কথাও গল্পে লিখলেন। গল্পকথক নিজেই তার উৎকৃষ্ট উদাহরণ তাও স্বীকার করলেন। পত্রিকার কর্তৃপক্ষ পত্রিকায় গল্পটি প্রকাশ হওয়ায় খুশি হয়ে লেখক তথা গল্পকথককে দশ টাকা দক্ষিণা স্বরূপ দেন । তিনি ভাবেন যে এটুকুই মাস্টারমশাইয়ের কাছ থেকে লাভের দরুন নগদ পাওনা।

দাম গল্পের প্রশ্ন উত্তর

প্রশ্ন   মাস্টাৱমশাই পকেট থেকে শতছি জীর্ণ পত্রিকাটি বেৱ কৱাৱ পৱ ঘটনাপ্রবাহ বর্ণনা কর

 

উত্তর : 

   প্রখ্যাত সাহিত্যিক নারায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়ের ‘দাম’ গল্পের অঙ্কের মাস্টারমশাই অন্যতম প্রধান চরিত্র। তাঁর সঙ্গে তাঁর ছাত্র সুকুমারের সাক্ষাৎ ও সাক্ষাৎ পরবর্তী কথাবার্তার মধ্যে মাস্টারমশাই পকেট থেকে একটি শতচ্ছিন্ন জীর্ণ পত্রিকা বের করেন। অনেকদিন আগে অধ্যাপক সুকুমার এক পত্রিকা কর্তৃপক্ষের ফরমাশ রক্ষা করার জন্য তাঁর ছেলেবেলার শিক্ষক এই মাস্টারমশাইকে নিয়ে একটি গল্প লিখেছিলেন। 

 পত্রিকায় গল্পটি বেরিয়েছিল। সেজন্য লেখক সুকুমার নগদ দশটি টাকা দক্ষিণাও পেয়েছিলেন। সেই পত্রিকার একটি কপি মাস্টারমশাইয়ের হাতের শতচ্ছিন্ন পত্রিকা। বহু লােকের পাঠের ফলে শতচ্ছিন্ন। পত্রিকায় মাস্টারমশাইকে নিয়ে গল্পটি লেখায় মাস্টারমশাই অত্যন্ত খুশি। তিনি মনে করেন, তাঁর ছাত্র তাঁকে অমর করেছে। তাঁর শাসনতাড়ন করে শিক্ষা দেওয়ার পদ্ধতির অসারতা ও ব্যর্থতা নিয়ে সুকুমার লিখেছে। 

 সে-সত্যতা তিনি স্বীকার করে নিয়েছেন। অন্যায়ভাবে শিক্ষা দেওয়ার ভুল শুধরে দেওয়ার অধিকার ছাত্রের আছে। তিনি তা মনে করেন। কারণ, ছাত্র সন্তানতুল্য। সন্তানের অধিকার থাকলে ছাত্রেরও আছে। মাস্টারমশাই তাই সানন্দে সুকুমারকে একখানা চিঠি | লিখেছিলেন। কিন্তু চিঠি পাঠানাের সাহস পাননি। ভেবেছিলেন তারা তাে এখন আর ছােটোটি নেই। বড়াে হয়েছে। কী মনে নেবে এই ভেবে পাঠানাে থেকে বিরত থেকেছেন। তারপর মাস্টারমশাইয়ের গলা থেকে আর স্বর বেরােয়নি। আবছা আলােয় সুকুমার দেখেছে মাস্টারমশাইয়ের চোখে জলের ধারা। 

 

 সাহিত্যিকমাত্রই সূক্ষ্ম অনুভূতিশীল ও দরদি চিত্ত। সুকুমারের চোখের সামনে খুলে যায় কঠিন-কঠোর বিভীষিকাময় মানুষটির অন্তর্জগৎ। তখনই সুকুমারের মনে হয় তিনি যেন স্নেহ-মমতা-ক্ষমার এক মহাসমুদ্রের ধারে এসে দাঁড়িয়েছেন। অর্থ দিয়ে, সম্পদ দিয়ে, ঐশ্বর্য দিয়ে যার অসীমতাকে পরিমাপ করা যায় না। অথচ সুকুমারের দিক থেকে অনুতাপ ও অনুশােচনার বিষয় হলাে ওই মানুষটিকে মাত্র দশ টাকার বিনিময় মূল্যে তিনি বিক্রি করেছেন। এই অপরাধ ও লজ্জা রাখার ঠাই তাঁর নেই।

 

দাম গল্পের প্রশ্নোত্তর

 

প্রশ্ন  ‘অহেতুক তাড়না করে কাউকে শিক্ষা দেওয়া যায় না, গাধা পিটিয়ে ঘােড়া করতে গেলে গাধাটাই পঞ্চত্ব পায়।-উৎস ও প্রসঙ্গ উল্লেখ কৱে উদ্ধৃতাংশেৱ তাৎপর্য বুঝিয়ে দাও। 

 

উৎস : আলােচ্য উদ্ধৃতিটি কথাসাহিত্যিক নারায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়ের ‘দাম’ গল্প থেকে উদ্ধৃত।

 

প্রসঙ্গ : স্কুলের অঙ্কের মাস্টারমশাই ছিলেন যেন মূর্তিমান বিভীষিকা। অঙ্ক না পারার কারণে তাঁর প্রকাণ্ড হাতের প্রচণ্ড চড় খেয়ে কাবু হওয়ার ভয়ে ছাত্ররা সিঁটিয়ে থাকত। অঙ্কে যারা কাঁচা ছিল তারাই কেবল নয়, যারা অঙ্কে একশােয় একশাে পায় তারাও তটস্থ থাকত। মাস্টারমশাই অঙ্কে সুপণ্ডিত ছিলেন। যেকোনাে অঙ্ক একবার দেখেই ব্ল্যাকবাের্ডে কষে ছবির মতাে সাজিয়ে দিতেন। 

 কিন্তু শাসনতাড়ন করে শেখানােই ছিল তাঁর পদ্ধতি। তিনি মনে করতেন পুরুষ মানুষ হয়ে অঙ্ক কষতে না পারা অঘটন। তা কল্পনার অতীত। কাজেই অঙ্ক কষতে অক্ষম কেউ মাস্টারমশাইয়ের হাতে মার খেয়ে কাঁদবে বা চোখের জল ফেলবে, তারও উপায় ছিল না। চোখে জল দেখলেই হুংকার ছেড়ে ক্লাস ফাটিয়ে শাসিয়ে উঠতেন। বলতেন পা ধরে স্কুলের পুকুরে ছুড়ে ফেলে দেবেন।

দাম গল্পের প্রশ্ন উত্তর

তাৎপর্য বিশ্লেষণ : এ ধরনের শেখানাের পদ্ধতি ভুল। ছাত্রদের ওপর অহেতুক তাড়ন-পীড়ন অন্যায়। কলেজের অধ্যাপক হয়ে মাস্টারমশাইয়ের অন্যতম ছাত্র সুকুমার মাস্টারমশাইকে নিয়ে একটি গল্প লেখেন ল্পের অন্যতম উল্লেখ্য বিষয় ছিল, মাস্টারমশাইয়ের ভুল ও অন্যায় শিক্ষাদান পদ্ধতি। সুকুমার তাঁর জীবনের ভীতিপ্রদ অভিজ্ঞতা থেকে বিষয়টির উল্লেখ্য করেন। বিষয়টি বােঝানাের জন্য তিনি একটি সুন্দর দৃষ্টান্ত উপস্থাপন করেছেন।

  গাধা পিটিয়ে ঘােড়া করার একটি প্রবচন আছে। গাধার শারীরিক গঠন ও স্বভাবপ্রকৃতি ঘােড়ার শারীরিক গঠন ও স্বভাবপ্রকৃতি থেকে পৃথক। প্রকৃতপক্ষে প্রহার করে গাধার শারীরিক গঠন ও স্বভাবপ্রকৃতির পরিবর্তন ঘটিয়ে ঘােড়া করা একেবারে অসম্ভব। সেরকম চেষ্টা ভ্রান্ত ও অন্যায়। বেশি প্রহারে গাধার মৃত্যুও হতে পারে। শিক্ষার্থীর ক্ষেত্রেও অহেতুক পীড়ন-তাড়ন বিষয়ের প্রতি ভীতির সঞ্চার করে। শিক্ষার্থী ওই বিষয়ে শিক্ষালাভ থেকে দূরে সরে যায়। তার এই ক্ষতি কোনদিন পূরণ হয়না।

 

দাম গল্পের সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন উত্তর

দাম গল্পের প্রশ্ন উত্তর

প্রশ্ন  একটা ভয়ের মৃদু শিহরণ আমার বুকের ভিতর দিয়ে বয়ে গেল ।প্রসঙ্গ উল্লেখ করে ভয়ের কারণ বিশ্লেষণ করাে।

 

উত্তর : গল্পকার নারায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়ের লেখা ‘দাম’ গল্পের কথক সুকুমার বাংলাদেশের এক প্রান্তের কলেজে আতিথ্য নিয়ে বক্তৃতা করতে আসেন। বক্তৃতা দেওয়ার পরে সন্ধ্যার অন্ধকারে এক বৃদ্ধের ডাকে কলেজের মাঠে দেখা করতে আসেন। সেখানে আচমকা সুকুমারের ডাকে তিনি চমকে ওঠেন। পরিচিত কণ্ঠের ডাকে তার মন অদ্ভুতভাবে দুলে ওঠে। স্মৃতির অন্ধকার থেকে একটা ভয়ের মৃদু শিহরণ তার বুকের ভিতর দিয়ে বয়ে যায় । আসলে তাঁর বাল্যের অঙ্কের শিক্ষকের মৃদু শিহরণ তার বুকের ভিতর দিয়ে বয়ে যায়। আসলে তাঁর বাল্যের অঙ্কের শিক্ষকের ভীতি তাঁর মনের গভীরে গা ঢেকে ছিল। তা চেতনার মধ্যে এসে শিহরণ জাগিয়ে তােলে।

 

দাম গল্পের ব্যাখ্যাভিত্তিক সংক্ষিপ্ত উত্তরধর্মী প্রশ্নোত্তর

 

 

প্রশ্ন  স্কুলে কী বিভীষিকাই যে ছিলেন ভদ্রলােক স্কুলে বিভীষিকা ছিলেন কেন ?

 

 

উত্তর ; ভদ্রলােক হলেন স্কুলের অঙ্কের মাস্টারমশাই। অঙ্কে তাঁর আশ্চর্য মাথা ছিল। যে-কোনাে জটিল অঙ্ক একবার দেখেই করে দিতেন। পৃথিবীর সব অঙ্ক যেন তাঁর মুখস্থ ছিল। অঙ্কে একশাে পাওয়া ছেলেরাও তাঁর ভয়ে তটস্থ থাকত। যারা অঙ্কে কাঁচা ছিল, তারা তাঁর প্রকাণ্ড হাতের প্রচণ্ড চড় খেয়ে কাবু হতাে। কেঁদে চোখের জল ফেলা চলত না। তাহলে তাঁর ক্লাস ফাটানাে হুংকার শােনা যেত। পুরুষ মানুষ হয়ে অঙ্ক না পারা তাঁর কাছে লজ্জার ছিল। এমনি ছিলেন বিভীষিকা।

 

প্রশ্ন  ‘তাদের অবস্থা সহজেই কল্পনা করা যেতে পারে।’—তাদের বলতে কাদের কথা বলা হয়েছে? তাদেৱ অবস্থা কী হতাে? 

 

উত্তর : যে ছাত্রেরা অঙ্কে টেনেটুনে কুড়ি ওঠাতে চাইত তাদের  কথা বলা হয়েছে।

 

অঙ্কের মাস্টারমশাইয়ের প্রকাণ্ড হাতের প্রচণ্ড চড় খেয়ে মাথা ঘুরে যেত, কিন্তু কাঁদবার উপায় ছিল না। চোখে জল দেখলেই ২ মাস্টারমশাইয়ের হুঙ্কার শােনা যেত। বলতেন পুরুষ মানুষ হয়ে অঙ্ক পারিস নে। লজ্জা করে না। পা ধরে স্কুলের পুকুরে ছুড়ে ফেলে দেওয়ার ভয় দেখাতেন।

 

প্রশ্ন  ‘লক্ষ যােজন দূরে থাকাই আমরা নিরাপদ বােধ করতুম।’-কাদেৱ কথা বলা হয়েছে? তঁাৱা কাৱ কাছ থেকে দূরে থাকতেন? 

 

 উত্তর : স্কুল জীবনে অঙ্ক না-পারা ছাত্রদের কথা বলা হয়েছে।

 

গ্রিক দার্শনিক প্লেটো কিংবা লক্ষ যােজন দূরে অবস্থিত স্বর্গ নিয়ে ছাত্ররা ভাবতেন না। অঙ্ক পারা, না-পারা ক্ষমতার সঙ্গে প্লেটো কিংবা স্বর্গের সম্পর্ক ছিল তাঁদের কাছে অবাস্তব। সেজন্য ওই দুই থেকে তারা নিরাপদ দূরত্বে থাকতেন।

 

প্রশ্ন  ‘সেই স্বর্গের চাইতে লক্ষ যােজন দূরে থাকাই আমরা নিরাপদ বােধ করতুম।’—কী প্রসঙ্গে ছাত্রেৱা এ কথা ভাবতেন? 

 

উতর; পুরুষ মানুষ হয়ে অঙ্ক না-পারা মাস্টারমশাইয়ের কাছে ছিল কল্পনার অতীত অঘটন। তখন তিনি বলতেন, প্লেটোর দোরগােড়ায় নাকি লেখা ছিল অঙ্ক না জানলে ভিতরে প্রবেশ নিষেধ। স্বর্গের দোরগােড়ায় নাকি একই কথা লেখা আছে। প্লেটোর অঙ্ক-না-পারা ছাত্রেরা কোনােদিন এ নিয়ে মাথা ঘামাত না। আর স্বর্গ লক্ষ যােজন দূরে অবস্থিত। কাজেই ওসব থেকে দূরে থাকাই তাঁরা নিরাপদ মনে করতেন। এই ছিল উদ্ধৃতির প্রসঙ্গ।

 

প্রশ্ন  ‘কিন্তু অঙ্কের সেই বিভীষিকা মন থেকে গেল না।’-বক্তা কে? তিনি এ কথা বলেছেন কেন?

 

উত্তর; এই উক্তির বক্তা ‘দাম’ গল্পের কথক।

 

তিনি এ কথা বলেছেন, কারণ তাঁর স্কুলজীবনে অঙ্কের মাস্টারমশাই ছিলেন তাঁদের কাছে বিভীষিকা। গল্পকথক ম্যাট্রিকুলেশন পাস করে অঙ্ক থেকে রেহাই পান। কিন্তু তাঁর মনে অঙ্কের মাস্টারমশাইকে নিয়ে ভীতি থেকে গেছে। সেজন্য এমএ পাস করার পরেও মাস্টারমশাইকে নিয়ে স্বপ্ন দেখেন। পরীক্ষার লাস্ট বেল পড়ার পরেও একটাও অঙ্ক মিলছে না। মাস্টারমশাই গার্ড দিচ্ছেন। তিনি গল্পকথকের সামনে এসে দাঁড়িয়েছেন। তাঁর দুচোখ থেকে আগুন ঝরছে। দাঁতে দাঁত ঘষছেন। এই ভীতি ও বিভীষিকা গল্পকথকের মনে থেকে গেছে।

প্রশ্ন এখন আর আমাকে স্কুলে অঙ্ক কষতে হয় ,—কখন এ কথা ভাবছেন? তখন কর্মজীবনে তিনি কী করছেন? 

 

উত্তর : গল্পকথক অঙ্কের মাস্টারমশাইকে নিয়ে স্বপ্ন দেখছিলেন। মাথার ওপর পাখা ঘুরতে থাকা সত্ত্বেও তিনি ঘামে স্নান করে জেগে উঠেন। চোখ মেলে দেখেন তাঁর চেনা ঘর। তাঁর পড়ার টেবিল। টেবিলে বইপত্রের স্থূপ। তখন ভয় ভেঙে আশ্বস্ত হয়ে তৃপ্তির সঙ্গে ভাবেন উদ্ধৃত অংশটি।

 

গল্পকথক তখন কর্মজীবনে কলেজে বাংলার অধ্যাপক।

প্রশ্ন ‘ওর মনেৱও বয়স বেড়েছে বলে। -বাৱ এমন মনে হয়েছে কেন?

 

উত্তর : এই উক্তির বক্তা হলেন গল্পকার নারায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়ের লেখা ‘দাম’ গল্পের কথক অধ্যাপক সুকুমার। সুকুমার বাংলাদেশের এক প্রান্তের কলেজের ডাকে আতিথ্য নিয়ে বক্তৃতা করেন। তাঁর বক্তৃতায় শ্রোতারা মুগ্ধ হয়ে প্রশংসায় পঞ্চমুখ হন। সুকুমারের ছেলেবেলার অঙ্কের শিক্ষকমশায় ক্ষুরধার বুদ্ধিমান মানুষ। তিনিও প্রশংসা করেন অথচ সুকুমার নিজেই জানেন তার বক্তৃতা কতখানি অন্তঃসারশূন্য পা ফানুস। তখন সুকুমারের মনে হয় তার অঙ্কের শিক্ষকমশায়ের বয়স বাড়ার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে শরীর ও মনের বয়সও বেড়েছে।

 

প্রশ্ন   আমাসের মতো নগণের পক্ষে ততই –কত মন্তব্য? ততই সুখাবহ বলা হয়েছে

 

উত্তর : উন্বত মন্তব্য হলাে গল্পকার নারায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়ের লখা ‘দাম’ গল্পের কথক সুকুমারের সুকুমার অধ্যাপক, নতুন লেখক বাংলাদেশের এক প্রান্তের একটি কলেজ থেকে বার্ষিক উৎসবে আতিথ্য নিয়ে বক্তৃতা করার ডাক পান। সুকুমারের অভিজ্ঞতা হলাে কলকাতা থেকে দূরে এ ধরনের ডাক ও সংবর্ধনা পাওয়া রাজকীয় সম্মানের তুল্য। কলকাতা থেকে দূরত্ব আরও যত বাড়ে অধ্যাপক সুকুমারের মতে তাঁদের মতাে নগণের পক্ষে তত সুখাবহ হয়।

 

প্রশ্ন  মুহূর্তে আমার জিভ শুকিয়ে যাবে আমার বলেতে কার? তার জিভ শুকিয়ে যাওয়ার কারণ কী?

 

উত্তর : আমার’ বলতে গল্পকার নারায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়ের লেখা দাম’ গল্পের কথক অধ্যাপক সুকুমারের। তাঁর লেখা বাল্যস্মৃতি গল্প তাঁর বাল্যের ভয়ংকর বিভীষিকা অঙ্কের শিক্ষকমশায়কে নিয়ে লেখা। সুকুমার গল্পে শিক্ষকমশায়ের প্রচন্ড প্রহার করে অঙ্ক শেখানাের পদ্ধতির সমালােচনা করেছেন। শিক্ষকমশায়ের মুখে সেই গল্পের প্রশংসা শুনে লজ্জায় ও দুঃখে তাঁর মনে হয় মুহূর্তে তাঁর জিভ যেন শুকিয়ে কাঠ হয়ে যাচ্ছে।

 

প্রশ্ন  আমার ছাত্র আমাকে অমর করে দিয়েছে। -বক্তা কে? এই উক্তিতে তার মানসিকতার পরিচয় দাও।

 

উত্তর : বস্তা হলেন গল্পকথক সুকুমারের ছেলেবেলার অঙ্কের মাস্টারমশাই।

 

। মাস্টারমশাই মনে করেন সাহিত্য কালজয়ী। যুগ যুগ ধরে পাঠকের মধ্যে সাহিত্যিকের রচনা বেঁচে থাকে। এভাবে লেখক বা কবির রচনা অমরত্ব পায়। মাস্টারমশাইয়ের বিশ্বাস তার ছাত্র সুকুমারের রচনাও বেঁচে থাকবে অমরতার অস্তিত্ব নিয়ে। আর সেজন্য তাঁর লেখা গল্পের চরিত্র হয়ে মাস্টারমশাই পাবেন অমরত্ব। এই মানসিকতার প্রকাশ হয়েছে তাঁর উক্তিতে।

 

প্রশ্ন  এ অভিজ্ঞতা আগেও হয়েছে।-এ অভিজ্ঞতা কার? আগেও হয়েছে বলার কারণ কী?

 

উত্তর: এ অভিজ্ঞতা গল্পকথক সুকুমারের। 

 

বক্তৃতার শেষে বক্তৃতার প্রশংসায় তৃপ্ত হয়ে গল্পকথক সুকুমার যখন চায়ের পেয়ালায় চুমুক দিয়েছেন তখন একটি ছেলে এসে খবর দেয় এক ভদ্রলােক সুকুমারের সঙ্গে দেখা করতে চান। কিন্তু ভিতরে আসবেন না, বাইরের মাঠে দাঁড়িয়ে আছেন। তখনই সুকুমারের মনে পড়ে যায় অতীতের এরকম এক ঘটনার অভিজ্ঞতা। বাইরে দাঁড়িয়ে থেকে তাঁর বক্তৃতায় অভিভূত হয়ে জৈনক ব্যক্তি জানিয়েছিলেন অভিনন্দন এই কারণে আগেও কথাটি বলা হয়েছে।

 

প্রশ্নঃ ‘বাইৱে মাঠে দাঁড়িয়ে রয়েছেন।—কে দাড়িয়ে  রয়েছেন ও কেন? 

 

উত্তর : বাইরে মাঠে দাঁড়িয়ে রয়েছেন গল্পের সুকুমারবাবুর ছেলেবেলার অঙ্কের মাস্টারমশাই।

 

মাস্টারমশাই বৃদ্ধ হয়েছেন। এখন কুঁজো লম্বা চেহারা, মাথায় পাকা সাদা চুল। ঘরের বাইরে বেরােন না। ছাত্র সুকুমার অধ্যাপক হয়েছেন। লেখালেখি করেন। তাঁকে নিয়ে গল্প লিখেছেন। সেই সুকুমার কলেজের বার্ষিক উৎসবে বক্তৃতা করতে এসেছে শুনে তিনি তাঁর সঙ্গে দেখা করতে এসেছেন একাকী নিরিবিলিতে। তাই বাইরে মাঠে একা দাঁড়িয়ে আছেন সুকুমারের সঙ্গে দেখা করার উদ্দেশ্যে।

 

 

প্রশ্ন  ‘আচ্ছা চলাে, আমি যাচ্ছি ।বক্তা কোথায় গেলেন? গিয়ে কার সঙ্গে কীভাবে সাক্ষাৎ হলাে? 

 

. উত্তর : বক্তা গল্পকথক হলের বাইরে ছােটো একটা মাঠে গেলেন।

 

মাঠে তখন তরল অন্ধকার। সভার অত আলাে থেকে বেরিয়ে এসে প্রথমে কিছু দেখতে পাচ্ছিলেন না। অন্ধকারে চোখ সয়ে যাওয়ার পর দেখলেন একজন কুঁজো লম্বা চেহারার মানুষ। মাথায় সাদা-পাকা চুল। গল্পকথকের নাম সুকুমার। তাঁর নাম ধরে ডাকায় গল্পকথক চমকে গেলেন। তাঁর আশ্চর্য গলার স্বর ভয়-আশ্রিত স্মৃতি থেকে জানান দিল তিনি গল্পকথকের ছেলেবেলার অঙ্কের মাস্টারমশাই। এভাবে তাঁর সঙ্গে সাক্ষাৎ হলাে গল্পকথকের।

 

প্রশ্ন ‘খুব ভালাে বলেছ সুকুমাৱ, খুব খুশি হয়েছি।—মাস্টারমশাইয়ের এ কথা শুনে গল্পকথক কী ভাবলেন? কী কৱতেই বা চাইলেন? 

 

উত্তর : মাস্টারমশাইয়ের প্রশংসা শুনে গল্পকথক নিজে খুশি হতে পারেননি। মাস্টারমশাই ছিলেন বিজ্ঞানের বুদ্ধিমান ছাত্র। তাঁকে গল্পকথক বক্তৃতার ফাঁপা ফানুস দিয়ে ভােলানাে সম্ভব হলে সেটা তার কৃতিত্ব নয়। প্রকৃতপক্ষে মাস্টারমশাইয়ের বয়সজনিত পরিণত ননের গ্রহণক্ষমতা। 

 

গল্পকথক সংকোচের সঙ্গে অপরাধীর মতো বলতে চাইলেন ‘ন স্যার’ বলে কিছু কথা।

 

দাম গল্পের তিন নম্বর এর সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন উত্তর

 

> প্রশ্ন  ‘সেটা আমার কৃতিত্বে নয়, ওঁর মনেরও বয়স বেড়েছে বলে।-কাৱ সম্পর্কে বা কেন এরকম মন্তব্য করেছেন? 

 

উত্তর : বক্তা গল্পকথক সুকুমার তাঁর ছেলেবেলার অঙ্কের মাস্টারমশাই সম্পর্কে এরকম বক্তব্য করেছেন।

 

কলেজে বার্ষিক উৎসব উপলক্ষ্যে বাংলার অধ্যাপক সুকুমারবাবু বক্তৃতা করতে এসেছেন। তাঁর বক্তৃতা শুনে তাঁর বাল্যের অঙ্কের মাস্টারমশাই, যিনি এখন বৃদ্ধ হয়েছেন, খুশি হয়ে বক্তৃতার প্রশংসা করেছেন। বক্তা সুকুমার তাতে খুশি হতে পারেননি। তাঁর ধারণা তাঁর মাস্টারমশাই বিজ্ঞানের কৃতী বিজ্ঞ মানুষ। তিনি তারিফ করেছেন তাঁর বৃদ্ধ বয়সের গ্রহণক্ষমতার নিরিখে বলে মনে করেছেন সুকুমার, নইলে ওই বক্তৃতায় তাঁর কৃতিত্ব নেই।

 

প্রশ্ন  মাস্টারমশাই পকেট থেকে শতচ্ছিন্ন এক জীর্ণ পত্রিকা বেৱ কৱে গল্পকথককে কী বললেন? 

 

উত্তর; মাস্টারমশাই পকেট থেকে শতচ্ছিন্ন এক জীর্ণ পত্রিকা বের করে বললেন যে, তাঁর ছেলে একদিন পত্রিকাটি এনে তাঁকে দেখায়। পড়ে আনন্দে তাঁর চোখে জল এসে যায়। কতকাল আগে তাে সুকুমার তাঁর ছাত্র ছিল। তা সত্ত্বেও সে ছেলেবেলার মাস্টারমশাইকে মনে রেখেছে। তাঁকে নিয়ে গল্পও লিখেছে। মাস্টারমশাই ওই লেখা সকলকে দেখান আর বলেন যে, তাঁর ছাত্র তাঁকে অমর করে দিয়েছে।

 

প্রশ্ন  ‘আনন্দে তােমাকে আমি একটা চিঠিও লিখেছিলুম।কী প্রসঙ্গে বক্তা এ কথা বলেছেন? কিন্তু তিনি চিঠিটি প্রাপককে পাঠাননি কেন? 

 

উত্তর : ছাত্র সুকুমারের লেখাটা পড়ে মাস্টারমশাইয়ের খুব আনন্দ হয়েছে। লেখাটা সবসময় তাঁর সঙ্গে থাকে । লেখাটা পড়ে কেউ কেউ মস্টারমশাইয়ের দিকে আঙুল তুলে বলেন যে, তিনি যেমন ছাত্রদের প্রহার করতেন, তেমনি বেশ শুনিয়ে দিয়েছেন তাঁর ছাত্র। তিনি প্রতিবাদ করে বলেছেন যে, কত শ্রদ্ধা নিয়ে তাঁর ছাত্র লিখেছে। তিনি যদি অন্যায় করে থাকেন, তাহলে সে অন্যায় শুধরে দিয়েছে ছাত্রটি। এই প্রসঙ্গে মাস্টারমশাই চিঠি লেখার কথা বলেছেন।

 

মাস্টারমশাই চিঠিটি পাঠাতে সাহস পাননি। কারণ প্রাপক ছাত্র তাে বড়াে হয়েছে, এখন সে কী মনে নেবে সেই সংশয়ে।

 

দাম গল্পের প্রশ্ন উত্তর অতি সংক্ষিপ্ত

 

বুড়াে প্রিন্সিপ্যাল গল্পকথকের বক্তৃতা শুনে কী বললেন?

 

উত্তর : বুড়াে প্রিন্সিপ্যাল বললেন যে, গল্পকথক ভারী চমৎকার বলেছেন, যেমন সারগর্ভ তেমনি সুমধুর।

 

প্রশ্ন  গল্পকথক বিনীত হাসিতে বুড়াে প্রিন্সিপ্যালকে কী বললেন?

 

উত্তর: গল্পকথক বিনীত হাসিতে বললেন যে, শরীরটা ভালাে থাকায় মনের মতাে বলতে পারলেন না।

 

প্রশ্ন  গল্পকথক চায়ের পেয়ালায় চুমুক দিয়েছেন, এমন সময় একটি ছেলে এসে কী বলল?

 

উত্তর: একটি ছেলে এসে বলল যে, একজন বুড়াে ভদ্রলােক গল্পকথকের সঙ্গে দেখা করতে চান।

 

প্রশ্ন মানুষটির আশ্চর্য গলাৱ সুৱ গল্পকথকেৱ মনে কী ক্রিয়া করল?

 

উত্তর: মানুষটির আশ্চর্য গলার স্বর গল্পকথকের মনটাকে অদ্ভুতভাবে দুলিয়ে দিল ছেলেবেলার ভয়ের শিহরণে।

 

প্রশ্ন  গল্পকথকেৱ মাস্টাৱমশাই জামাৱ পকেট থেকে কী বের করলেন?

 

: উত্তর : মাস্টারমশাই জামার পকেট থেকে বের করলেন বহুদিন ধরে বারবার ব্যবহারে শতচ্ছিন্ন একটি জীর্ণ পত্রিকা।

 

প্রশ্ন  মাস্টারমশাই দু-একজনেৱ সমালােচনার জবাবে কী বলেছিলেন?

 

উত্তর : সমালােচনার জবাবে মাস্টারমশাই বলেছিলেন যে, তাঁর অন্যায় হয়ে থাকলে ছাত্ররা অবশ্যই শুধরে দেবে।

 

প্রশ্ন  আনন্দে গল্পকথককে লেখা মাস্টারমশাইয়ের চিঠিটাৱ কী গতি হয়েছিল?

 

প্রশ্ন  গল্পকথকের কাছে স্নেহের কী মূল্যায়ন হলাে?

 

উত্তর: মাস্টারমশাই আনন্দে চিঠি লিখলেও পাঠাতে সাহসী হননি, যেহেতু ছাত্রেরা এখন বয়সে ও শিক্ষা-দীক্ষায় বড়াে হয়েছে।

 

প্রশ্ন  গল্পকথকের কোথায় এসে দাঁড়িয়েছেন বলে মনে হলাে?

 

উর; গল্পকথকের মনে হলাে স্নেহ-মমতা-মার এক মহাসমুদ্রের ধারে এসে দাঁড়িয়েছেন।

 

উত্তর ; স্নেহের এই মূল্যায়ন হলাে যে, তা কোটি মণিমাণিক দিয়ে পরিমাপ হয় না।

 

প্রশ্ন  গল্পকথকের কাছে মমতাৱ কী মূল্যায়ন হলাে?

 

উত্তর মমতার এই মূল্যায়ন হলাে যে, তার দাম সংসারের সব ঐশ্বর্যের চেয়ে বেশি।

 

প্রশ্ন গল্প কথকের কাছে ক্ষমাৱ কী মূল্যায়ন হলাে?

 

উত্তর : ক্ষমার এই মূল্যায়ন হলাে যে, তা কুবেরের ভাণ্ডারকে ধরে দিয়েও পাওয়া যায় না।

 

প্রশ্ন  গল্পকথক অনুতপ্ত মনে মাস্টারমশাইকে কী দামে বিক্রি করেছেন বলে মনে হলাে?

 

. উত্তর : গল্পকথকের অনুতপ্ত মনে হলাে যে, তিনি মাস্টারমশাইকে তুচ্ছ দশ টাকায় বিক্রি করেছেন।

 

প্রশ্ন গল্পকথকের মাস্টারমশাইকে নিয়ে শেষ কী অনুশােচনা হলাে?

 

উত্তর : মাস্টারমশাইকে নিয়ে গল্পকথকের শেষ অনুশােচনা হলাে যে, দশ টাকায় বিক্রির অপরাধ বহন অযােগ্য ও লজ্জা অপরিমেয়।

 

প্রশ্ন  নিজের বক্তৃতা সুকুমাৱ কীসের সঙ্গে তুলনা করেছেন?

 

উত্তর : মাস্টারমশাইয়ের মুখে তাঁর বক্তৃতার খ্যাতি শুনে সুকুমার ফাঁপা ফানুসের সঙ্গে নিজের বক্তৃতার তুলনা করেছেন।

 

প্রশ্ন  সুকুমার কেমন বক্তৃতা দিয়েছিলেন?

 

উত্তর ; সুকুমার সভায় আঁকিয়ে বক্তৃতা দিয়েছিলেন রবীন্দ্রনাথ থেকে দশ-বারােটা উদ্ধৃতি ও ইংরেজি কোটেশন সহযােগে।

 

প্রশ্ন  মাস্টারমশাইকে কে দশ টাকায় বিক্রি করেছিল?

 

উত্তর : সুকুমার দশ টাকায় মাস্টারমশাইকে বিক্রি করেছিল।

 

 

প্রশ্নঃ বুড়াে প্রিন্সিপ্যাল গল্পকথকের বক্তৃতা শুনে কী বললেন?

 

উত্তর : বুড়াে প্রিন্সিপ্যাল বললেন যে, গল্পকথক ভারী চমৎকার বলেছেন, যেমন সারগর্ভ তেমনি সুমধুর।

 

প্রশ্ন  গল্পকথক বিনীত হাসিতে বুড়াে প্রিন্সিপ্যালকে কী বললেন?

 

উত্তর: গল্পকথক বিনীত হাসিতে বললেন যে, শরীরটা ভালাে থাকায় মনের মতাে বলতে পারলেন না।

 

প্রশ্ন  মানুষটির আশ্চর্য গলাৱ সুৱ গল্পকথকেৱ মনে কী ক্রিয়া করল?

 

উত্তর: মানুষটির আশ্চর্য গলার স্বর গল্পকথকের মনটাকে অদ্ভুতভাবে দুলিয়ে দিল ছেলেবেলার ভয়ের শিহরণে।

 

প্রশ্ন  গল্পকথকেৱ মাস্টাৱমশাই জামাৱ পকেট থেকে কী বের করলেন?

 

: উত্তর : মাস্টারমশাই জামার পকেট থেকে বের করলেন বহুদিন ধরে বারবার ব্যবহারে শতচ্ছিন্ন একটি জীর্ণ পত্রিকা।

 

প্রশ্ন  মাস্টারমশাই দু-একজনেৱ সমালােচনার জবাবে কী বলেছিলেন?

 

উত্তর : সমালােচনার জবাবে মাস্টারমশাই বলেছিলেন যে, তাঁর অন্যায় হয়ে থাকলে ছাত্ররা অবশ্যই শুধরে দেবে।

 

প্রশ্ন  আনন্দে গল্পকথককে লেখা মাস্টারমশাইয়ের চিঠিটাৱ কী গতি হয়েছিল?

 

উত্তর: মাস্টারমশাই আনন্দে চিঠি লিখলেও পাঠাতে সাহসী হননি, যেহেতু ছাত্রেরা এখন বয়সে ও শিক্ষা-দীক্ষায় বড়াে হয়েছে।

 

প্রশ্ন  গল্পকথকের কোথায় এসে দাঁড়িয়েছেন বলে মনে হলাে?

 

উর; গল্পকথকের মনে হলাে স্নেহ-মমতা-মার এক মহাসমুদ্রের ধারে এসে দাঁড়িয়েছেন।

 

প্রশ্নঃ গল্পকথক এর কাছে স্নেহের কি মূল্যায়ন হল?

 

উত্তর ; স্নেহের এই মূল্যায়ন হলাে যে, তা কোটি মণিমাণিক দিয়ে পরিমাপ হয় না।

 

প্রশ্ন  গল্পকথকের কাছে মমতাৱ কী মূল্যায়ন হলাে?

 

উত্তর মমতার এই মূল্যায়ন হলাে যে, তার দাম সংসারের সব ঐশ্বর্যের চেয়ে বেশি।

 

প্রশ্ন  গল্প কথকের কাছে ক্ষমাৱ কী মূল্যায়ন হলাে?

 

উত্তর : ক্ষমার এই মূল্যায়ন হলাে যে, তা কুবেরের ভাণ্ডারকে ধরে দিয়েও পাওয়া যায় না।

 

প্রশ্ন  গল্পকথক অনুতপ্ত মনে মাস্টারমশাইকে কী দামে বিক্রি করেছেন বলে মনে হলাে?

 

. উত্তর : গল্পকথকের অনুতপ্ত মনে হলাে যে, তিনি মাস্টারমশাইকে তুচ্ছ দশ টাকায় বিক্রি করেছেন।

 

প্রশ্ন  গল্পকথকের মাস্টারমশাইকে নিয়ে শেষ কী অনুশােচনা হলাে?

 

উত্তর : মাস্টারমশাইকে নিয়ে গল্পকথকের শেষ অনুশােচনা হলাে যে, দশ টাকায় বিক্রির অপরাধ বহন অযােগ্য ও লজ্জা অপরিমেয়।

 

প্রশ্ন  নিজের বক্তৃতা সুকুমাৱ কীসের সঙ্গে তুলনা করেছেন?

 

উত্তর : মাস্টারমশাইয়ের মুখে তাঁর বক্তৃতার খ্যাতি শুনে সুকুমার ফাঁপা ফানুসের সঙ্গে নিজের বক্তৃতার তুলনা করেছেন।

 

প্রশ্ন  সুকুমার কেমন বক্তৃতা দিয়েছিলেন?

 

উত্তর ; সুকুমার সভায় আঁকিয়ে বক্তৃতা দিয়েছিলেন রবীন্দ্রনাথ থেকে দশ-বারােটা উদ্ধৃতি ও ইংরেজি কোটেশন সহযােগে।

 

প্রশ্ন  মাস্টারমশাইকে কে দশ টাকায় বিক্রি করেছিল?

 

উত্তর : সুকুমার দশ টাকায় মাস্টারমশাইকে বিক্রি করেছিল।

 

উত্তর : বক্তৃতার তারিফ করে বুড়াে প্রিন্সিপ্যাল বললেন যে, কথকের বক্তৃতা ভারী চমৎকার, সারগর্ভ ও সুমধুর।

প্রশ্ন  একটি ছেলে এসে কী খবৱ দিল?

 

উত্তর : একটি ছেলে এসে খবর দিল যে, একজন বুড়াে ভদ্রলােক কথকের সঙ্গে দেখা করতে চান।

 

প্রশ্ন  সুকুমার ডাক শুনে তাৱ কী অনুভূতি

 

হয়েছিল?

 

উত্তর : সুকুমার ডাক শুনে তিনি চমকে উঠেছিলেন, তা ছাড়া ওই জায়গায় তার নাম ধরে কেউ ডাকবে অবাক হয়েছিলেন, অথচ চেনা গলা অদ্ভুতভাবে তাঁর মনকে দুলিয়ে দিয়েছিল বুকে ভয়ের শিহরণ জাগিয়ে।

 

প্রশ্ন তাৱপৱ চোখে পড়ল মানুষটিকে’– মানুষটি কেমন? 

 

উত্তর : মাঠের আবছা অন্ধকারের মধ্যে মানুষটির কুঁজো লম্বা চেহারা, মাথার চুল সাদা চিকমিক করছে।

 

লােকটির ডাক শুনে কথক চমকে উঠলেন কেন?

 

: উত্তর : অপরিচিত জায়গায় কথকের নাম ধরে ডাকা, তা ছাড়া তাঁর কণ্ঠস্বর পরিচিত, তাই কথক চমকে উঠলেন।

 

প্রশ্ন কণ্ঠস্বর শুনে কথকেৱ কী প্রতিক্রিয়া হলাে?

 

উত্তর: : কণ্ঠস্বর কথকের মনটাকে অদ্ভুতভাবে নাড়া দিল এবং স্মৃতির অন্ধকার থেকে বেরিয়ে আসা ভয়ের মৃদু শিহরণ বুকের ভিতর দিয়ে বয়ে গেল।

 

‘আমার মাথা তখনই ওঁৱ পায়ে নেমে এল।—কাৱ মাথা কাৱ পায়ে নেমে এল? 

 

উত্তর : ছেলেবেলার ভয়ের কথা মনে পড়লেও গল্পকথকের মাথা অঙ্কের মাস্টারমশাইয়ের পায়ে নেমে এল।

 

প্রশ্ন  গল্পকথক মাস্টারমশাইকে প্রণাম করায় মাস্টাৱমশাই কী বলে আশীর্বাদ করলেন?

 

উত্তর : গল্পকথক মাস্টারমশাইকে প্রণাম করার পর তিনি আশীর্বাদ করে বললেন, বেঁচে থাকো বাবা, যশস্বী হও।

 

পকেট থকে পত্রিকা বের করার আগে। 

প্রশ্ন  মাস্টারমশাই গল্পকথককে কী বললেন?

 

উত্তর : বলেন যে, গল্পকথকেরাই তাে তাঁদের পরিচয়, ও গর্ব, অথচ খালি শাসন-পীড়ন করেছেন কিন্তু কিছুই দিতে পারেননি।

 

দাম গল্পের ছোট প্রশ্ন উত্তর

 

প্রশ্নঃ মাস্টারমশাই সকলকে পত্রিকার লেখা দেখিয়ে কী বলেছেন?

 

উত্তর : মাস্টারমশাই সকলকে পত্রিকার লেখা দেখিয়ে বলেছেন, যে, তাঁর ছাত্র তাঁকে নিয়ে লিখে অমর করে দিয়েছে।

 

প্রশ্ন  গল্পকথক মাস্টারমশাইকে নিয়ে গল্প লিখে যে অনুতপ্ত, তাৱ কী পৱিচয় পাওয়া গেল?

 

উত্তর: এই পরিচয় পাওয়া গেল যে, লজ্জায় আত্মগ্লানিয়ে তাঁর মাটিতে মিশে যেতে ইচ্ছে হলাে।

 

প্রশ্ন  মাস্টাৱমশাইয়ের সঙ্গে কোন লেখাটা সবসময় থাকত?

 

উত্তর : মাস্টারমশাইয়ের সঙ্গে সবসময় থাকত পত্রিকা মাস্টারমশাইকে নিয়ে লেখা সুকুমারের গল্পটা।

 

প্রশ্ন জীর্ণ পত্রিকাতে কী ছিল?

 

উত্তর : জীর্ণ পত্রিকাতে ছিল সুকুমারের ছেলেবেলার অঙ্কে মাস্টারমশাইকে নিয়ে লেখা গল্প।

 

প্রশ্ন  লজ্জায় আত্মগ্লানিতে সুকুমারবাবুৱ কী ইচ্ছ৷ কৱল?

 

উত্তর : লজ্জায় আত্মগ্লানিতে সুকুমারবাবুর ইচ্ছা করল মাটিতে মিশে যেতে।

 

প্রশ্ন  সুকুমাৱেৱ জিভ শুকিয়ে যাচ্ছিল কেন?

 

. উত্তর : বৃদ্ধ মাস্টারমশাই পকেট থেকে একখানা জীর্ণ পত্রিক বার করে বললেন যে, তাঁর ছাত্র সুকুমার তাঁকে নিয়ে গল্প লিে তাঁকে অমর করেছেন—এই কথা শুনে লজ্জায় ও আত্মগ্লানিতে সুকুমারের জিভ শুকিয়ে যায়।

 

প্রশ্ন  লেখা পড়ে দু-একজন মাস্টারমশাইকে কী বলেছেন?

 

উত্তর: বলেছেন যে, তিনি যেমন ছাত্রদের ধরে ধরে মারতে তেমনি গল্পকথক ছাত্র বেশ শুনিয়ে দিয়েছেন তাঁকে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *